পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাগু করিব ? সীতার বিনাশে নিশ্চয়ই আমার দীনত্ব হইবে । আমি যখন বনবাস হইতে দেশে প্রত্যাগত হইব, তখন রাজা জনক কুশল জিজ্ঞাসা করিলে, কিরূপে তাহাকে অবলোকন করিতে সমর্থ হুইব ? তিনিও আমাকে সীতাহীন দেখিলে নিশ্চয়ই কন্যা বিনা শোকে সন্তপ্ত হইয়া মোহান্বিত হইবেন । পিতা দশরথই ধন্য! যেহেতু, তিনি স্বর্গে বাস করিতেছেন। আমি আর অযোধ্যায় গমন করিব না। অযোধ্যার কথা কি, সীতাবিহনে স্বৰ্গও আমার শুন্য বলিয়া মনে হয়। অতএব তুমি আমায় এই অরণ্যমধ্যে পরিত্যাগ করিয়া অযোধ্যায় গমণ কর । আমি সাত ব্যতিরেকে কোনমতেই জীবন ধারণ করিতে পারিব না। তুমি আমার বাক্যানুযায়ী ভরতকে গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া বলিবে, রাম অনুমতি দিয়াছেন, তুমিই এই রাজ্য পালন কর । হে বিভো ! জননী কৌশল্য, কৈকেয়ী এবং সুমিত্র, ইহাদের প্রত্যেককে আমার তাজ্ঞানুসারে যথাবিধি অভিবাদন করিয়া, সর্বদা সদবাক্য প্রয়োগপূর্বক যত্নাতিশয়-সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করিবে । হে অরীতিনাশন ! জননীকে বিস্তারক্রমে সীলবিনাশবার্তা নিবেদন করিবে । রাম সুকেশী সীতার বিরহে নিতান্ত ব্যাকুল হইয়। এই প্রকার বিলাপ করিতে লাগিলে, ভয়ে লক্ষণের মুখ বিবর্ণ ও মন ব্যথিত হইল এবং তিনি যার-পর-নাই অতুির হইয়া পড়িলেন । ১-২০ ত্ৰিষষ্টিতম সর্গ প্রিয়াবিহীন রাজপুত্র রাম শোকমোহে আৰ্ত্ত ও পীড়িত হইয়া, লক্ষণের বিষাদ উৎপাদন-পূর্ববক পুনরায় স্বয়ং তীব্র বিষাদগ্রস্ত হইলেন। অনন্তর তিনি বিপুল শোকে মগ্ন হইয়া, শোকভরে দীর্ঘনিশ্বাস

  • s I ईंट्टेखनविहङ्गांप्* क्रिखवृखिविप्नदृषब्र नांभ c*ांक ७ष९ इंटेखन

বিরহে চিত্তের বিকলতার নাম মোহ । ○s@r ত্যাগ করিয়া, রোদন করিতে করিতে শোকাক্রান্ত লক্ষণকে উপস্থিত বিপদের অনুরূপ বাক্যে বলিতে লাগিলেন,–বোধ হয়, আমার মত দুষ্কৰ্ম্মকারী দ্বিতীয় ব্যক্তি পৃথিবীতে নাই। দেখ, উপযুপিরি অবিশ্রাম শোকপরম্পরা সংঘটিত হইয়া, আমার মন ও হৃদয় বিদ্ধ করিতেছে । পূৰ্ব্বজন্মে নিশ্চয়ই আমি ইচ্ছাপূর্বক বারম্বার বহুতর পাপকৰ্ম্ম অনুষ্ঠান করিয়াছি । অদ্য তাহারই ফল উপস্থিত হইতেছে ; সেই জন্য দুঃখের উপর দুঃখ উপস্থিত হইতেছে। রাজ্যনাশ, পিতৃবিনাশ, জননীবিয়োগ ও স্বজনবিচ্ছেদ, এই সকল স্মৃতিপথে সাদিত হইয়া আমার শোকবেগ পরিপূর্ণ করিতেছে । কিন্তু লক্ষণ ! বনে আসিয়া সীতার সহবাসে সাদায় দুঃখই নিবৃত্তি পাইয়াছিল, শারীরিক ক্লেশমাত্র অনুভূত হইত না । অদ্য সীতার বিয়োগে, কাষ্ঠসংযোগে সহসা প্রদীপ্ত অগ্নির স্যায় তৎসমস্ত পুনয়ায় প্রবল হইয়া উঠিল। নিশ্চয়ই কোন রাক্ষস সেই ভীরুস্বভাব। আর্য্যা সীতাকে আকাশপথে অপহরণ করিয়া লইয়। গিয়াছে । আহা ! তৎকালে সেই সুন্দরভাষিণী ভয়বশতঃ বিকৃতস্বরে বারংবার ক্ৰনদন করিয়াছেন সন্দেহ নাই। প্রিয়ার সেই সুবৃত্ত স্তনযুগল সর্বদাই হরিচন্দন-যোগ্য, নিশ্চয়ই রাক্ষসগণ ভক্ষণ করিবার সময়ে তাহ শোণিতপঙ্কে লিপ্ত হইয়াছে । আর আমি এই শরীরে তাহা তাশ্লেষ করিতে পাইব না । তাহার মুখমণ্ডল কুঞ্চিত কেশকলাপে শোভিত এবং সুন্দর, সুমধুর, সুকোমল ও সুস্পষ্ট বাথিস্যাসে স্থশোভিত । তিনি রাক্ষসের বশীভূত হইলে, রাহুমুখনিপতিত চন্দ্রে ন্যায় নিশ্চয়ই সেই মুখের সমুদায় সৌন্দৰ্য্য তিরোহিত হইয়াছে। প্রিয়ার সেই সুন্দর গ্রীবা সর্বদাই হারগুচ্ছে ভূষিত, রুধিরভোজী রাক্ষসেরা একান্তে পাইয়া, নিশ্চয়ই তাহ ভেদ করিয়া রক্তপান করিয়াছে । আমি না থাকাতে নির্জন বনে রাক্ষসেরা চতুৰ্দ্দিক বেষ্টন-পূর্বক আকর্ষণ করিতে