পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড অবস্থিতি করে না। মহাবল ধৰ্ম্মাত্মা রাম তোমার নগর বা অধিকারমধ্যে কোন অপরাধই করেন নাই ; তবে তুমি কি জন্য র্তাহার নিকট অপরাধী হইতেছ ? দেখ, জনস্থানগত খর অতিশয় দুবৃত্ত ; সুতরাং অষ্টিকৰ্ম্ম রাম সুপর্ণখার জন্য যদি তাহাকে নিহত করিয়া থাকেন, তাহতেই বা র্তাহার অপরাধ কি ? তুমি সেই লোকনাথ রামের ভাৰ্য্যা হরণ করিয়া গমন করিতেছ। এখনই জানকীকে ছাড়িয়া দাও । ইন্দ্রের বজ যেমন বৃত্ৰাসুরকে দগ্ধ করিয়াছিল, তদ্রুপ রামও যেন অনলকল্প ভয়ঙ্কর দৃষ্টিপাতে তোমাকে সেইরূপে ভস্মীভূত না করেন। তুমি যে স্বীয় বসনাঞ্চলে আশীবিষ সপ বন্ধন করিয়াছ, তাহা বুলিতেছ না ; অথবা তোমার গলদেশে কালপাশ নিক্ষিপ্ত হইয়াছে, দেখিতে পাইতেছ না। সৌম্য ! যে ভার বহন করিলে অবসন্ন হইতে না হয়, তাদৃশ ভারই বহন করা উচিত এবং যাহা সহজে জীর্ণ হয় ও কোনরূপ পীড়াদায়ক না হয়, সেইরূপ অন্নই ভোজন করা বিধেয় । যাহার অনুষ্ঠান করিলে ধৰ্ম্ম, কীৰ্ত্তি বা চিরস্থায়ী যশঃ কিছুরই সস্তাবনা নাই, প্রত্যুত শরীরে খেদ জলো, কোন ব্যক্তি তাদৃশ কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হয় ? রাবণ ! যষ্টিসহস্ৰ বৎসর হইল, আমি জন্মগ্রহণ করিয়া, যথাবিধানে পিতৃপৈতামহ রাজ্য পালন করিতেছি । যদিও আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, তথাপি তুমি যুবা, ধনুবর্ণণধারী, কবচ-সম্পন্ন ও রথারোহী হইয়া, আমার সমক্ষে জানকীকে লইয়া, নিরাপদে যাইতে পারিবে না। ন্যায়-সংযুক্ত হেতুবাদ দ্বারা যেরূপ অনাদি প্রচলিত বেদশ্ৰুতির অপলাপ করা সহজ নহে, তুমিও সেইরূপ বলপূর্বক আমার সমক্ষে জানকীকে হরণ করিতে পারিবে না। যদি শূর হও, যুদ্ধ কর । অথবা, রাবণ ! মুহূৰ্ত্তকাল অপেক্ষা কর। পূর্বে । খর যেমন ভূশায়ী হইয়ছে, তুমিও তেমনি হত হইয়া ভূতলে শয়ন করবে। যে তুমি বারংবার যুদ্ধে দৈত্য ও দানবদিগকে নিহত করিয়াছ, বন্ধলধারী রাম 8եյ ©ግዒ অচিরাং যুদ্ধস্থলে সেই তোমার বধসাধন করিবেন। সেই দুই রাজfন্দন রামলক্ষণ দূরে আছেন ; আমি এক্ষণে অীর বি| করিব ? রে নীচ ! তোমাকে শীঘ্রই র্তাহীদের হইতে ভীত হইয়া বিনষ্ট হইতে হইবে, সন্দেহ নাই। আর আমি বাঢ়িয়া থাকিতেও তুমি রামের প্রিয়মহিষী পদ্মনয়ন সৎস্বভাবা এই সীতাকে লইয়া যাইতে পরিবে না। প্রণ দিয়া ও মহাত্মা রাম ও দশরথের প্রিয়ানুষ্ঠান করা আমার অবশ্য কৰ্ত্তব্য। অতএব রাবণ ! তিষ্ঠ, তিষ্ঠ, দেখিবে, তামি বৃন্ত হইতে ফলের স্যায় তোমাকে এই রথ হইতে নিপাতিত করিল। রে নিশাচর । আমি প্রাণপণেও তোলায় নৃদ্ধতিথ্য প্রদান করিব। ১-২৮ AmstmisaalEALE একপঞ্চাশৎ সর্গ পক্ষিরাজ জটায়ু এইপ্রকার কহিলে, বিশুদ্ধ স্বর্ণনিৰ্ম্মিত কুণ্ডলসম্পন্ন রাক্ষসরাজ রাবণ ক্রোধে আরক্তনয়ন হইয়া, তাহার অভিমুখে দ্রুতবেগে গমন করিল ৷ পরে গগনমণ্ডলে বায়ুপ্রেরিত মেঘদ্বয়ের ন্যায় তাহার। উভয়ে অতীব তুমুল যুদ্ধ আরম্ভ করিল। পক্ষবিশিষ্ট পবিতশ্রেষ্ঠ দুই মাল্যবানের স্যায়, গৃধ্ররাজ জটায়ু ও রাক্ষসরাজ রাবণের অদ্ভুত সংগ্রাম উপস্থিত হইল।” অনন্তর রাবণ মহাবল গৃধ্ৰুরাজের প্রতি অনবরত মহাভয়ঙ্কর তীক্ষণগ্র নালীক ও নারাচ এবং বিকণিসমূহ বৰ্মণ করিতে লাগিল । পক্ষিরাজ জটায়ু যুদ্ধে রাবণনিক্ষিপ্ত অস্ত্র ও শরজাল সমুদায় প্রতিগ্রহ করিলেন এবং সুতীক্ষু নখসম্পন্ন চরণদ্বয় দ্বারা রাবণের গাত্র ক্ষত-ক্ষিত করিলেন । তদর্শনে মহাবীর রাবণ রোষভরে শক্ৰ-বধার্থে যমদণ্ড-সদৃশ ভয়ঙ্কর দশ বাণ ১। মালাবান নামে দুইটি পৰ্ব্বত আছে । একটি দণ্ডকারণো, অপরটি মেরুপার্থে অথবা ইহা কল্পনা । যদি পক্ষযুক্ত দুই মালাবান পৰ্ব্বত পরস্পর যুদ্ধ করে, তাহ হইলে গৃঞ্জরাজ ও রাক্ষসরাজের যুদ্ধের छूलन श्ब्र । অথবা মালাবান একটি দণ্ডকারণে, অপরটি কিষ্কিন্ধ্যা-সমূপে।