পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড (كارل (ك বিচরণ করিতে করিতে সেই মুক্তামণি-বিচিত্রাঙ্গ রত্নময় রাক্ষসের ছলনায় মোহাচ্ছন্ন হইয়া, তাহকে প্রতিষেধ মৃগ দর্শন করিলেন । ঐ মৃগের দস্ত ও ওষ্ঠ দিব্যকান্তি বিশিষ্ট এবং রোমরাজি রৌপ্য ও গৈরিকাদি ধাতুসদৃশ । তিনি বিস্ময়ফুল্লনয়নে স্নেহভরে তাহাকে দেখিতে লাগিলেন । মায়াময় মৃগ ও রামদয়িতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া রহিল । অনন্তর, সে সেই বন আলোকিত করিয়া, ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে লাগিল । জনকদুহিতা সীতা নানারক্রুময় অদৃষ্ট-পূর্ব মৃগ-দৰ্শনে নিরতিশয় বিস্ময় প্রাপ্ত হইলেন । ১৬-৩৫ ত্ৰিচত্বারিংশ সগ সুশ্রোণী, অনিন্দিতাঙ্গী, বিশুদ্ধস্বর্ণবর্ণিনী সীতা কুসুম চয়ন করিতে করিতে হেম-রজত-সবর্ণ পার্শ্বদ্বয়ে সুশোভিত ঐ মৃগ দর্শন করিয়া অতিশয় তাহলাদিত হইয়া, আয়ুধধারী রাম ও লক্ষণকে আহবান করিলেন। ‘আৰ্য্যপুত্র । লক্ষণের সহিত সত্বর আগমন কর, আগমন কর।” এই বলিয়া রামকে আহবান করিতে করিতে সেই মুগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। তিনি আহবান করিলে, পুরুষোত্তম রাম ও লক্ষণ উভয়ে ইতস্ততঃ দৃষ্টিপাত করিয়া ঐ মৃগকে দেখিতে পাইলেন। কিন্তু লক্ষণ মৃগদর্শনে শঙ্কিত হইয়া রামকে কহিতে লাগিলেন, এই মৃগকে আমার নিশাচর মারীচ বলিয়া মনে হইতেছে। এই পাপরাপী মারচ মৃগরূপ ধারণ করিয়া, পরমহর্ষে মৃগয়াচারী রাজাদিগকে নিহত করিয়াছে। এই রাক্ষস মায়াবিদ, সে মায়াবলে এই প্রকার মৃগরূপ ধারণ করিয়াছে। হে পুরুষব্যাঘ্ৰ ! দেখুন, ঐ মৃগের রূপ গন্ধৰ্ব্বনগরের স্থায় আপাতরমণীয় এবং পরম দীপ্তিশালী। হে রঘুনন্দন! এ প্রকার রত্নবিচিত্র মৃগ কখন পৃথিবীতে নাই। হে জগতীনাথ ! ইহা নিশ্চয়ই মায়া, সন্দেহ নাই। লক্ষণ এই প্রকার কহিতে লাগিলে, শুচিস্মিতা সীত৷ করিলেন এবং পরমহর্মে কহিলেন । ১-৯ আৰ্য্যপুত্র! ঐ অভিরাম যুগ আমার মন হরণ করিয়াছে। মহাবাহো ! উহাকে আনয়ন কর ; উহা আমাদের ক্রীড়ামুগ হইবে । আমাদের এই আশ্রমপদে চমর, স্বমর, ঋক্ষ, পৃষত, বানর ও কিন্নর প্রভৃতি নানাপ্রকার প্রিয়দর্শন মৃগ একত্র বিচরণ করিয়া থাকে। তাহারা সকলেই রূপশ্রেষ্ঠ ও মহাবল । কিন্তু রাজন। পূর্লে কখন এ প্রকার মৃগ আমার দৃষ্টিগোচর হয় নাই। তেজ, ক্ষমতা ও কান্তিতে ইহাকে যুগশ্রেষ্ঠ বলিয়া বোধ হইতেছে। ইহার সর্বাঙ্গ বিবিধ বর্ণে বিচিত্রিত, ইহা সাক্ষাৎ রত্ন । এই মৃগ, চন্দ্রের ন্যায় বনভূমিকে শান্তভাবে বিদ্যোতিত করিয়া আমার সম্মুখে বিরাজ করিতেছে। আহা ! কি সৌন্দৰ্য্য ! আহা ! কি ঐ ! আহা ! কি সুশোভন ! ইহার আশ্চৰ্য্য স্বরসম্পদ, এই আশ্চৰ্য্য বিচিত্রাঙ্গ মৃগ আমার মন হরণ করিতেছে। যদি ইহাকে জীবিত শরীরে ধরিয়া দিতে পার, তাহা হইলে বড় আশ্চৰ্য্য হয় এবং বিস্ময় উৎপাদন করে। আমরা বনবাস উদযাপন করিয়া পুনরায় রাজ্যস্থ হইলে, এই মৃগ আমাদের অন্তঃপুরের বিভূষণ হইবে। হে প্রভো ! ভরতের, তোমার, শ্বশ্রীগণের ও আমার সকলেরই এই দিব্য মৃগরূপ বিস্ময় উৎপাদন করিবে । হে পুরুষোত্তম । যদি এই মৃগকে জীবন্ত ধরিতে না পার, তাহা হইলে ইহার চৰ্ম্মও পরম মনোহর হইবে। এই নিহত মৃগের স্বর্ণময় চৰ্ম্ম কুশাসনে প্রসারিত করিয়া ভগবানের পূজা করিতে আমার অভিলাষ হইয়াছে। যদিও স্বামীকে এইরূপে নিয়োগ করা স্ত্রীলোকের পক্ষে স্বেচ্ছাচারিত্ব, ভয়ঙ্কর এবং অসদৃশ দেখায়, কিন্তু এই মৃগের বিচিত্র २ । यश् ब्रश ब्रांकन नप्र, विञ्जि बुश, छूबि ३शरक अश्न कब्रिवांद्र विषtग विघ्न पत्रांकब्र१ कब्रि७ नl, sईब्रt१ निरषर्थ कब्रिग्न বলিলেন।