পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্য্যে ফল দর্শন করিয়া থাকে। রে রাক্ষস ! দণ্ডকারণ্যবাসী ধৰ্ম্মচারী মহাতেজ তাপসদিগকে নিহত করিয়া, তুই যে কি ফল প্রাপ্ত হইবি, তাহা আমি বুঝিতে অক্ষম। অথবা যে এপুরস্বভাব ব্যক্তিগণ চিরকাল পাপানুষ্ঠান করিয়া লোকের নিন্দাভাজন হয়, তাহারা ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিয়াও শীর্ণমূল বৃক্ষের ন্যায় দীর্ঘকালস্থায়ী হয় না । বৃক্ষ যেমন নিয়মিত কালে পুষ্পলাভ করে, সেইরূপ কাল উপস্থিত হইলে, পাপকৰ্ম্মের ভয়ঙ্কর ফললাভ ও করিতে হয় । রে নিশাচর । বিযমিশ্রিত অন্ন ভোজনের স্যায় পাপকৰ্ম্মানুষ্ঠানের ফল অচিরকালমধ্যেই ফলিয়া থাকে। রে রাক্ষস ! ভয়ানক পাপাচারা ও লোকের অনিস্টাভিলাধা ব্যক্তিদিগের সংহারার্থে আমি ঋষিগণ-কর্তৃক আনাত হইয়াছি । সপ যেমন বল্মীক বিদারণ করিয়া নিৰ্গত হয়, সেইরূপ অদ্য আমার এই শরাসনমুক্ত স্বর্ণ ভূষিত শর-সমূহ তোর কলেবর বিদারণ-পূর্ববক বহির্গত হইবে। পূর্বে তুই যে সমস্ত দণ্ডকারণ্যবাসী ধৰ্ম্মাচারা তাপসদিগকে ভক্ষণ করিয়াছিল, অদ্য যুদ্ধে মৎকর্তৃক নিহত হইয়া, সসৈন্তে তাহাদিগের অনুগামী হইবি । পূর্বে যে সকল তাপসেরা তোমা কর্তৃক বিনষ্ট হইয়াছেন, আদ্য র্তাহারা বিমানে থাকিয়া, তোকে আমার বাণে নিহত হইতে ও নরকে গমন করিতে দর্শন করুন। রে নীচকুলোস্তব ! তুই সম্যক প্রযত্ন করিয়া আমাকে প্রহার কর । কিন্তু আমি অদ্য নিশ্চয়ই তালফলের স্যায় তোর মস্তক পাতিত করিব । রাম এই কথা কহিলে, ক্রোধাবেশে থরের লোচনযুগল আরক্ত হইয়া উঠিল এবং ক্রোধে জ্ঞানশূন্তা হইয়া হাস্য করিতে করিতে র্তাহাকে প্রত্যুক্তি করিল । ১-১৫ তারণ্যকাও S/8(2 রে দশরথ-তনয়! তুই সমরে সামান্য রাক্ষসদিগকে নিহত করিয়া, বাস্তবিক প্রশংসিত না হইয়াও, স্বয়ংই কি প্রকারে আপনার প্রশংসা করিতেছিস্ ? বলবান বিক্রমশালী নরগণ তেজে গৰ্ব্বিত হইয়া কোন কালে আত্মশ্লাঘায় প্রবৃত্ত হয়েন না। অবিশুদ্ধচিত্ত, ক্ষুদ্রস্বভাব, ক্ষত্ৰিয়কুলাধমেরাই তোমার স্যায় নিরর্থক গর্ব প্রকাশ করিয়া থাকে। মৃত্যুকাল উপস্থিত হইলে, কোন বার স্বীয় বংশ নির্দেশ করিয়া, প্রশংসার অযোগ্য বিষয়ে স্বয়ং আপনার প্রশংসা করে ? যেমন অগ্নি সন্তাপ দ্বারা সুবর্ণসদৃশ পিত্তলের অধমত্ব প্রদর্শন করে, সেইরূপ এই শ্লাঘা দ্বারা তোমার সর্পদতোভাবে লঘুত্ব প্রদর্শিত হইল।” হামকে গদা ধারণ-পূর্বক সমরে অবস্থান করিতে দেখিয়া, তুই কি বিবিধ ধাতুর আকর ধরাধর পর্বতের ন্যায় অকম্পনীয় বোধ করিতেছিস না? আমি অবলীলাক্রমে গদা হস্তে যুদ্ধে পাশধারী অন্তকের স্যায় তোর—এমন কি, ত্রিলোকবাসী সমুদয় প্রাণীরই প্রাণ সংহার করিতে পারি । তোর বিষয়ে আমার আরও অনেক কথা বক্তব্য আছে। তথাপি তাহা তার কিছু বলিতেছি না ; কেন না, সুৰ্য্য অস্ত যাইতেছেন, অতঃপর যুদ্ধবিল্পের সস্তাবনা ।” লুই যে চতুর্দশ সহস্র রাক্ষস বিনাশ করিয়াছিল, তাছা তোকে বিনাশ কারয়t, stহাদের স্ত্রী-পুত্রাদির অশ্র মার্জনা করিব । এই বলিয়া সে নিরতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া, অত্যুৎকৃষ্ট কনক-বলয়-বিশিষ্ট সেই ২। ভগবান রামচন্দ্রের হন্তে মৃত রাক্ষসগণ মরণকালে ভ্রমুখদর্শণ করায় তাহাদের নরকদর্শ৪ কিরূপে সম্ভব, এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় cप, अक्रक्षागि अङ्काअ श्राभकार्षब्र क्ज अक्छ३ :डाश कनिष्ठ रुद्र বলিয়া ভগবদিচ্ছানুসারেই নরকভোগাভে উত্তম পদপ্রাপ্তি ঘটির ॐi८क । 88 ৩। মূলে আছে, "বর্ণপ্রতিরূপেণ তপ্তেনেব কুশাগ্নিনা ইহার অনুবাদে যে অর্থ আছে, উহা তিলককার-সন্মত, গাবিন্দরাজ বলেন, কুশ দগ্ধ হইবাব সময় যেমন হুবর্ণের রূপ গ্রহণ করে ও পরক্ষণেই তাহ। থাকে না বলিয়া নিজের লঘুত্ব প্রমাণিত করে, জ্বলনকালোত্তর দাহকার্য্য করিবার শক্তিও থাকে না, সেইরূপ আক্ষ্মলাঘাসময়ে বীরবৎ প্রতীয়মান হইলেও উত্তরকারে লঘু বলিয়াই প্রতীত হয় । আত্মশ্লাঘাকারী নিজের কথিতামুরূপ কাৰ্য্য করিতে কখনই সমর্থ झग्न नl | ৪ । যদিও রাত্রিকালে য়tাক্ষসদিগের বলবৃদ্ধি হয়, তথাপি রাত্রিতে যুদ্ধে অসমর্থ মনুষ্যবধে পৌরুষ না থাকায় থর বীরজনথলভ বাক্য বলিয়াছিল বুঝিতে হইবে।