পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যকাণ্ড আযোধ্যার রাজপ্রাসাদে দ্বাদশবর্ণ বাস করিয়া, পূর্ণমনোরথ হইয়া, বিবিধ অমানুষ ভোগ সন্তোগ করিয়াছিলাম। পরে ত্রয়োদশ বর্ষে রাজা দশরথ মন্ত্রিগণের সহিত রামকে রাজ্যে অভিষেক করিতে মন্ত্রণা করিলেন। তদনুসারে রামের অভিষেকের আয়োজন হইতে লাগিলে, আমার মাননীয় শ্বশ্রী কৈকেয়ী স্বামী দশরথের নিকট বরপ্রার্থনা করিলেন। কৈকেয়ী স্বায় মুকুতিবলে আমার শ্বশুরকে বশীভূত’ করিয়া, আমার স্বামী রামের বনবাস এবং ভরতের অভিষেক, এই দুই বর নৃপশ্রেষ্ঠ সত্যপ্রতিজ্ঞ দশরথের নিকট যাজ্ঞা করিলেন এবং কহিলেন, রাম যদি অভিষিক্ত হয়, তাহা হইলে কখনই আমি পান, ভোজন বা শয়ন করিব না ; এই পৰ্য্যন্তই আমার জীবনের শেষ হইল। কৈকেয়ী এইপ্রকার কহিলে, মদীয় শ্বশুর রাজা দশরথ র্তাহাকে অন্যান্য বিবিধ অর্থ গ্রহণ করিতে প্রার্থনা করিলেন ; কিন্তু কৈকেয়ী তাহাতে সম্মত হইলেন না । তখন মহাতেজা আমার ভর্তা রামের বয়স পচিশ বৎসর হইয়াছে । আর তামার বয়স জন্ম হইতে গণনা করিয়া আঠার বৎসর” উত্তীর্ণ হইয়াছে । আমার স্বামী রাম নামে বিখ্যাত, তিনি সত্যবান, সুশীল, নিৰ্ম্মলস্বভাব, সৰ্ব্বভূত-হিতনিরত, মহাবাহু এবং বিশালাক্ষ । মহারাজ পিতৃদেব E S S S S S S S SMSMSMSMSMS MMS S S ২ । স্বকৃতিবলে—পুণ্যবলে অথবা স্বকৃত-উপকারবলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করাইয় অথবা নিজকৃত প্রাণরক্ষারূপ উপকার স্মরণ করাইয়। রাজাকে বশীভূত করিয়া। ১ । পনর বৎসরে রামের বিবাহ এল” অযোধায় বারো বৎসর বাসের পর লনগমন, ইহাতে বনগমনকালে রামের বয়স ২৭ বৎসর হইতে হয়—সীতা ২৫শ বৎসর কেন বলিলেন—ইহাতে কেহ কেহ বলেন, অল্প ব্যতিক্রম বলিয়া—ইহার তাৎপর্ব, অল্পবয়সে রাজ্য ত্যাগ করিয়াছেন, এই অংশে অথবা রাম তপন পঞ্চবিংশতি বর্ষকেবল অতিক্ৰম করিয়াছেন। গোবিন্দরাজ মারীচোক্ত উন ১২শ বৎসরে বিশ্বামিত্রাযুগমন ধরিয়া ঠিক পঞ্চবিংশবধেই বনগনন বলেন এবং ভূগর্ভ হইতে উখিত হওয়ায় বঠবহে সীতার বিবাহ—অষ্টাদশ বর্ষে বনগমন। বহু প্রাচীন পুস্তকে বয়সী সপ্তবিংশক এই পাঠ কৃষ্ট মনে হয়, লিপিকরপ্রমাদ বশতঃ পাঠঅষেই এই সন্দেহের স্বষ্টি হইয়াছে। বনবাদের চতুর্দশবর্ষারম্ভেই সীতাश्ध्न%} ३भ्रं । * এই মোকে গায়ত্রীর নবমাক্ষর 'ভ'কার রহিয়াছে, প্রথম হইতে আট शंखों★ cल्लक तलां झईब्रांह । لا ۹ نع দশরথ স্বয়ং ছিলেন। কৈকেয়ার প্রিয়কামনায় তিনি তাদৃশ সৰ্বগুণসম্পন্ন রামকে অভিষেক করিলেন না। রাম অভিষেক{থ পিতার নিকট আসিলে, কৈকেয়া শীঘ্রই তাহাকে এই বাক্য কছিলেন, হে রঘুনন্দন ! তোমার পিতা আমাকে যেরূপ আজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা শ্রবণ কর। হে কাকুৎস্থ ! ভরতকে এই নিষ্কণ্টক রাজ্য প্রদান করিতে হইবে এবং তোমাকে চৌদ্দ বৎসর বনবাসী হইতে হইবে। অতএব তুমি বনগমন করিয়া পিতাকে মিথ্যার হস্ত হইতে মুক্ত কর। রাম অকুতোভয়ে কৈকেয়ীকে তাহাই হইবে বললেন। আমার দৃঢ়ব্ৰত ভৰ্ত্তা র্তাহার বাক্য শুনিয়া তদনুসারে কার্য্য করিলেন। বিপ্র । তিনি কেবল লোককে দান করেন, কখন কাহারও নিকট কিছু গ্রহণ করেন না এবং সৰ্ব্বদা সত্য কহেন, কখনও মিথ্যা বলেন না । ইহাই রামের উৎকৃষ্ট ব্ৰত ; র্তাহার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা অতিশয় বীর, র্তাহর নাম লক্ষণ। তিনি রামের সহায়, সকল পুরুষের শ্রেষ্ঠ, সময়ে শত্ৰুকুল নিৰ্ম্মল করেন এবং তিনি ব্রহ্মচারী ও দৃঢ়ত্রতসম্পন্ন। তিনি ধনুপাণি হইয়া আমার সহিত বনবাসী রামের অনুগামী হইয়াছেন। এইরূপে দৃঢ়ব্ৰত ধৰ্ম্মরত রাম ভ্রাতা ও ভাৰ্য্যার সহিত জটাধর তাপসরূপে দণ্ডকারণ্যে প্রবেশ করিয়াছেন। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ ! অধুনা আমরা তিন জনে কৈকেয়ীর জন্য রাজ্যভ্রষ্ট হইয়া, স্বকীয় তেজঃপ্রভাবে গভীর কাননমধ্যে বিচরণ করিতেছি । আপনি আশ্বাসলাভ করুন । এ স্থানে মুহূৰ্ত্তকাল অবস্থান করিতে পারেন । আমার স্বামী এখনই প্রচুর পরিমাণে বন্য ফলমূল এবং রুরু, বরাহ ও গোধা বধ করিয়া, প্রভূত মাংসভোজ্য লইয়। আগমন করিবেন। এক্ষণে আপনার নাম, গোত্র ও বংশ সত্য করিয়া বলুন। দ্বিজ ! আপনি কি জন্য ৪। সৰ্ব্বভূতপ্রিয় রামের প্রস্রাজন দশরথের দোষেই ঘটয়াছিল, এই কথাই উক্ত মোকে প্রতিপাদিত হইয়াছে।