পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وك\وDNۍ উপস্থিত হইল এবং রামকে গ্রহণ করিতে অভিলাষী দেখিয়া, ধাবিত হইয়া, অতিমাত্র ত্রাসবশতঃ তৎক্ষণেই আবার অন্তহিত হইল ; এবং দূরে গমন-পূর্বক পুনরায় বৃক্ষসমূহের অন্তরাল হইতে বহির্গত হইলে, মহাতেঙ্গ রাম তদর্শনে তাহাকে হনন করিতে কৃতনিশ্চয় হইলেন। তিনি রোভরে পুনরায় তৃণ হইতে স্বর্ণ্যকিরণসদৃশ শক্ৰবিনাশন প্রজ্বলিত এক শর উদ্ধত করিলেন এবং ধনুতে সেই সৰ্পসদৃশ জাজ্বল্যমান প্রদীপ্ত ব্রহ্মনিৰ্ম্মিত অস্ত্র দৃঢ়ভাবে যোজনা-পূর্বক বল-সহকারে আকর্ষণ করিয়া, মৃগের উদ্দেশে তাহা নিক্ষেপ করিলেন। শরশ্রেষ্ঠ রক্ষাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হইবামাত্র বজের স্যায়, মৃগৰূপী মারীচের সদয় বিদারণ করিয়া ফেলিল। তখন সে নিরতিশয় আতুর হইয়া, তালপ্রমাণ উল্লম্ফন করিয়া, ভূতলে পতিত হইল ; এবং ক্ষণপ্রাণ ও মিয়মাণ হইয়া, ধরাতলে পতিত হইয়াই ভয়ঙ্কর শব্দে চীৎকার করিয়া সেই কৃত্রিমদেহ পরিত্যাগ করিল। অনন্তর মারীচ মরিবার সময় সেই মায়াময় মৃগদেহ ত্যাগ করিয়া, রাবণের আদেশ স্মরণ-পূর্বক ভাবিতে লাগিল, কিরূপ উপায় অবলম্বন করিলে সীতা লক্ষণকে এখানে প্রেরণ করে এবং রাবণ শূন্ত গৃহে সীতাকে হরণ করিতে পারে? সে মৃত্যুকাল উপস্থিত জানিয়া, রাবণের উপদিষ্ট পরামর্শানুসারে, হা সীতে ! হা লক্ষণ’ ! বলিয়া রামের স্যায় কণ্ঠস্বরে চীৎকার আরম্ভ করিল। রামের অনুপম শরে তাহীর মৰ্ম্মদেশ একান্ত বিদ্ধ হইয়াছিল । সে আর মৃগরূপ ধারণ করিতে না পারিয়া, রাক্ষসমূৰ্ত্তি পারগ্রহ করিল। সে মরিবার সময়ে স্বীয় শরীর বদ্ধিত করিল। রাম ভয়ঙ্কর নিশাচর মারীচকে রক্তাক্তদেহে ভূতলে পতিত ও লুষ্ঠিত হইতে দেখিয়া, মনে মনে সীতাকে ও লক্ষণের বাক্য স্মরণ করিয়া আশ্রমাভিমুখে গমন করিলেন। যাইবার সময় ভাবিতে লাগিলেন, লক্ষণ পূর্বেই বলিয়াছিলেন, ইহ মারীচের মায়া । তাহার কথাই এখন সত্য হইল । বাল্মীকি-রামায়ণ যথার্থই মারীচকে আমি হত করিলাম। এক্ষণে মারীচ, হা সীতে ! হা লক্ষণ ? বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে প্রাণত্যাগ করিল । না জানি, সীতা এরূপ রব শুনিয়া কি করিবেন এবং মহাবাহু লক্ষণই বা কিরূপ অবস্থা প্রাপ্ত হন। এই প্রকার চিন্তা করিতে করিতে ধৰ্ম্মাত্মা রামের রোমহর্ষ হইল। তৎকালে মৃগরূপী রাক্ষসকে বধ করিয়া ও তাহার তাদৃশ চীৎকার শ্রবণ করিয়া বিষাদজন্য তীব্রভয়ে তিনি অভিভূত হইলেন।” অনন্তর তিনি পৃষত-জাতীয় একটি মুগ সংহার ও তাহার মাংস গ্রহণ করিয়া, ত্বরান্বিত হইয়া, জনস্থানাভিমুখে প্রস্থান করিলেন । ১-২৭ পঞ্চচত্বারিংশ সগ এ দিকে বনমধ্যে স্বামীর সদৃশ সেই আৰ্ত্তস্বর শ্রবণ করিয়া, সীতা লক্ষণকে কহিলেন, “যাও, জানিয়া আইস, রামের কি হইয়াছে । তিনি নিরতিশয় আৰ্ত্তস্বরে চীৎকার করিতেছেন। সেই শব্দ শুনিয়া আমার মনঃপ্রাণ আর স্বস্থানে অবস্থিতি করিতেছে না। অরণ্যমধ্যে উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দনপরায়ণ ভ্রাতাকে পরিত্রাণ করা তোমার অবশ্য কৰ্ত্তব্য ; অতএব তুমি শীঘ্রই শরণার্থী ভ্রাতার রক্ষার জন্য ধাবমান হও । গো-বৃষভ যেমন সিংহের, তিনিও তেমনি রক্ষিসের বশভাপন্ন হইয়াছেন।” কিন্তু লক্ষণ রামের আদেশ স্মরণ করিয়া সীতাকর্তৃক সেইরূপ উক্ত হইলেও গমন করিলেন না। তখন সীতা নিতান্ত ক্ষুব্ধ হইয়া র্তাহাকে কহিলেন, লক্ষণ ! তুমি রামের মিত্ররূপী শক্ৰ । দেখ, তুমি এইরূপ অবস্থাতেও তাহার রক্ষার্থ গমন করিতেছ না। বুঝিলাম, আমার জন্য তুমি তাহার বিনাশ-কামনা করিতেছ। নিশ্চয়ই আমার ० । उनंबांन् ब्रांभळ्छ जडिएनउांब छांग्र *कूबाद६ चांछद्रन कब्रिग्न हिप्लन ; ठौष्ठ याखिन्न छांब्र ॐांशंब्र cब्रांबांर्ष,जांन, विषांन नकलई हैছিল, কবিও সৰ্ব্বলোককে সেই অবস্থায় কৰা প্রকাশ করিয়া বলিয়াছেন।