O আরণ্যকাও ংসভোজী রাক্ষসীগণ ! তোমরা শীঘ্রই জানকীর সমুদায় দৰ্প অপনয়ন কর । সেই ঘোরদর্শন ও ভয়ঙ্করী নিশাচরীগণ রাবণের এই কথায় তৎক্ষণাৎ অঞ্জলিবন্ধনপূর্বক যে আজ্ঞ বলিয়া, তাহার কথামত সীতাকে বেষ্টন করিল। তদর্শনে রাবণ পদভরে পৃথিবীকে যেন কম্পিত ও বিদীর্ণ করিয়া কয়েক পদ গমন-পূর্বক সেই ঘোরদর্শন রাক্ষসীদিগকে পুনরায় বিশেষরূপে আদেশ করিল,-—তোমরা জানকীকে অশোকবনে লইয়া যাও এবং সকলে সৰ্ব্বদা ইহাকে বেস্টন-পূর্বক গৃঢ়ভাবে রক্ষা কর । বহু হস্তিনকে যে ভাবে বশীভূত করে, তোমরাও সেই ভাবে ঘোরতর তজ্জন দ্বারা অথবা সাল্গুন-বাক্যে ইহাকে বশে আনয়ন কর । রাজা রাবণ এইপ্রকার অগঙ্গা করিলে, রাক্ষসীরা জানকীকে লইয়া অশোকবনে গমন করিল। নানাজাতীয় অভিলষিত পুষ্পফল-সম্পন্ন বৃক্ষসমূহ এবং সকল সময়েই প্ৰমত্ত বিবিধ বিহঙ্গম এই অশোকবনের শোভাসম্পাদন করিয়া থাকে। শোকপরীতাঙ্গী জনকস্থাহিত মৈথিলী তথায় বাস্ত্রীগণমধ্যে হরিণীর ন্যায়, রাক্ষসীগণের বশতাপন্ন হইয়া রহিলেন। তাহতে পাশবদ্ধা ভীরু মুগীর স্যায় নিরতিশয শোকে কোনমতেই সুখলাভ করিতে পারিলেন না। বিরূপনেত্রী রাক্ষসীগণ-কর্তৃক অতীব ভৎসিত হইয়া, পরম প্রিয় স্বামী ও দেবরকে সর্বদা স্মরণ করিয়া এবং ভয়-শোকে প্রপীড়িত ও অচেতন হইয়া, তিনি তথায় শান্তিলাভ করিলেন না।” ২৩-৩৬ ৪ । সীতা লক্ষ্মীর অবতার, এ কথা সুপ্রসিদ্ধ। এই রামায়ণেই আছে—সীতা লক্ষ্মীর্ভবান বিষ্ণু। বিষ্ণুপুরাণে ১মাংশ ৯মাধ্যায়ে আছে রাঘবত্বে ভবৎ সীতা রুক্মিণী কৃষ্ণজন্মনি। সেই সীতাকে রাবণ-অপহরণ করিয়াছিল, যে রাবণ মূৰ্ছিত লক্ষ্মণকে স্থানান্তরিত করিতে পারে নাই। ইহা কেন সংঘটিত হইল ? উত্তর, বেদবতীরূপ পূৰ্ব্বজন্মে দেবী সেইরূপই गकन्न कब्रिब्राझ्प्लिन, छेउल्लकां८७ बांtछ्--पञाउ. ५र्मिठ क्रांशः उग्रः পাপীষ্মণ বনে। তন্মাত্তব বধাৰ্থং ৰ উৎপৎস্তেহং মহীতলে। দেবকীর্ষ্য নির্বাহের জঙ্ক নিজেই স্বধৰ্ষণ স্বীকার করিয়াছিলেন। রাবণ কর্তৃক क्वीङ्गड बदल्लो बक्रथार्थ, जीउ निब३ cनश् जकात गिब्राङ्गिन। স্বাক্ষরকাণ্ডে আছে, নাপহওঁ মহং শকা তস্ত রামস্ত ধীমতঃ । বিধিস্তব বধার্থীয় বিছিতো নাত্র সংশয়ঃ সীতার বিলাপাদি পতিব্ৰতা রমণীগণের चांछब्र-बावशब्राक् िनिकांद बूकिtठ श्रेष। ۵ سواری সপ্তপঞ্চাশৎ সগ গু এ দিকে রাম মৃগরূপে বিচরণকারী কামরূপী নিশাচর মারীচকে হনন করিয়া শীঘ্রই পথিমধ্যে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন, এবং জানকীকে দেখিৰার জন্য সত্বর হইলেন। ঐ সময়ে গোমায়ু তাহার পৃষ্ঠদেশে ক্রুরস্বরে শব্দ করিতে আরম্ভ করিল। তিনি শৃগালের ঐ রোমাঞ্চকর দারুণ স্বর শ্রবণ করিয়া, নিতান্ত ভীত হইয়া মনে মনে শঙ্কা করিতে লাগিলেন, গোমায়ু যে প্রকার শব্দ করিতেছে, তাহাতে কোন তাশুভ ঘটলে বোধ হইতেছে । এক্ষণে রাক্ষসকর্তৃক ভক্ষিত না হইয়া সীতা কুশলে থাকিলেই ভাল। মুগরূপী মারীচ জানিয়া শুনিয়া অামার স্বর লক্ষ্য করিয়া চীৎকার করিয়াছে ; লক্ষণ যদি শুনিয়া থাকেন, তাহা হইলে, সীতা-প্রেরিত হইয়া, সীতাকে ত্যাগ করিয়া, তিনি শীঘ্রই আমার নিকট
- বঙ্গদেশী’ পুস্তকে এই সর্গের পূর্বে ১টি সর্গ অাছে। ঐ সর্গে বর্ণিত হইয়াছে যে, সীত: লঙ্কায় প্রবেশ করিলে ব্ৰহ্মা ইন্দ্রকে বলিয়াছিলেন, ত্রিলোকহিতের নিমিত্ত ও রাক্ষসজাতির অহিতের জন্ত দুরাত্ম রাবণ সীতাকে লঙ্কায় লইয়। গিয়াছে, পতিব্ৰহ। সীতা আত্মীয়BBB BB BBBS BB BBBBB BBDD BBEEBBB BBBS কিরূপে সমুদ্রপারে অবস্থান করিলেন এল কিরূপে তিনি জানিবেন যে, রাম তাহাকে লইয়। যাইবেন । হয় ত এইভাবে অনাহারে তিনি প্রাণত্যাগ করিবেন, yভরা সীতার জীবনরক্ষার বিষয়ে সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে । তুমি শীঘ্ৰ লঙ্কায় গমন করিধ। সীতাকে উৎকৃষ্ট হবা আহাষা প্রদান কর । দেবরাজ ব্ৰহ্মার বাকো নিদ্রার সহিত তৎক্ষণাৎ লঙ্কায় গিয়াছিলেন, এবং নিদ্রাকে বলিলেন, তুমি সকল রাক্ষসকে নিদ্রীয় প্রমুগ্ধ কর। নিদ্র। দেবরাজের আদেশ পালন করিলে, দেবরাজ অশোকবনস্থিতা সীতার নিকট গিয় বলিলেন, হে ভদ্রে, আমি দেবরাজ ইন্দ্র, রামের কার্যrসিদ্ধির নিমিত্ত সাহায্য করিল, তুমি শোক করিও না। আমার অনুগ্রচে রাম সমুদ্র পার হইবেন, আদ্য রাক্ষসীগণ মায়ায় মুগ্ধ আছে, আমি তোমার জন্ত এই হৰিষায় লইয়া নিদ্রার সহিত এখানে আসিয়াছি, এই অল্প আহার করিলে, ক্ষুধা-তৃষ্ণ তোমার থাকিবে না। দেবরাজ এইরূপ বলিলে সীতা সচকিত হইয়া বলিলেন, দেবতার যে সকল চিহ্ন আছে, তাহ দে"ি-ল আপনাকে ইন্দ্র বলিয়া বিশ্বাস করিব | সীতার বাকো ইন্দ্র দেবচিহ্ন দেখাইলেন, ইত্রের পদ ভূমিস্পর্শ করে নাই, চক্ষুর নিমেষ নাই, নিৰ্ম্মল বস্ত্ৰ মালা ইত্যাদি। সীতা ঐরাপ দর্শনে আনন্দিভ। হইয়া বলিলেন, জনকরাজ ও মহারাজ দশরথের গুfয় আপনাকে দেখিয়া ঐত হইলাম, আমার স্বামী প্রকৃতই সনাথ । আপনার আদেশে এই হৰিষা আমি আহার কারব। এই বলিয়া ইত্ৰ-হস্ত হইতে ঐ পায় । গ্রহণ করিয়া উহা হইতে রাম ও লক্ষ্মণকে কিয়দংশ নিবেদন করিষ। অধশিষ্ট নিজে গ্রহণ করিলেন, এবং ক্ষুধা-তৃক তাহার তিরোহিত হইল, ইন্দ্রও সীতাকে বলিয়া স্বর্গে চলিয়া গেলেন।
