পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারণ্যকাও রাবণ কপট পরিব্রাজক বেশ ত্যাগ করিয়া, আপনার পূর্বরূপ পরিগ্রহ করিয়া, রক্তাম্বরধারী নিশাচরবেশে স্ত্রীরত্ব সীতাকে অবলোকন করিয়া সুৰ্য্যপ্রভাসদৃশী কৃষ্ণকেশ-সমন্বিত বস্ত্রাভরণভূষিত জানকীকে কহিতে ه لا-د ساتی آ=ffffچ ত্ৰিভুবনবিখ্যাত স্বামী লাভের যদি ইচ্ছা থাকে, অয়ি বরারোহে ! আমাকে আশ্রয় কর ; আমিই তোমার সদৃশ পতি । তুমি চিরকালের জন্য জামাকে ভজনা কর ; আমিই তোমার শ্লাঘ্য পতি। ভদ্রে ! আমি কখনও তোমার অপ্রিয়াচরণ করিব না । তুমি মানুষের প্রতি প্রতি ত্যাগ করিয়া, আমার প্রতি প্রণয় স্থাপন কর। অয়ি মূঢ়ে পণ্ডিতমামিনি মৈথিলি ! তুমি কোন গুণে রাজ্যভ্রষ্ট, বিফলমনোরথ ও পরিমিতায়ু রামের প্রতি অনুরক্ত হইয়াছ ? দেখ, দুৰ্ম্মতি রাম স্ত্রীর কথায় রাজ্য ও আত্মীয়জন ত্যাগ করিয়া, এই হিংস্ৰ জন্তুর আবাস-ক্ষেত্র অরণ্যে বাস করিতেছে। নিরতিশয় দুষ্টাত্মা রাবণ প্রিয়বচনপাত্রী ও প্রিয়বাদিনী মৈথিলীকে এই কথা কহিয়াই কামে মোহিত হইয়া গ্রহণ করিল ; বোধ হইল, আকাশে বুধ যেন রোহিণীকে গ্রহণ করিলেন । ১ সে বামহস্তে পদ্মাক্ষী সীতার কেশপাশ এবং দক্ষিণ হস্তে উরুদ্বয় ধারণ করিল। বনদেবতারাও তখন সেই পর্বতশৃঙ্গসদৃশ তীক্ষদংষ্ট্র রাবণকে দর্শন করিয়া, ভয়াৰ্ত্ত হইয়া, দশ দিকে পলায়ন করিলেন। দেখিতে দেখিতে রাবণের সেই মায়াময় স্বর্ণমণ্ডিত গর্দভযুক্ত ভয়ঙ্করশব্দকারী দিব্য রথ তথায় প্রাদুভূত হইল। তদর্শনে দশানন গভীর স্বরে পরুষ বাক্যে সীতাকে ভৎসনা করিয়া, ক্রোড়ে ধারণ-পূর্বক, তৎক্ষণাৎ রথে তুলিয়া লইল । ১। রোহিণী বুধের মাতা,কামাতুর হইয়। বুধ যদি স্বমাতা রোহিণীকে গ্রহণ করেন, এই কল্পনারূপ অতিশয়োক্তি অথবা অভূতাপমা । সীতা রাবণকে সদ্য মরিবার ৰিমিত্ত অভিশাপ প্রদান ন করার কারণ বেদবতীরূপে সমূলে মাপ করার প্রতিজ্ঞ ছিল বলিয়া। ঋষি ও দেবগণের নিকট রামেরও সেইরূপ প্রতিজ্ঞা পূরণ করিবার নিমিত্তও जछिलां★ &धनांन कट्ब्रन नfहे । ●ዓ6ቅ যশস্বিনী সীতা তৎকর্তৃক গৃহীত ও ভয়ে ব্যাকুল হইয়া রামকে উদ্দেশ করিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন। রম তখন অনেক অস্তরে ছিলেন। রাবণের প্রতি জানকীর কিছুমাত্র অনুরাগ ছিল না । ৩জন্য তিনি আত্মমোচনের অভিলাষে বিধিমতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু কমাৰ্ত্ত দশানন র্তাহাকে পন্নগরাজ-মহিষীর স্যায় গ্রহণ করিয়া উদ্ধে উত্থিত হইল। এইরূপে রক্ষসরাজ রাবণ আকাশপথে হরণ করিয়া লইয়৷ চলিলে, জানকী মত্তা, ভ্রান্তচিত্তা ও আতুরার লুণয়, এই বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন,— ১১-২৩ হা গুরু-চিত্তপ্রসাদক মহাবাহু লক্ষণ ! কামরূপী রাক্ষসকর্তৃক আমি হৃত হইতেছি ; ইহা তুমি জানিতে পারিতেছ না । হা রাম ! তুমি ধৰ্ম্মরক্ষার্থ প্রাণ, সুখ ও অর্থ, সমুদায়ই ত্যাগ করিয়া থাক । এক্ষণে আমি অধৰ্ম্ম-কর্তৃক হৃত হইতেছি, আমাকে উপেক্ষা করিতেছ ? হে শত্ৰতাপন ! তুমি অবিনয়ীদিগের শাসন করিয়া থাক ; তবে কেন এবম্বিধ পাপাত্মা রাবণকে শাসন করিতেছ না ? অবিনীতের কৰ্ম্মফল সদ্যই ফলে না ; শস্য পদ্ধ হইতে হইলে, কালের সহকারিতার প্রয়োজন হয় । রাবণ ! তুমি কালপ্রভাবে হতচেতন হইয়া এই যে কৰ্ম্ম করিলে, ইহার জন্য তোমাকে রাম হইতে প্রাণান্তকর ঘোর বিপদে পতিত হইতে হইবে । হায় ! আমি ধৰ্ম্মণভিলাষী যশস্বী রামের ধৰ্ম্মপত্নী হইয়া হৃত হইতেছি । এত দিনে আত্মীয়গণের সহিত কৈকেয়ীর মনস্কামনা পূর্ণ হইল। এই সকল পুষ্পিতকণিকার এবং জনস্থা সকলকেই প্রার্থনা করিতেছি, সকলেই যেন রামকে বলে, রাবণ সীতাকে হরণ করিয়াছে। হে ংসসারসসেবিত তরঙ্গিণি গোদাবরি ! তোমায় আমি বন্দনা করি, তুমিও শীঘ্র রামকে এই কথা বলিও যে, রাবণ সীতাকে হরণ করিতেছে । এই বিবিধ পাদপসমাকুল বনমধ্যে যে সকল দেবতা বাস করেন, আমি