পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড সে ব্যক্তি সমস্ত প্রাণী, এমন কি, ইন্দ্র অপেক্ষাও সমধিক মুখে জীবন যাপন করে । সীতার দেহঘষ্টি সকল লোকের শ্লাঘনীয় এবং পৃথিবীতে তাহার রূপ অতুলনীয়। সেই সুশীলা তোমারই অনুরূপ ভাৰ্য্যা এবং তুমিই র্তাহার অনুরূপ পতি । র্তাহার পয়োধরযুগল উন্নত, জঘন অতি বিশাল এবং মুখমণ্ডল অতিশয় প্রশস্ত। হে মহাভুজ ! আমি সেই সুন্দরীকে তোমার ভাৰ্য্যার্থ আনয়ন করিতে চেষ্টা করাতেই ক্রমুর লক্ষণ আমার নাসাকর্ণ ছেদন করিয়াছে। সেই পূর্ণচন্দ্রীননা বিদেহদুহিতাকে দর্শন করিলে, তোমাকে মদন-বাণের একান্ত বশীভূত হইতে হইবে। যদি তাহাকে পত্নীত্বে বরণ করিতে অভিপ্রায় থাকে, তাহা হইলে শীঘ্রই রামকে জয় করিবার জন্য দক্ষিণ চরণ সঞ্চালন কর । রাক্ষসরাজ রাবণ ! আমার এই কথা যদি তোমার রুচিজনক হয়, তাহা হইলে, যাহা বলিলাম, শঙ্কারহিত-চিত্তে তদনুরূপ অনুষ্ঠান কর। হে মহাবল ! তুমি তাহাদিগকে অসমর্থ ও আপনাকে সমর্থ বোধ করিয়া, সেই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী সীতাকে পত্নীপদে বরণ করিতে কৃতযত্ন হও । রাম অকুটিলগামী শরসমূহ দ্বারা সমুদায় জনস্থানবাসী নিশাচর এবং খর ও দূষণকেও নিহত করিয়াছে, ইহা শুনিয়া, সম্প্রতি যাহা কৰ্ত্তব্য হয়, তাহাই কর । ১-২৬ পঞ্চত্রিংশ সগ শূৰ্পণখার সেই রোমহর্ষজনক কথা শুনিয়া, কৰ্ত্তব্য স্থির করত রাবণ মন্ত্রীদিগকে অনুজ্ঞা করিয়া গমনের উপক্রম করিল। সে মনে মনে সেই কাৰ্য্য উদ্দেশ-পূর্বক সুক্ষদৃষ্টি সহকারে তাহার গুণ ও ১ । তীর্থ বলেন, শোণিতভাজন দ্বারা যজ্ঞাদি ঘূৰণকারিণীকে পূৰ্পণখা বলে। অথবা পূপের ভায়—কুলার ভার নখ থাকায় তাহাকে পূৰ্পণখা বলে । 3& পূর্ণ শব্দের অর্থ শোণিতভাজন, নগশব্দে বিদূষণ VවI ව් দোষের বলাবল অবধারণ করিয়া, ( ইহাই কৰ্ত্তব্য ) এরূপ স্থিরনিশ্চয় করত, রমণীয় যানশালায় প্রবেশ করিল এবং সেই রাক্ষসরাজ গুপ্তভাবে তথায় গমন করিয়া, সারথিকে আদেশ করিল, সত্বর রথ যোজনা কর । সারথি অজ্ঞামাত্র তৎক্ষণাৎ তাহার অভিমত উৎকৃষ্ট রথ যোজনা করিল। ঐ রথ কামচারী,কাঞ্চনময়, রত্নভূষিত ও স্বর্ণালঙ্কৃত, পিশাচবদন-গর্দভগণ ংযোজিত এবং উহার শব্দ মেঘের স্যায়। কুবেরানুজ রাক্ষসপতি শ্রীমান দশানন সেই রথে আরোহণ বরিয়ু, নদনদীপতি সমুদ্রের অভিমুখে প্রস্থান করিল। তাহার ব্যঞ্জন ও ছত্র উভয়ই শ্বেতবর্ণ, দেহকান্তি স্নিগ্ধ-বৈদূৰ্য্য-সদৃশ, ভূষণ-সকল তপ্তকাঞ্চনে নিৰ্ম্মিত, পরিচ্ছদ পরম পরিপাটী এবং তাহার দশ মুখ, দশ মস্তক, দশ গ্রীব ও বিংশতি হস্ত । দেবগণের শত্রু ও মুনীন্দ্রগণের হন্ত ঐ রাবণ সাক্ষাৎ পৰ্ব্বতরাজের ন্যায় কামগামী রথে আরোহণ করায়, আকাশে বিদ্যুন্মগুল ও বলাকারাজিত মেঘের স্যায় শোভা ধারণ করিয়াছিল । গমনসময়ে পৰ্ব্বতব্যাপ্ত সাগরসন্নিহিত জলবহুল প্রদেশ তাহার দর্শনপথে পতিত হইল। বিবিধফলপুষ্পসম্পন্ন সহস্ৰ সহস্ৰ বৃক্ষ ও শীতল পবিত্র-সলিল-শালিনী পুষ্করিণীসমূহে তাহার চতুর্দিক পরিপূর্ণ এবং বোদযুক্ত বিশাল আশ্রমপদ সকল, কদলীবন, নারিকেল, শাল, তাল ও তমাল নানাজাতীয় পুষ্পিত পাদপ, র্যাহারা অতিশয় আহার ংযম করিয়াছেন, তাদৃশ পরমর্ষিগণ, সহস্ৰ সহস্র নাগ, সুপর্ণ গন্ধৰ্ব ও কিন্নরসমূহ, জিতকাম, সিদ্ধ ও চারণগণ এবং ব্রহ্মপুত্র বৈখানস, মরীচিপ, বালখিল্য ও মাষসংজ্ঞক পরমর্ষিগণ, ই হাদের সান্নিধ্যবশতঃ উহার নিরতিশয় শোভা সমুদ্ভূত হইয়াছে। দিব্যাভরণ, দিব্য মাল্য ও দিব্য রূপশালিনী ক্রীড়ারতিবিধিজ্ঞা ২ । রাবণ প্রচ্ছন্নভাবে গমন করিবার উদ্যে এই যে, জানিতে পরিলে বৃদ্ধগণ ও মন্দোদরী প্রভৃতি ঐ কার্ষ্যে বাধা দিতে পারে। আখৰ বীরভাব ত্যাগ করিয়া চৌর্যা-পথ অবলম্বন করায় লজ্জায় ঐক্কপ कब्रेिब्रांझिळा !