পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ) অরণ্যকাও করিতে পারেন । হে দশানন | পাপাত্মা স্বৰ্গজয়ে সমর্থ হয় না, আপনি বা রাক্ষসগণ কেহই তেমনি যুদ্ধে রামকে জয় করিতে পারিবেন না। দেবাসুর সকল একত্র হইলে ও তাহাকে বধ করিতে পারেন না, ইহা অামার মনে হয় । তবে তাহার বধের এই উপায় অাছে, একমনে শ্রবণ করুন। সীতা নামে তাহার এক লোকমধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ও সুমধ্যম ভাৰ্য্যা আছেন । তিনি স্ত্রীগণের রত্নস্বরূপ । সেক্ট রত্নভূমিত যৌবনে পদার্পণ করিয়াছেন। র্তাহার সমুদায় অঙ্গ সমবিভক্ত। না দেবী, ন গন্ধৰ্ব্বী, না অঙ্গরী, ন পন্নগী, কেহই সেই সমন্তিমীর তুলা নহে ; মানুী কিরূপে র্তাহার সমান হইতে পারে ? তাপনি মহাবনে গমন কবিয়া কোনরূপ কৌশলে তাহার এী ভাৰ্যা অপহরণ করুন। ভার্ণ্যাহীন হইলে রাম কোনমতেই বাচিবেন না । ২২-৩১ এই কথা মহাবাস্ত রক্ষিসরাজ রাবণের মনোমত হইল । তিনি চিন্তা করিয়া অকম্পনকে কহিলেন,-— গাছা, আমি কলাই একাকী সারথির সহিত গমন করিব এবং বৈদেহকে সহৰ্ণে এই মহাপুরীতে আনয়ন করিব।” এই প্রকার কহিয়াই রাক্ষসরাজ রাবণ তৎক্ষণাং আদিত্যবর্ণ গদভযোজিত রথে আরোহণপূর্বক সমুদায় দিক প্রকাশিত করিয়া প্রস্থান করিল। রাক্ষসরাজের সেই মহারথ নক্ষত্রপথে বেগ ভরে সঞ্চরণ করিয়া মেঘমণ্ডলমধ্যে চন্দ্রমার স্যায় শোভা বিস্তার করিল। অনন্তর রাবণ বহুদূর গমন করিয়া তাড়কাসু ই মারীচের আশ্রমে উপস্থিত হইল । মারীচ বিবিধ অমানুষ ভক্ষ্যভোজ্য প্রদান-পূর্বক তাহার অর্চনা করিল। মারীচ স্বয়ং এইরূপে আসন ও উদক দ্বারা তাহার অৰ্চনা করিয়া, অর্থসঙ্গত বাক্যে ২ । অকম্পনমুখ রামবৃত্তাস্ত শুনিয়া, সনৎকুমারপ্রোক্ত ত্রেওlযুগে রাম অবতীর্ণ হইবেন, এই কথা রাবণের মনে পড়িয়াছিল, উত্তরকাণ্ডে উহ। বিষ্পষ্টভাবে উক্ত হইয়াছে, বাস্তবিকপক্ষে রাবণের জ্ঞানবত্তীর কথা যে যে সর্গে উক্ত হইয়াছে, তাহ প্রক্ষিপ্ত, কতক, তীর্থ প্রভৃতি ●ई छछई cनई नकल नर्ज वाiथ71 क८ब्रन बांदै । যেমন , ○83。 তাহাকে কহিতে লাগিল,—রাজন রাক্ষসাধিপ । রাক্ষসগণের কুশল ত? আপনি শীঘ্র এখানে আগমন করাতে কিন্তু আমার কুশল বিষয়ে আশঙ্কা হইতেছে । মারীচ এই কথা কহিলে, বাক্যকুশল মহাতেজ দশানন কহিতে লাগিল,—তাত ! অক্লিষ্টকৰ্ম্ম রাম আমার সীমারক্ষক খর প্রভৃতি রাক্ষসগণকে বিনাশ করিয়াছেন এবং অবধ্য জনস্থানকে যুদ্ধে নিঃশেষে ধ্বংস করিয়াছেন ; অতএব তোমাকে রামের ভার্ণ্যাপহরণে আমার সহায়তা করিতে হইবে । মারীচ রাক্ষসরাঞ্জ রাবণের কথা শুনিয়া বলিতে লাগিল,—৩২-৪১ কোন মিত্ররূপী শত্র তোমায় সীতার কথা কহিল ? তে রাক্ষসশ্রেষ্ঠ ! তুমি বিশেষরূপে সম্বুস্ট করিলেও কোন বাক্তি তোমার প্রতি সস্তুষ্ট নহে ? সীতাকে লঙ্কায় আনয়ন কর, এ কথা তোমায় কে বলিল, বল ? কোন ব্যক্তি সমুদায় রাক্ষসকুলের প্রাধাচ্ছেদনে ইচ্ছা করিয়াছে ? যে ব্যক্তি তোমায় এই প্রকার উৎসাহ দিয়াছে, সে নিশ্চয়ই তোমার শত্রু ; কেন না, সে ব্যক্তি সপের মুখ হইতে দন্ত আহরণের জন্য তোমাকে অগ্রসর করাইতেছে। কোন ব্যক্তি এই কৰ্ম্ম দ্বারা তোমার বিনাশপন্থ উদ্ভাবিত করিয়াছে ? রাজন ! তুমি সুখে শয়ন করিয়া ছিলে, কোন ব্যক্তি তোমাকে প্রহার করিয়াছে ? হে রাবণ ! বিশুদ্ধ বংশ যাহার শুণ্ডাগ্ৰ,প্রতাপ র্যাহার মদ এবং সুসংস্থিত বান্তযুগল সাহার দন্তদ্বয়, সেই রামরূপ মত্তহস্তাকে যুদ্ধে দর্শন করা ও উচিত নহে । রণমধ্যে অবস্থানই যাহার সন্ধি ও কেশপগুচ্ছ, সুতীক্ষু খড়গ বাহার দন্তপংক্তি, এবং যিনি রণকুশল রাক্ষসরূপ মৃগগণের নিহন্তা, সেই শরকুপ-অঙ্গপূর্ণ রামরূপ নিদ্রিত সিংহকে জাগরিত করা তোমার সাধ্যায়ত্ত নহে। হে রাক্ষসরাজ । যাহাতে ধনুরূপ প্রাণাপহারী হিংস্র জন্তু বিদ্যমান, বাহুবেগৰূপ পঙ্ক ও শররাপ তরঙ্গমালায় যাহা সমাকুল এবং তুমুল যুদ্ধরূপ জলরাশিতে যাহা বেষ্টত, সেই