পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)Sb” দগ্ধ করিতে উদ্যত হইয়া, ইতস্ততঃ অবলোকন করিতে করিতে ভূপৃষ্ঠে রাক্ষসের পদচিহ্ন সকল দেখিতে পাইলেন এবং রাক্ষস অনুসরণ করাতে জানকী ভীত হইয়াছিলেন, র্তাহারও পদচিহ্ন সকল দেখিতে পাইলেন। তিনি জানকী ও রাক্ষসের ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ এবং ভগ্নধনু, ছিন্ন তৃণীর ও বহুধাণীর্ণ রথ ইত্যাদি দর্শন করিয়া, সন্ত্রান্ত-হৃদয়ে প্রিয়ভ্রাতা লক্ষণকে কহিলেন, লক্ষণ । অবলোকন কর, জানকীর অলঙ্কারের স্বর্ণবিন্দু সকল ও বিবিধ মাল্য ঐ পতিত রহিয়াছে। হে সৌমিত্রে ! এ দিকে আবার অবলোকন কর, ভূমিতল চতুর্দিকে স্বর্ণবিন্দু-সদৃশ বিচিত্রিত রক্তবিন্দুসমূহে সমলস্কৃত রহিয়াছে। বোধ হয়, কামরূপী রাক্ষসেরা জানকীকে খণ্ডে খণ্ডে ছেদন করিয়া, ভক্ষণ করিয়া ফেলিয়াছে ! সৌমিত্রে ! বোধ হয়, সীতার জন্য বিবাদ করিয়া, উভয় রাক্ষসের তুমুল যুদ্ধ হইয়াছিল সন্দেহ নাই। সৌম্য ! কাহার এই মুক্তামণি খচিত, রমণীয়, বিভূষিত ধনু ভূপৃষ্ঠে ভগ্ন হইয়া পতিত রহিয়াছে ? বৎস! এই ধনু হয় দেবগণের, না হয় রাক্ষসগণের। ঐ দেখ, কাহার এই তরুণ-সুৰ্য্য-সদৃশ বৈদূৰ্য্যমণিলাঞ্ছিত স্বর্ণকবচ বিশীর্ণবস্থায় ভূতলে পতিত রহিয়াছে। সৌম্য! এই শত-শলাকণ-সমন্বিত দিব্যমাল্য-শোভিত ছত্রই বা কাহার-ভূমিতে নিপতিত রহিয়াছে ? ইহার দণ্ড ভগ্ন হইয়া গিয়ছে । এই কাঞ্চনময় উরশছদ-সম্পন্ন পিশাচ-বদন বৃহদাকার ভয়ঙ্কর-রূপ গর্দভগণই বা কাহার, সংগ্রামে নিহত হইয়াছে ? এই প্রদীপ্তপাবক সদৃশ দু্যতি-সম্পন্ন যুদ্ধধ্বজ, ভগ্ন সংগ্রামিক রথই বা কাহার পতিত রহিয়াছে ? এই স্বর্ণভূষিত, ভয়ঙ্করাকার, চতুঃশতাঙ্গুলি দীর্ঘ, ফলকবিহীন বাণ সকলই বা কাহার ইতস্ততঃ সমাকীর্ণ ও নিহিত রহিয়াছে ? লক্ষণ । অবলোকন কর, ঐ শরপূর্ণ তৃণীরদ্বয় একেবারেই বিধ্বস্ত হইয়াছে। কাহারই বা প্রভোদ ও রশ্মিধারী সারথি নিহত হইয়াছে ? বাল্মীকি-রামায়ণ কোন রাক্ষসের এই পদসঞ্চারমার্গ সুস্পষ্ট লক্ষিত হইতেছে ? ৩৪-৫০ হে শুভদৰ্শন ! অতীব কঠিনঙ্গদয় কামরূপ নিশাচরগণের সহিত আমার পূর্বাপেক্ষা শতগুণ বৈর সংঘটিত হইল ; ইহাতে তাহাদের জীবনান্ত উপস্থিত হুইবে দেখিও । যাহা হউক, রাক্ষসেরা সীতাকে হরণ কিংবা ভক্ষণ করিয়াছে ; না হয়, তিনি প্রাণত্যাগ করিয়াছেন। কিন্তু এই মহারণে তিনি মিয়মাণ। তইলে, ধৰ্ম্ম তাহাকে পরিত্রাণ করিলেন না । লক্ষণ ! এইরূপে যখন জানকী হৃতা কিংবা ভক্ষিতা হইলেন, ধৰ্ম্মও যদি তাহাকে পরিত্রাণ না করিলেন, তাহা হইলে সংসারে ঐশীশক্তিবিশিষ্ট আর কোন ব্যক্তিগণ আমার প্রিয়ানুষ্ঠানে সমর্থ হইবেন ? প্রাণিগণ অজ্ঞানপ্রযুক্ত সমস্ত লোকের কর্তা, পরম দয়ালু, স্বরবর মহেশ্বরকেও দয়াশীল বলিয়া মানে না।” আমার স্বভাব সাতিশয় কোমল ও সর্ণবদাই আমি লোক সকলের হিতানুষ্ঠান ও করুণ। পূর্বক তাহদের শুভাশুভবিধান করিয়া থাকি ; অতএব ইন্দ্রাদি ত্ৰিদশেখরগণ নিশ্চয়ই আমাকে নিবীৰ্য্য মনে করেন। লক্ষণ ! ভাবিয়া দেখ, আমায় প্রাপ্ত হইয়া দয়াদক্ষিণ্যাদি গুণ সকলও দোষরাপে পরিণত হইল । অতএব সৰ্ব্বপ্রাণীর ও রাক্ষস জাতির অমঙ্গলের জন্য প্রলয়কালে চন্দ্রের জ্যোৎস্ন সংহার করিয়া, সৰ্ব্বভূততাপন সুৰ্য্য যেমন সমুদিত হয়েন, আদ্য সমুদায় গুণ ংহরণ-পূর্বক মদীয় তেজও তেমনি প্রকাশিত হইবে। লক্ষণ ! অদ্য যক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব, পিশাচ, রাক্ষস, কিন্নর বা মনুষ্য কেহই সুখলাভে সমর্থ হইবে না। অদ্য আমার বাণসমূহে সমুদায় আকাশ ব্যাপ্ত হইবে। দেখ, অদ্য আমি ত্রিলোকবাসী প্রাণীদিগের গমনাগমন রুদ্ধ করিব। অদ্য আমি ত্রিলোককে কালকবলে নিক্ষেপ করিব । তাহাতে গ্ৰহগণের সঞ্চার রুদ্ধ, – । शनि कूनिउ श्रेया कि कब्रिादन, ७३ बन कब्रिग्नौ जजारुडांद দেখাইয়া থাকে।