পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাও ষট ত্রিংশ সগ তাত মারীচ। বলিতেছি, শ্রবণ কর । আমি বিপন্ন হইয়াছি, তুমিই আমার বিপদে পরমগতি। যে স্থানে আমার ভ্রাতা খর ও মহাবাহু দূষণ এবং ভগিনী শূৰ্পণখা অবস্থিতি করে, সেই জনস্থানের বিষয় তুমি অবগত আছ । মাংসাশী রাক্ষস ত্রিশিরা ও অস্ত্যষ্ঠ যুদ্ধোৎসাহ শৌর্ণ্যশালী বহুসংখ্য নিশাচর আমার নিয়োগপরতন্ত্র হইয়া, ঐ জনস্থানে বাস করিতেছিল । তাহারা মহারণ্যে ধৰ্ম্মচারী ঋষিদিগের অনুষ্ঠানে সর্বদাই বাধা প্রদান করিত। ঐ সকল রাক্ষসের সংখ্যা চতুর্দশ সহস্র । তাহারা সকলেই ভীমকৰ্ম্মা, শূর, যুদ্ধে সফল-মনোরথ এবং খরের চিন্তানুবন্তী ছিল । সম্প্রতি জনস্থানবাসী মহাবল খরপ্রমুখ রাক্ষসগণ বিবিধ শস্ত্র ধারণ ও দুর্ভেদ্য কবচ বন্ধন-পূর্বক রামের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিল । রাম নিরতিশয় রোষাবিষ্ট হইয়া, কিছুমাত্র পরুষবাক্য প্রয়োগ না করিয়াই ধনুতে শরযোজনা করিয়া, তাহার পরিচালন করেন । এইরূপে মানুষ রাম পাদচারী হইয়া, প্রজ্বলিত শর দ্বারা উগ্রতেজা চতুর্দশ সহস্র রাক্ষস সংহার, খর ও দূষণের নিপাত এবং ত্রিশিরাকেও নিহত করিয়া, সমুদায় দণ্ডক নির্ভয় করিয়াছে। পিতা ক্রুদ্ধ হইয়া সেই ক্ষীণজীবী রামকে স্ত্রীর সহিত দূর করিয়া দিয়াছে। সেই দুঃশীল, কর্কশ, তীক্ষ, মুখ, লুব্ধ, অজিতেন্দ্রিয়, ক্ষত্রিয়পাংসন রাম সেই রাক্ষসসৈন্তের সংহারকর্তা । সে ধৰ্ম্মত্যাগ ও অধৰ্ম্ম আশ্রয় করত সৰ্ব্বদাই প্রাণিগণের অহিতে ব্ৰতী থাকে । দেখ, সে বিনা শক্রতায় নাসাকৰ্ণ ছেদন করিয়া ভগিনী শূৰ্পণখাকে বিরূপ করিল। অধুনা আমি বিক্রম প্রকাশপূর্বক জনস্থান হইতে রামের ভাৰ্য্যা দেবকস্তাসদৃশী সীতাকে আনয়ন করিব। তোমায় সহায় হইতে হইবে। মহাবল ! তুমি এবং কুস্তকর্ণাদি ভ্রাতৃগণ সহায় থাকিলে আমি S)6 (ζ করি না । অতএব রাক্ষস ! তুমি আমার সহায় হও । সাহায্যদানে তুমি সমর্থ। তুমি মহাশূর ও সর্বপ্রকারের মায়া জন। বীৰ্য্যে, যুদ্ধে, দৰ্পে ও উপায়ে তোমার সদৃশ নাই। নিশাচর। এই কারণেই আমি তোমার সমীপে আগমন করিয়াছি ; এক্ষণে আমার সাহায্যাৰ্থ যাহা করিতে হইবে, বলিতেছি, শ্রবণ কর । তুমি রজতবিন্দুচিত্রিত স্বণ মৃগ হইয়া, রামের আশ্রমে গমন-পূর্বক সীতার সম্মুখে বিচরণ কর। সীতা মুগরুপী তোমাকে দেখিয়া, নিঃসন্দেহেই ভর্তা ও লক্ষণকে কহিবে, এই যুগ ধরিয়া দাও।” অনন্তর তাহারা মৃগের জন্য আশ্রম হইতে দূরে যাইলে, আমি শূন্য অtশ্রম পাইয়া, যথাসুখে নিৰ্ব্বিল্পে সীতাকে, রান্ত যেমন চন্দ্রপ্রভাকে গ্রাস করে, সেইরূপ আমি সীতাকে হরণ করিব । ভাৰ্য্যা হরণ করিলে, রাম তাহার শোকে ক্ষীণ হইয়া পড়িবে। তখন আমি নির্ববধে যথাসুখে ও নিঃশঙ্কে তাহাকে প্রহার করিব । রাবণের কথা শুনিয়া, মহাত্মা মারীচের মুখ শুষ্ক হইল ও সাতিশয় ত্রাস উপস্থিত হইল। চিস্তাবশতঃ তাহার অধর-ওষ্ঠ শুষ্ক ও নয়ন যেন নিমেষশূন্য হইয়া উঠিল। সে বারংবার অধরোষ্ঠ লেহন করিয়া, আৰ্ত্তভাবে মৃতপ্রায় হইয়া, রাবণের দিকে চাহিয়া রহিল । সে পূৰ্ব্বে মহাবনে রামের পরাক্রম পরিজ্ঞাত হইয়াছিল ; সেই জন্য ত্রস্ত ও বিষন্নচিত্তে কৃতাঞ্জলিপুটে রাবণকে আপনার ও তাহার হিতজনক বাক্য কহিল । ১-২৪ সপ্তত্রিংশ সগ বাক্যবিশারদ মহাতেজা মারীচ রাক্ষসরাজ রাবণের কথা শুনিয় তাহকে কহিল, রাজন। প্রিয়বাদী ব্যক্তি সৰ্ব্বদাই সুলভ ; কিন্তু অপ্রিয় হিত-বাক্যের বক্তা ও শ্রোতা উভয়ই ঢুলভ ।’ তোমার চার নিযুক্ত ১T_প্রভূর তিহিত বিবেচনা করিয়কেবলমাত্র আপাত দেবগণকেও লক্ষ্য মনোরম বার্ক প্রভুর সন্তোষের নিমিত্ত বলিবার লোক সুলভ, মিষ্ট কৰা