পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি তৎকালে কি বলিয়াছিলেন ? সেই রাক্ষস রাবণের বীর্য্য, রূপ ও কৰ্ম্মই বা কিরূপ ? তাত । তাহার নিবাসই বা কোথায় ? জিজ্ঞাসা করিতেছি, বলুন। তখন ধৰ্ম্মাত্মা জটায়ু স্বলিতবচনে নিরবধি বিলাপকারী রামকে এই কথা বলিলেন,—১-৮ রাক্ষসরাজ দুরাত্মা রাবণ বায়ু ও দুর্দিনকারিণী মহতী মায়া আশ্রয় করিয়া সীতাকে হরণ করিয়াছে। তাত ! আমি সবিশেষ শ্রান্ত হইয়া পড়িলে, নিশাচর আমার পক্ষদ্বয় ছেদন ও সীতাকে গ্রহণ করিয়া, দক্ষিণদিকে প্রস্থান করিল। অয়ি রঘুনন্দন । আমার প্রাণ মণ বেদনায় পীড়িত ও দৃষ্টিভ্রম হইতেছে এবং তামি উশীররূপ কেশযুক্ত সুবর্ণময় বৃক্ষ সকল দর্শন করিতেছি।” রাবণ যে মুহূৰ্বে সীতাকে লইয়া গিয়াছে, সেই মুহূর্বে যে ধন নন্ট হয়, শীঘ্রই সেই অপহৃত ধন ধনস্বামী প্রাপ্ত হইয়া থাকে। ঐ মুহূৰ্ত্তের নাম বিন্দ ( অর্থাৎ, ঐ মুহূর্তে কোন দ্রব্য নষ্ট হইলে তাহ শীঘ্রই প্রাপ্ত হওয়া যায়, ) রাবণ ইহা অবগত নহে। অতএব বড়িশগ্রাহী মৎস্তের স্যায় আশু তাহার বিনাশ হইবে ; তুমিও আর জানকীর প্রাপ্রিবিষয়ে কোন সন্দেহ করিও না । রাবণকে যুদ্ধে নিহত করিয়া শীঘ্রই সাঁতার সহিত বিহার করিতে সমর্থ হইবে । অনন্তর রামের সহিত সম্ভাষণকারী সেই অবিমূঢ়চিত্ত, ম্ৰিয়মাণ গৃধরাজ জটায়ুর মুখ হইতে মাংসযুক্ত রক্ত ক্ষরিত হইতে লাগিল। তখন তিনি ‘রাবণ বিশ্রবার পুত্র এবং সাক্ষাৎ কুবেরের ভ্রাতা এইমাত্র বলিয়াই প্রাণ পরিত্যাগ করিলেন ২ রাম কৃতাঞ্জলি হইয়া, বলুন ! বলুন ! এই প্রকার কহিতে লাগিলেন। র্তাহার সমক্ষেই তৎক্ষণাৎ জটায়ুর জীবন শরীর ত্যাগ-পূর্বক আকাশে উত্থিত হইল। তখন গৃধ্ররাজ চরণযুগল অরণ্যকাণ্ড 8evరి প্রসারিত ও স্বীয় শরীর বিক্ষিপ্ত করিয়া, ভূমিন্যস্তমস্তকে ধরাতলে নিপতিত হইলেন । ৯-১৮ রাম পৰ্ব্বতসদৃশ প্রকাণ্ডাকৃতি তাম্রাক্ষ গৃধ্ৰুকে গতজীবন দর্শন করিয়া, বহুদুঃখে দীনভাবাপন্ন হইয়া, সৌমিত্রিকে কহিলেন, জটায়ু এই রাক্ষস-নিবাস দণ্ডকারণ্যে বহুবৎসর বাস করিয়া, অধুনা দেহ বিসৰ্জ্জন করিলেন । এইরূপে অনেক বর্ম জীবিত ও চিরকাল অভু্যদয়-প্রাপ্ত ছিলেন, তিনি আজি নিহত হইয়া ভূতলে শয়ন করিয়া আছেন ; বুঝিলাম, কালকে অতিক্রম করা সহজ নহে । লক্ষমণ ! অবলোকন কর, এই গৃধ আমাদের উপকারী, সীতাকে মোচন করিতে উদ্যত হইয়া, ডুরাত্মা রাবণ কর্তৃক নিহত হইয়াছেন ; এবং আমারই নিমিত্ত পিতৃপিতামহ-প্রাপ্ত মহৎ গুপ্ররাজ্য ত্যাগ করিয়া প্রাণ পরিত্যাগ করিয়াছেন। বুঝিলাম, সকল জাতিতেই শৌর্য্যসম্পন্ন, শরণা, ধৰ্ম্মাচারসম্পন্ন সাধুগণ লক্ষিত হইয়া থাকেন ; তিৰ্য্যগজাতিতেও এ বিষয়ের পরিহার নাই। সৌম্য! আমারই জন্য এই গৃধ প্রাণত্যাগ করিলেন ; সুতরাং ইহার মৃত্যুতে সীতার হরণ অপেক্ষাও আমার অধিক দুঃখ হইয়াছে। মহাযশা শ্ৰীমান দশরথ আমার যেরূপ পূজ্য ও মাননীয়, এই বিহঙ্গবরও সেইরূপ। সুমিত্রানন্দন ! তুমি কাষ্ঠ সকল আহরণ কর, অামি অগ্নি উৎপন্ন করিয়া, আমার জন্য নিধনগত এই গুধরাজের সৎকার করিব। সৌমিত্রে! এই জটায়ু পক্ষিগণের নাথ, এবং রৌদ্রক রাক্ষস-হস্তে নিহত হইয়াছেন। আমি ইহাকে চিতায় আরোপণ-পূর্বক দাহ করিব। যজ্ঞশীল ও অহিতাগ্নিগণের যে গতি এবং সমরে অপরায়ুখ ও ভূমিদাতা ব্যক্তিবর্গের যে গতি, মহাবল গৃধ্রুরাজ ! তুমি মৎকর্তৃক সংস্কৃত ও সমনুজ্ঞাত হইয৷ সেই সকল উৎকৃষ্ট গতি লাভ কর । ১৯-৩০ • । श्वबिग्न बूकझर्जन चोगब्बश्फूाब्र ध्रुि । ২ । এই জোকের উত্তরাদ্ধ ছিল “অধ্যাস্তে নগরীং লঙ্কাং রাবণে৷ রক্ষিসেম্বর:" এবং উহাই বলিতে আরম্ভ করিয়া জটায়ুর প্রাণত্যাগ হয় । সম্পাতির বাক্যে ঠিক এইরূপই ঐ দোক কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে পূর্ণ হইয়াছে। ৩ । এই শ্লোকে রামের ঈশ্বরত্ব অভিব্যক্ত হইয়াছে, সুতরাং তিনি ব্ৰাহ্মণাদির অভিশাপে আবৃতজ্ঞান ছিলেন, এই কথা বাহারা বলেন,