পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যকাগু こぐりぬ ষট্চত্বারিংশ সর্গ লক্ষণ সীতার কটুক্তিতে কুপিত হইয়া রামকে দেখিবার জন্য নিতান্ত ব্যগ্রচিত্তে শীঘ্র প্রস্থান করিলেন । * অনন্তর দশানন রাবণ এই সুযোগ পাইয়া পরিব্রাজকরূপ ধরিয়া, শীঘ্রই সীতার অভিমুখে আগমন করিল। সে স্থকোমল কাষায় বস্ত্র, শিখা, ছত্র, উপানং এবং বাম স্কন্ধে যষ্টি ও কমণ্ডলু ধারণ-পূর্বক ত্ৰিদশুি-সন্ন্যাসিবেশে সীতার সকাশে সমাগত হইল। ২ চন্দ্র-সুর্য্যবিরহিত সন্ধ্যাকে যেমন মহাতম অনুবৰ্ত্তন করে, সেইরূপ রামলক্ষণ-সন্নিধিহীনা সীতাকে পরিব্রাজকরূপে রাবণ প্রাপ্ত হইয়ছিল । তার পর চন্দ্রহীন রোহিণীর হ্যায় রামহীন যশস্বিনী রাজপুত্রী সীতাকে দারুণ গ্রহের ( মঙ্গল বা শনৈশ্চরের ) স্যায় রাবণ দর্শন করিয়াছিল । * জনস্থানস্থ বৃক্ষ সকল উগ্রস্বভাব পাপকৰ্ম্ম৷ রাবণকে দর্শন করিয়া ভয়ে স্পন্দহীন হইল এবং বায়ু ও অার প্রবাহিত হইল না। রক্তলোচন হুইয়া সাঁতার প্রতি তাহাকে দৃষ্টিপাত করিতে দেখিয়া এতগামিনী গোদাবরী নদীও শঙ্কাবশতঃ মন্দ মন্দ গমন করিতে লাগিল। ইতাবসরে দশানন রাবণ রমের ছিদ্রান্বেষী হইয়া ভিক্ষুবেশে জানকীর সকাশে উপস্থিত হইল । সীতা স্বামীর জন্য শোক করিতে ১। রাম মরীচকে বধ করিয়া, সীতা সম্বন্ধে পুৰ্ব্ব-সর্গে বর্ণিতামুরূপ চিন্তা করিয়া, পুনরায় মাংসার্থ মৃগ বধ করায় তাহার আশ্রমে ৰাইতে বিলম্ব হইয়াছিল । ২ । রাবণ ত্ৰিদণ্ডী সন্ন্যাসীর বেশে গিয়াছিল, মহাভারতে উক্ত হইয়াছে—‘রাবণস্তু বন্তিভূর্ব মুণ্ডঃ কুন্তী ত্ৰিদণ্ডধৃক। মস্তকে জটা ছিল না, মুণ্ডিতশীর্ষ, কুতী—কমণ্ডলুধারী। ত্ৰিদণ্ডবৃক্—যষ্টি ত্ৰিদণ্ডস্বরূপ । অঙ্গিরা যতির লক্ষণ এইরূপ করিয়াছেন— যতেলিঙ্গিং প্রবক্ষ্যামি যেনাসে লক্ষ্যতে যতিঃ । ব্ৰহ্মস্বত্রং ত্ৰিদগুঞ্চ বস্ত্ৰং জস্তুনিবারণম্ | শিকাং পাত্ৰং বুৰী চৈৰ কৌলীনং কটিবেষ্টনম্। यहैछठदिपाएउ লিঙ্গংস যতিনে ভরে যতিঃ ॥ ৩। যেমন ক্ররগ্রহে রোহিণী নক্ষত্র দর্শন করিলে সাধারণ লোকের } স্বচিত হয়, সেইরূপ রাবণের সীতা-দর্শনও অনর্থকর বুঝিতে হুইবে । সন্ধ্যাকালে মহাদ্ধকার সম্ভব হয় না, সুতরাং এইটি অস্তুতোপমা । 않에 রক্তবর্ণ ও কৃষ্ণবর্ণ। তারা-সম্পন্ন। ছিলেন । শনিগ্ৰহ যেমন চিত্রার সমীপস্থ হয়, অসাধু রাবণও তেমনি সাধুবেশে সীতার নিকটবৰ্ত্তী হইল এবং তৃণাচ্ছন্ন কূপের ন্যায় ছদ্মবেশী রাবণ,সাধুবেশে সম্মুখীন হইয়া সেই যশস্বিনী রামপত্নী জানকাকে দৃষ্টিগোচর করিয়া দণ্ডায়মান হইল। সীতার ওষ্ঠ ও দশনপংক্তি মনোহর, বদন চন্দ্রসদৃশ ও নয়নযুগল পদ্মপত্রতুল্য। তিনি পীতবর্ণ কোষেয় বসন পরিধান করিয়া বাষ্প ও শোকে পীড়িত হইয়া পণশালায় উপবেশন করিয়াছিলেন। রাবণ দণ্ডায়মান হইয়া, বারংবার তাহাকে দেখিতে লাগিল ৷ দৰ্শন করিয়া তাহার হৃদয় মদনiাণে বিদ্ধ ও হর্নরসে পরিপ্ল ত হইয়া উঠিল। তখন সে বেদোচ্চারণ করিয়া স্বীয় শরীর-সৌন্দর্য্যে পদ্মহীন লক্ষীর ন্যায় বিরাজমানা ত্রিভুবনন্বন্দরী জানকাকে প্রশংসা-পূর্বক কহিতে লাগিল। ১-১৫ অয়ি শুভাননে ! তোমার বর্ণ বিশুদ্ধ কাঞ্চন সদৃশ, তাহাতে আবার তুমি পীতবর্ণ কৌষেয় বস্ত্র পরিধান করিয়াছ, এবং তুমি পদ্মিনীর স্যায় মনোহর পদ্মসমূহের মালা ধারণ করিয়াছ। অয়ি বরারোহে । তুমি কি হ্রী, শ্ৰী, কীৰ্ত্তি, লক্ষনী, অপর, অথবা ভূতি, কিম্বা সাক্ষাৎ রতি, ইচ্ছানুসারে বনে বিহার করিতেছ ? তোমার দন্তগুলি পরস্পর সমান, অগ্রভাগ কুন্দকোরক-সদৃশ মনোহর ও পাণ্ডুবৰ্ণ । তোমার নয়নযুগল বিশাল, নিৰ্ম্মল এবং প্রান্তভাগ তোমার জঘন অতি পীন ও বিস্তৃত, তোমার উরুযুগল হস্তিগুগু-সদৃশ সুবৃত্ত ও পরম পরিপুষ্ট এবং সৰ্ব্বতোভাবে প্রগ লভিত ও সংহত । তোমার স্তনযুগল পীন ও উন্নতাগ্র, পরম মনোহর, সুস্নিগ্ধ তালফলের সদৃশ, কমনীয় ও উৎকৃষ্ট মণিমালায় ভূষিত। ফলতঃ তোমার দন্ত, মেত্র ও স্মিত সমুদায়ই রমণীয়। . অয়ি রমণীয়ে । নদী যেমন জলবেগে কুল হরণ করে, তুমি তেমনি ঐ সকলে আমার চিত্ত হরণ করিতেছ । তোমার কেশগুচ্ছ পরম মুন্দর, পয়োধরযুগল অত্যন্ত সন্নিহিত এবং