পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रीब्रअंग्लकांe নিরাশ করিলে, রাম সীতাবিরহে ব্যথিত হইয়৷ লক্ষণকে বলিতে লাগিলেন,—১-১০ হে শুভদৰ্শন ! এই গোদাবরী কিছুই প্রত্যুত্তর করিতেছে না ; কিন্তু আমি সীতা-ব্যতিরেকে স্বদেশে প্রত্যাগত হইয়া, সীতার পিতা জনক ও তদীয় মাতাকে কি অপ্রিয় কথা বলিব ? আমি রাজ্যভ্রষ্ট হইয়৷ বনমধ্যে বন্য ফলমূলাদি দ্বারা জীবন ধরণে প্রবৃত্ত হইলে, যিনি আমার শোক অপনয়ন করিয়াছিলেন, সেই বৈদেহী কোথায় গেলেন ? আমি জ্ঞাতিবর্গবিহীন হইয়া, সীতাকেও দেখিতে না পাইয়া, জাগরণ করিতে থাকিলে, রাত্রি সকল আমার পক্ষে দীর্ঘ হইবে। যদি সীতাকে দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা হইলে আমি এই প্রস্রবণ নামক পর্বত, জনস্থান ও মন্দাকিনী, সৰ্ব্বত্রই বিচরণ করিতে পারি। হে বীর । ঐ দেখ, মহামৃগ সকল আমাকে পুনঃপুনঃ অবলোকন করিতেছে। ইঙ্গিতে বোধ হইতেছে, যেন উহারা আমাকে কি বলিতে উৎসুক হইয়াছে । অনন্তর নরশ্রেষ্ঠ রাম মুগদিগকে নিরীক্ষণ করত বাপগদগদ-বচনে জিজ্ঞাসা করিলেন, সীতা কোথায় ? মৃগগণ নরেন্দ্র রামের এই কথায় সহসা গাত্রোথান করিয়া, দক্ষিণাভিমুখে আকাশপানে চাহিয়া রহিল এবং মিথিলীরাজ-দুহিতা সীতা যে দিক দিয়া হৃত হইয়াছেন, সেই দিক অবলম্বন-পূর্বক রামকে দেখিতে দেখিতে গমন করিতে লাগিল। ঐ সময়ে লক্ষণ লক্ষ্য করিলেন যে, মৃগগণ একবার আকাশমাগ, আরবার ভূমিতল নিরীক্ষণ এবং পুনরায় শব্দ করিতে করিতে গমন করিতেছে । ইহাতে তিনি ইঙ্গিতে তাহাদের সমুদায় কথাই বুঝিয়া লইলেন । ১১-২০ অনন্তর ধীমান লক্ষণ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামকে আর্জের স্যায় কহিলেন, দেব ! আপনি ‘সীতা ●›ጫ গমন করি । যদি তথায় আর্য্যা সীতা লক্ষিত হন, অথবা তাহার প্রাপ্তির কোন উপায় অবধারিত হয় । তখন শ্ৰীমান রাম ‘তাহাই হউক বলিয়া, তাহার সহিত ভূমি দর্শন করিতে করিতে দক্ষিণদিকে প্রস্থান করিলেন । এইরূপে দুই ভ্রাত কথোপকথন করত যাইতে যাইতে অবলোকন কারলেন যে, কোন স্থানে পথিমধ্যে পুষ্পরাশি পতিত রহিয়াছে, ভূতলে পুষ্পবৃঃিপতন দর্শন করিয়া, রাম দুঃখিত হইয়া, দুঃখিত বাক্যে লক্ষণকে কহিলেন,—-লক্ষণ । এই সেই সকল কাননকুসুম, আমি চিনিতে পারিয়াছি। ঐ সকল আমি বৈদেহকে দিয়াছিলাম। তিনি ঐ সকল পুষ্প অঙ্গে ধারণ করিয়াছিলেন । বোধ হইতেছে, সুৰ্য্য, বায়ু ও যশস্বিনী পৃথিবী, ইহারা আমার প্রিয়ানুষ্ঠানকামনায় ঐ সকল পুষ্প রক্ষা করিয়াছেন ; সেই জন্য ইহারা স্নান ও স্থানান্তরিত হয় নাই । মহাবাহু ধৰ্ম্মাত্মা রাম পুরুষশ্রেষ্ঠ লক্ষণকে এই কথা বলিয়া, বহুপ্রস্রবণযুক্ত সম্মুখরওঁ পৰ্ববতকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, ওহে পৰ্বতশ্রেষ্ঠ ! তুমি কি সেই সৰ্ববঙ্গসুন্দরা মদ্বিরহিত ললনাকে রমণীয় বনদেশে দর্শন করিয়াছ ? অনন্তর সেই পৰ্ব্বত উত্তর না দিলে, তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া, সিংহ যেমন ক্ষুদ্র মৃগকে বলে, সেইরূপ পর্বতকে কহিলেন,—হে পৰ্ব্বত ! তোমার সামু সকল ধ্বংস না করিতে করিতে সেই হেমবৰ্ণ হেমাঙ্গা সীতাকে দেখাইয়া দাও । তিনি মৈথিলীর উদ্দেশে এইপ্রকার বলিলে, গিরিরাজ মখন সীতাকে দেখাইতে ইচ্ছা করিয়াও দেখাইতে পারিলেন না, তখন রাম তাহাকে আবার কহিলেন, তুমি আমার বাণানলে নিঃশেষে ভস্মীভূত হইবে, তোমার তৃণ ও বৃক্ষ-পল্লব সকলও এককালেই বিনষ্ট হইবে ; তখন আর কেহই তোমার আশ্রয় লইবে না। লক্ষণ ! কোথায় ? এই কথা জিজ্ঞাসা করিলে, এই সকল চন্দ্রাননা সীতার কথা না বলিলে, এই গোদাবরী মৃগ সহসা উখিত হইয়া, ভূমি ও দক্ষিণ দিক প্রদর্শন নদীকেও আজি আমি শোষণ করিব। ২১-৩৩ করিতেছে ; অতএব চলুন, আমরা এই দিকে রাম এইরূপে ক্রোধাম্বিত হইয়া, চক্ষুদ্বারা যেন