পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

96.8 সহস্ৰ সহস্র অপরা, শ্ৰীসম্পন্ন দেবপত্নী ও অমৃতাশী দেবদানবগণ সৰ্ব্বদা তথায় বিচরণ ও তাহার উপাসনা করিয়া থাকেন। হংস, ক্ৰৌঞ্চ, মণ্ডক ও সারসসমূহ উহার চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া বিহার করিতেছে। বৈদূৰ্য্য-সদৃশ শ্যামলবৰ্ণ প্রস্তর সকল তথায় বিরাজমান হইতেছে এবং সাগরতরঙ্গের হিল্লোল-বশতঃ উহ সৰ্ব্বদাই শীতল ও স্নিগ্ধভাবাপন্ন। এতদ্ভিন্ন রাবগ দিব্যমাল্যযুক্ত, গীতবাদ্যে প্রতিধ্বনিত, শ্বেতবর্ণ, বিশাল বিমান সকল চতুৰ্দ্দিকে দর্শন করিতে লাগিল । যাহারা তপোবলে বিবিধ লোক জয় করিয়াছেন, હો সকল কামচারী বিমান তাহাদের অধিকৃত। কুবেরানুজ রাবণ যাইবার সময় পথিমধ্যে গন্ধৰ্ব্ব ও অপসরাদিগকেও দর্শন করিল। অনন্তর অগুরুনিৰ্য্যাসরসের আকর ও ত্ৰাণেন্দ্রিয়ের তৃপ্তিকর, পরম দর্শনীয়, সহস্ৰ সহস্ৰ চন্দনকানন, অত্যুৎকৃষ্ট ও ফলসম্পন্ন শ্রেষ্ঠজাতীয় সুগন্ধি কক্কোলবৃক্ষের বন ও উপবন সকল, পুষ্প ও মরীচের গুল্মসমূহ, তীরদেশে শুষ্যমাণ মুক্তাপুঞ্জ, শিলাসমূহ, অত্যুত্তম প্রবালনিচয়, কাঞ্চন ও রজতময় শৃঙ্গপরস্পর, সুবিমল সলিলপূর্ণ অদ্ভুত মনোজ্ঞ প্রস্রবণসমূহ, এই সকল তাহার দর্শনপথে পতিত হইতে লাগিল ৷ অনন্তর রাবণ ধনধান্ত-সম্পন্ন, স্ত্রীরত্বপরিপূর্ণ, এবং হস্তী, অশ্ব ও রথসমূহে ঘনসন্নিবিষ্ট নগর সকল দর্শন করিতে করিতে সিন্ধুরাজের উপকূলবৰ্ত্তী স্বৰ্গতুল্য স্নিগ্ধ মৃদুমারুতযুক্ত সমতল দেশে সমাগত হইল। ১-২৬ রাক্ষসরাজ দশানন, সমুদ্রের জলপ্রায় তীরভূমিতে মেঘবর্ণ, ঋষিগণ-সেবিত এক স্বগীয় বটবৃক্ষ অবলোকন করিল। উহার শাখা সকল চতুর্দিকে শতযোজনবিস্তৃত । মহাবল গরুড় প্রকাণ্ডকায় গজ ও কচ্ছপকে ভক্ষণার্থ গ্রহণ করিয়া ঐ বটবৃক্ষের শাখায় উপবেশন করিয়াছিলেন এবং স্বীয় গুরুতর ভারে বহুপত্রবিশিষ্ট ঐ শাখা ভগ্ন করিয়া ফেলেন। বৈখানস, মাষ, মরীচিপায়ী, বাল্মীকি-রামায়ণ বালখিল্য ও ধূম্রাথ্য পরমধিগণ পরস্পর মিলিত হইয়া, সেই শতযোজন ভগ্নশাখা এবং গজ ও কচ্ছপ এককালে গ্রহণপূর্বক বেগভরে অন্যত্র গমন করিয়া, সেই গজ ও কচ্ছপকে ভক্ষণ করিলেন। পরে তিনি ভগ্ন শাখার সাহায্যে সমুদায় নিষাদরাজ্য বিনষ্ট করিয়া, মুনিগণকে এরূপে পরিত্রণ করাতে নিরতিশয় আহলাদিত হইলেন । অনন্তর সেই হৰ্ষবশতঃ তাহার বিক্রম দ্বিগুণীভূত হওয়াতে, মতিমান গরুড় অমৃত আনয়নাথ কৃতসংকল্প হইলেন । তদনন্তর লৌহময় জাল সমস্ত ছেদন ও রত্নময় উৎকৃষ্ট গৃহ ভেদ করিয়া, মহেন্দ্র-ভবন হইতে সুরক্ষিত সুধা হরণ করিলেন। ধনদামুজ রাবণ গরুড়-চিহ্নিত মহর্মিগণসেবিত সুভদ্র নামক ঐ বটবৃক্ষ অবলোকন করিলেন । তথা হইতে নদীপতি সমুদ্রের পরপারে গমন করিয়া, বনান্তরে এক পরম পবিত্র রম্য নির্জন আশ্রম দেখিতে পাইলেন । তিনি দেখিলেন, মারীচ নামে নিশাচর কৃষ্ণাজিন ও জটাজুটধারণ করিয়া, আহারসংযম-পূর্বক তথায় বাস করিতেছে। রাক্ষসরাজ রাবণ মারীচের সহিত মিলিত হইলে, মারীচ বিহিত বিধানে বিবিধ অমানুষ ভোগ্য বস্তু প্রদান দ্বারা তাহার পূঙ্গ করিল। এইরূপে ভোজ্য ও উদক দ্বার স্বহস্তে পূজা করিয়া মারচ অর্থসঙ্গত বাক্যে কহিতে লাগিল,—রজিন রাক্ষসেশ্বর ! আপনার ও লঙ্কার কুশল ত ? কি জন্য আপনি পুনরায় শীঘ্রই এখানে আগমন করিলেন ? মারীচ এইপ্রকার বলিলে, বাক্য-বিশারদ মহাতেজ রাবণ এই প্রকারে বলিতে আরম্ভ করিলেন ।—২৭-৪২ lشاسا ৩। এই বৃত্তান্ত মহাভারতে আদিপর্ক্সে ২১, ৩ অধ্যায় বর্ণিত आँप्छ ; अव९ अक्छ्:शब्र भूदूिखाउ७ वििछ थाप्इ ।