পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8や হস্তস্থিত গদা, জ্বলন্ত অশনির স্যায় রামের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করিল। ঐ প্রজ্বলিত মহতী গদা তাহার বহুবিনিমুক্তি হইয়া, বৃক্ষ ও গুল্ম সকল ভস্মশেষ করিয়া রামের সমীপে আগমন করিতে লাগিল। তিনি শরজালপ্রয়োগ-পূর্বক সাক্ষাৎ মৃত্যুপাশের স্যায় নিকটে সমাগত অন্তরীক্ষচারিণী সেই সুবিশাল গদাকে বহুধা ছেদন করিয়া ফেলিলেন । অতীবহিংস্রস্বভাব সপী যেমন মন্ত্র ও ওষধিপ্রভাবে বিনিপাতিত হয়, তদ্রুপ ঐ গদা শরপরম্পরায় ছিন্ন ও বিণীর্ণ হইয়া ধরাতলে নিপতিত হইল । ১৬-২৮ ত্রিংশ সগ ধৰ্ম্মবৎসল রাঘব বাণসমূহ দ্বারা সেই গদা ছিন্ন করিয়া, ঈষৎ হাস্য করত ক্রোধাম্বিত খরকে কহিতে লাগিলেন,—রে রাক্ষসাধম! এই তোমার বলসর্ববস্ব প্রদশিত হইল। তুমি আমা হইতে হীনবল হইয়৷ বৃথা গর্জন করিeেছ কেন ? তুমি কেবল নিরর্থক বাগড়িম্বরে সমর্থ। তোমার গদা আমার বাণে ছিন্নভিন্ন হইয়া ধরাতলে শয়ন-পূর্বক তোমার বিশ্বাস বিনষ্ট করিল। আর, তুমি যে বলিয়াছিলে, “বিনষ্ট রাক্ষসগণের স্ত্রী-পুত্রাদির অশ্র প্রমার্জন করিব, তোমার সে কথাও মিথ্যা হইল : গরুড় যেমন অমৃত হরণ করিয়াছিলেন, এক্ষণে আমিও সেইরূপ নীচ, ক্ষুদ্রস্বভাব ও অসচ্চরিত্র তোমার প্রাণ হরণ করিব । -ছা আমার বাণে বিদারিত—ছিন্নকণ্ঠ হইলে, পৃথিবী তোমার ফেনবুদবুদশোভিত রক্ত পান করিবেন। অদ্য তুমি শিথিল ও ভূতলস্যস্ত ভুজন্বয়ে, ধূলিধূসরিত সর্বাঙ্গে, দুল্লভ৷ মহিলার স্যায় পৃথিবীকে আলিঙ্গন করিয়া শয়ন করিবে। রে রাক্ষসকুলপাংসন ! তুমি দীর্ঘ নিদ্রা লাভ করিয়া শয়ন করিলে, এই দণ্ডকবন প্রদেশ সকল লোকের আশ্রয়স্বরূপ ঋষিগণের আশ্রয় হইবে। রে রাক্ষস ! মদীয় শরসমুহে জনস্থান বাল্মীকি-রামায়ণ রাক্ষসশস্ত হইলে, মুনিগণ নির্ভয় হইয়া সৰ্ব্বতোভাবে বনে বিচরণ করিবেন । ভয়ঙ্করী রাক্ষসী সকল অদ্য হতবান্ধব ও বাস্পার্জবদনা হইয়া আমার ভয়ে জনস্থান হইতে পলায়ন করিবে । তুমি যাহাদের পতি, তোমার সেই তুল্যবংশীয় পত্নীরা অদ্য শোকরসের মৰ্ম্মজ্ঞ ও হীনবীৰ্য্য হইবে। রে নৃশংসশীল ক্ষুদ্রাত্মা ব্রাহ্মণকণ্টক ! মুনিগণ তোমার জন্য শঙ্কিত হইয়৷ অগ্নিতে হবিঃ প্রক্ষেপ করেন। রঘুকুমার রাম নিরতিশয় ক্রোধবশে এই প্রকার কহিলে, নিশাচর খর ক্ৰোধপ্রযুক্ত খরতর স্বরে ভৎসনা করিয়া কহিল । ১-১৩ তুমি নিশ্চয়ই অতিশয় গৰ্বিবত এবং ভয়েও ভয় কর না ; সেই জন্য মৃত্যুর বশতাপন্ন হইয়াও বাচ্যবা বুলিতে পারিতেছ না। যে সকল পুরুষ কালপাশে বদ্ধ হয়, অন্তঃকরণাদি ছয় ইন্দ্রিয়ের অবসাদপ্রযুক্ত তাহদের কার্য্যাকৰ্য্যজ্ঞান থাকে না। নিশাচর খর রামকে এই কথা কহিয়া ভ্ৰকুটি করিয়া, অতিদূরে অতি প্রকাণ্ড এক শালতরু অবলোকন করিল। সেই সুবিস্তৃত শালতরু দর্শনে যুদ্ধে অস্ত্র করিবার জন্য, ওষ্ঠ দংশন পূর্বক সে তাহ সমুলে উৎপাটিত করিল এবং ঘোর গভীর চীৎকারপূর্বক বাহুদ্বয় দ্বারা ঐ তরু উত্তোলন করিয়া, ‘তুমি হত হইলে বলিয়া রামের উদ্দেশে তাহ নিক্ষেপ করিল। প্রতাপশালী রাম আত্মোপরি পতনোমুখ ঐ শালতরু বহুবাণে ছেদন করিয়া, যুদ্ধে খরের ংহার জন্য নিরতিশয় ক্রোধ আছিরণ করিলেন । ক্রোধপ্রযুক্ত র্তাহার নয়নপ্রান্ত রক্তবণ হইয়া উঠিল, শরীর হইতে স্বেদ নির্গত হইতে লাগিল। তিনি সহস্ৰ শরে খরকে ছিন্ন-ভিন্ন করিয়া ফেলিলেন। ২ ১। নিরস্তষড়িত্ৰিয়াঃ মূলে এই পাঠ আছে, ইহার অর্থ—মন ও পঞ্চ জ্ঞানেশ্রিয়ের কার্য্য যাহাঁদের নিরন্ত হইয়াছে । ইক্রিয়াণাং मनश्चक्रांछि भनई दछेॉनौडिप्लग्नांचि' इंडfॉनि दां८कT यनिट्यिग्न भन दtब्रां ইন্দ্রিয়গত বট সংখ্যা পুরিত হইতে দেখা যায়। , ২ । ক্ৰোধস্তরে রামের ঘৰ্ম্মজল নির্গত হইয়াছিল, শ্রাপ্তিপ্রযুক্ত লহে, এবং এই ক্রোধও লটের ভায় আরোপিত ও অভিনীত হইয়াছে মাঙ্গুৰত্ব স্থির করিবার নিমিত্ত, বাস্তবিক ক্ৰোধ নহে।