পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫৭

Ö আরণ্যকাও আমার এই বনবাসত্রত কি মিথ্যা ১ লক্ষণ । সীতার জন্য আমি প্রাণত্যাগ করিলে এবং তুমি অযোধ্যায় প্রতিনিবৃত্ত হইলে, কৈকেয়ী কি সফলমনোরথ ও সুখী হইবেন ?” কৈকেয়ী ঐরাপে পুত্রের রাজপদপ্রাপ্তিতে সিদ্ধকম হইলে, আমার মৃতপুল দীন তপস্বিনী জননী কৌশল্যাকে কি বিনয় সহকারে কৈকেয়ীর উপাসনা করিতে হইবে ? লক্ষ্মাণ ! সীতা যদি বাচিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমি পুনরায় তা শ্রমে গমন করিব। আর সেই শুদ্ধাচারিণী যদি পরলোকে গমন করিয়া থাকেন, তাহ হইলে পাণত্যাগ করিব। আমি আশ্রমে গমন করিলে, সীতা যদি সম্মথে হাস্য করিয়া তামাকে সম্ভাষণ না করেন, তাহা হইলেও বিনষ্ট হইব। অতএব লক্ষণ ! জানকী জীবিত অাছেন কি না, বল ; অথবা তোমার অনবধানতাবশতঃ সেই তপস্বিনীকে রক্ষসেরা কি ভক্ষণ করিয়াছে ? বৈদেহী সুকুমারী, বালিক এবং তঃখভোগের অনুচিত, এক্ষণে আমার বিরহে দৰ্ম্মনা হইয়া নিশ্চয়ই শোক করিতেছেন । অতিশয় রাত্মা ক্রর নিশাচর মারচ উচ্চৈঃস্বরে ‘হ লক্ষণ' বলিয়া সর্বি প্রকারে তোমারও ভয় জন্মাইয়া দিয়াছে। বোধ করি, মৎসদৃশ সেই স্বর জানকীল শ্রবণগোচর হওয়াতে তিনি ত্রস্ত হইয়া তোমাকে পাঠাইয়াছেন । তুমিও আমায় দেখিবার জন্য শীঘ্ৰ আগমন করিয়াছ। যাহা হউক, তুমি সীতাকে বনমধ্যে ত্যাগ করিয়া আসিয়া অতি কষ্টকর কার্যা করিয়াছ । ইহাতে নির্দয় রাক্ষসদিগকে আমাদের কৃত অপকারের প্রতিকার করিবার অবসর দেওয়া হইয়াছে । খরকে বিনাশ করাতে মাংসভোজী s । नैौडी बैंष्ठेिग्न शंदिcन्न उधांग्नि रैंकिंग्नी षांकिव, डिनि मज्ञिाळा চতুর্দশ বর্ষ পূর্ণ না হইতেই আমি মরিক, সুতরাং আমার বনবাসত্রত মিখা হইবে, ইহাই রামের বলিবার তাৎপর্ব । २ । ब्रांथ बटन "भरन १ कथा छांवि८डन cष, छैशंब्र दिनांtअंद्र • নিমিত্তই কৈকেয়ী রামকে বনে পাঠাইয়াছেন । হগু, প্রমত্ত, কুপিত ব্যক্তির হৃদয়ের ভাব যুখে বাক্ত হয়। Wobr> রাক্ষসগণ দুঃখিত হইয়াছে। সেই ঘোর নিশাচরগণ নিঃসন্দেহেই সীতাকে নিহত করিয়াছে। হায় ! শত্রুমুদন লক্ষণ ! সৰ্ব্বথ। আমি বিপদে মগ্ন হইলাম । আমি ইদানীং'কি করিব ? এই বিপদ অবশ্বাস্তাবী বলিয়া আমার আশঙ্কা হইতেছে। রাম বরারোহা সীতার জন্য এই প্রকার চিন্তা করিতে করিতে লক্ষাণের সহিত ত্বরান্বিত হইয়া জনস্থানে আগমন করিলেন। ক্ষুধ, শ্রম ও পিপাসায় তাহার মখমণ্ডল শুষ্ক হইয়াছিল। তিনি বিমগ্নচিত্তে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করত লক্ষণকে আর্য্যভাবে নিন্দ করিতে করিতে ঐরূপে তাশ্রমে সমাগত হইয়া দেখিলেন, উহা শূন্ত রহিয়াছে, সীতা তথায় নাই ! তানন্তর সেই বীর আশ্রমমধ্যে প্রবেশ করিয়া ক্রীড়াস্থান সকলও অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন এবং এই সেই ক্রীড়াপ্রদেশ, এইপ্রকার স্মরণ করিয়া তিনি শোকে ব্যথিত ও রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিলেন । ১-২০ ஆதாகது একোনষষ্টিতম সর্গ আশ্রম হইতে সমাগত লক্ষণকে রাম দুঃখিত হইয়। পথিমধ্যে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন,—ভাই ! তুমি কি জন্য সীতাকে ত্যাগ করিয়া এখানে আসিলে ? আমি তোমারই বিশ্বাসে সীতাকে বনমধ্যে ছাড়িয়া আসিয়াছি। লক্ষণ ! তুমি সীতাকে ত্যাগ করিয়া আসিয়াছ দেখিয়াই আমার মন যে মহান অনিষ্ট আশঙ্কা করিয়া ব্যথিত হইয়াছে, তাহা সত্য ।” তোমাকে দূর হইতেই পথিমধ্যে সীতা বিনা একাকী দেখিয়া, আমার বামহস্ত, বামনেত্র ও হৃদয়ের বামভাগ স্পন্দিত হইয়া উঠিয়াছে । শুভলক্ষণ লক্ষণ এই কথায় দুঃখসমাবিষ্ট হইয়া, দুঃখিত রামকে কহিলেন,— ১ । তোমাকে একাকী জাসিতে দেখিয়া আমার আশঙ্ক যে সত্য, ইহ বুখিতে পারিয়াছি। একাকী বলিয়াই এই সকল সম্ভাবন করা यग्नि ।