পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O पञांब्रशंप्लकॉर) যুদ্ধে রামের সম্মুখে অবস্থিত হইতে পরিবে না। তুমি শূর বলিয়া অভিমান কর বটে ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শূর নহ। তোমার বিক্রমও মিথ্য আরোপিত মাত্র। হে মুঢ় ] হে কুলপাংসন ! তুমি এই মুহূৰ্বেই সবান্ধবে জনস্থান হইতে পলায়ন কর; নতুবা রাম ও লক্ষমণকে সংগ্রামে সংহার কর । রামলক্ষণ মানুষ, তাহাদিগকে যদি বধ করিতে সমর্থ না হও, তাহা হইলে হীনবীৰ্য্য ও দুর্বল হইয়া, তুলি আর কিরূপে এখানে থাকিতে পারিবে ? রমের তেজে অভিভূত হইয়া অচিরকালমধ্যেই তোমাকে বিনষ্ট হইতে হইবে । দশরথনন্দন রাম স্বভাবতঃই অতিশয় তেজস্বী এবং তদীয় ভ্রাতা লক্ষণ ও বীৰ্য্যবান ; ঐ লক্ষণই আমাকে বিরূপ করিয়াছে । মহোদরী রক্ষসী শৃপণখা শোকাৰ্বা হইয়া, ভ্রাতার নিকটে এইরূপ নানাবিধ বিলাপ করিয়া, চৈতন্যরহিত হইয়া পড়িল এবং অত্যন্ত দুঃখভরে হস্ত দ্বার উদরে আঘাত করিয়া রোদন করিতে লাগিল । ৭-২২ দ্বাবিংশ সগ শূৰ্পণখা রোষভরে উক্ত প্রকারে তিরস্কার করিলে তীক্ষস্বভাব শৌর্য্যশালী খর রক্ষসসভামধ্যে তাহাকে কঠোর বাক্যে বলিতে লাগিল,—ভগিনি ! তোমার অপমানে আমার যে ক্রোধ হইয়াছে, তাহার তুলনা নাই । ক্ষতমধ্যে নিক্ষিপ্ত ক্ষার-সলিলের ন্যায়, ঐ ক্ৰোধ ধারণ করিতে আমার শক্তি হইতেছে না ; যাহা হউক, রাম ক্ষীণজীবী মানুষ ; আমার যে পরাক্রম আছে, তাহাতে রামকে গণনাই করি না । সে যে কুকৰ্ম্ম করিয়াছে, তদার অন্তই নিহত হইয়৷ প্রাণত্যাগ করিবে ; অতএব তুমি ক্ৰন্দন সংবরণ ও ভয় ত্যাগ কর , আমি রামকে লক্ষণের সহিত যমালয়ে প্রেরণ * করিব। অয়ি রাক্ষসি ! অদ্য ক্ষীণজীবী রাম মদীয় পরশ্বধে হত হইয়া পতিত হইলে ©O6: তুমি তাহার রক্তবর্ণ উষ্ণ রুধির পান করিবে । শূৰ্পণখা খরের বদননির্গত এই কথা শ্রবণ করিয়া মোহপ্রযুক্ত নিতান্ত হৰ্নবিষ্ট হইয়া, পুনরায় সেই রক্ষসশ্রেষ্ঠ ভ্রাতার প্রশংসাবাদে প্রবৃত্ত হইল । নিশাচরী এইরূপে প্রথমে নিন্দ ও পরে প্রশংসা করিলে, খর দুষণ-নামক সেনাপতিকে তৎক্ষণাৎ ب- لا ســوة ة Fة হে শুভদৰ্শন ! মহারা সৰ্বতোভালে গুণমার প্রিয় কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করে, যাহারা যুদ্ধে কখন পরায়ুখ হয় না, যাহার লোকের হিংসা দ্বারা সর্বদ ক্রীড়া করিয়া থাকে, যাহাঁদের পরাক্রম ভয়াবহ এবং যাহাদের বর্ণ নীলমেঘসদৃশ, তাদৃশ চতুর্দশ সহস্ৰ রাক্ষসকে সর্পর্বপ্রকারে সুসজ্জিত করিয়া আমার নিকট অনিয়ন কর । তদ্ভিন্ন শীঘ্নগামী রথ, ধনু, বিচিত্র বাণসমুহ, তীক্ষ বিবিধ শক্তি ও খড়গ সকলও উপস্থিত কর । অয়ি রণপণ্ডিত ! আমি দুৰ্ব্বিনীত রামের বধজন্য মহানুভব রাক্ষসগণের পুরোবৰ্ত্তী হইতে ইচ্ছা করি। ৮-১১ খর এই কথা বলিতে না বলিতেই দূষণ বিচিত্রবর্ণ উৎকৃষ্ট অশ্বসমূহ-সংযোজিত করিয়া, সূৰ্য্যসমবর্ণ এক মহারথ আনয়ন-পূর্বক তাহার সমীপে নিবেদন করিল। ঐ রথের -আকার মেরু পৰ্ব্বতের স্যায়, ভূষণ সকল তপ্তকাঞ্চনময়, চক্র সকল স্বর্ণময় এবং যুগন্ধর-যুগল বৈদূৰ্য্যমণিময় । মৎস্য, পুষ্প, দ্রুম, শৈল, চন্দ্রকান্তমণি, অলঙ্কারার্থ কাঞ্চন, পক্ষিসমূহ ও তারকাসমূহ দ্বারা এ রণ সমাবৃত এবং ক্ষুদ্র ঘণ্টিকাশব্দে অলঙ্কত। খর ক্রোধভরে কিঞ্চিংমাত্র বিলম্ব না করিয়াই ধ্বজ ও নিস্ত্রিংশসম্পন্ন, উৎকৃষ্ট অশ্বচালিত উল্লিখিত রথে আরোহণ করিল। তদনন্তর খর ও দূষণ রথ, চৰ্ম্ম, আয়ুধ ও ধ্বজশালী মহান সৈন্যদিগকে যুদ্ধার্থ যাত্রা করিতে আদেশ করিল। উভয়ে সমুদায় রাক্ষসকে ঐ প্রকার কহিলে, ভয়ঙ্কর চৰ্ম্ম ও ধবক্ষসম্পন্ন সেই রাক্ষসসৈন্ত