পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>や উপরি হইতে বহুতর পুষ্প পতিত হইয়াছে এবং বহুতর পুষ্প চারিদিকে পতিত হইতেছে ; তাহাতে বোধ হয়, যেন সমীরণ ঐ সকল কুসুমরাশি দ্বারা ক্রীড়া করিতেছে। আর প্রভঞ্জন মহুকুমমশালী তরুশাখা সকল ইতস্তত: সঞ্চালিত করিতেছে, তাহাতে মধুপানমত্ত মধুকর সকল স্ব স্ব স্থান হইতে বিচলিত হইয়া সমীরণের অনুসরণ করিয়া যেন গান দ্বারা প্রশংসা করিতেছে। পবন যেন প্রমন্ত কোকিলকুলের কলরব-রূপ ধ্বনি দ্বারা নৃত্যশিক্ষা করাইয়া শৈল-কন্দর হইতে নিষ্ক্রমণসময়ে গান করিতেছে। লক্ষণ । আরও দেখ, ঐ প্রভঞ্জন শাখা সকল আন্দোলন দ্বারা পরস্পরকে মিলিত করিয়া, বৃক্ষ সকলকে যেন গ্রথিত করিয়া দিতেছে। এই পবন চন্দনের স্যায় শীতল ও সুখস্পর্শ হইয়া, পুষ্পগন্ধ বহন-পূর্বক সঞ্চরণ করিয়া, প্রাণিগণের শ্রম অপনোদন করিতেছে । ঐ দেখ, মধুগন্ধযুক্ত বনমধ্যে পবন কর্তৃক বিক্ষিপ্ত পাদপ সকল ধ্বনিকারী ভ্রমরগণের দ্বারা যেন শব্দ করিতেছে। শৈল সকল মনোহর গিরিনিতম্বে পুষ্প-বিশিষ্ট মনোরম মহাতরু সকল দ্বারা পরস্পর সম্মিলিত হওয়ায় যেন শিখরবিশিষ্ট হইয়া বিরাজ করিতেছে। তরুশিখর সকল পুষ্পকুলে তাচ্ছন্ন, তাহাতে মধুকর সকল গুনগুন ধ্বনি করিতেছে এবং তাহ পবনভরে আন্দোলিত হইতেছে, তাহাতে বোধ হয়, যেন পাদপসকল একেবারে নৃত্যগীত আরম্ভ করিয়াছে। ১-২০ দেখ লক্ষণ। কণিকার তরু পীতবর্ণ পুষ্পরাশি দ্বারা আচ্ছন্ন থাকায় বোধ হইতেছে, যেন তাহারা সুবৰ্ণরাশি দ্বারা পরিব্যাপ্ত হইয়া, পীতাম্বরধারী মানবের ন্যায় শোভা পাইতেছে। হে সৌমিত্রে । এই বসন্তকালে বহুবিধ বিহঙ্গমগণ মনোহর ধ্বনি করিতেছে, তাহাতে আমার সীতা-বিরহ-দুঃখ একবারে অঙ্গুলি দ্বারা এক একটি স্থান দেখাইয়া লক্ষ্মণকে বলিতেছেন। মূলে *ब्रिएखाईबई थईक्रन जांप्s । खैशब चर्ष-ब्रानैकुछ जषवां छिबकचण । বাল্মীকি-রামায়ণ ( উদ্দীপিত হইয়া উঠিতেছে। এখন আমি সীতার বিরহানলে একান্ত সন্তাপিত, তাহাতে আবার মন্মথ নিপীড়িত করিতেছে। আর কোকিলসকল কলকণ্ঠে ধ্বনি করিয়া, যেন আমার প্রতি স্পৰ্দ্ধা প্রকাশ করিতেছে । এই দেখ, মনোরম বননিবার-প্রদেশে দাতু্যহ সকল হৃষ্ট হইয়া, কলনিনাদ দ্বারা আমাকে স্মরাতুর ও শোকাতুর করিয়া তুলিতেছে। পূর্বে যখন আমি প্রিয়ার সহিত এক আশ্রমে অবস্থিত ছিলাম, তখন এই দাতুহের (ডাছকের ) শব্দ শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত আনন্দিতা সীতা আমাকে আহবান করিয়া আনন্দিত করিতেন। ঐ দেখ, নানাবিধ বিহঙ্গম সকল বিবিধ শব্দে ধ্বনি করিয়া, চারিদিকে মৃক্ষ, লতা ও গুল্মাদি হইতে উড়িয়া পড়িতেছে । ইহার তীরদেশে নানাজাতীয় বিহগগণ মত্ত ভ্রমরের স্যায় স্ব স্ব জাতীয় স্ত্রী ও পুর যে মিলিত ও প্রমুদিত হইয়া, দলে দলে বেড়াইতেছে। এই তরু সকল দাতুহকুলের রতি-জনিত কলধ্বনি এবং পুংস্কোকিলের কলকণ্ঠ দ্বারা আমার অনঙ্গ বৰ্দ্ধন করিতেছে। লক্ষণ ! অশোকস্তবক অঙ্গারের স্যায়, পল্লব সকল জ্বালার স্যায়, ভ্রমরনিস্বন বসন্ত-অনলের স্যায় হইয়। আমাকে দগ্ধ করিতেছে । সুমিত্ৰানন্দন ! সেই মৃদু-ভাষিণী, মুকেশী, সূক্ষপক্ষসমাকীর্ণ-নেত্র-বিশিষ্ট জানকীকে দেখিতে না পাইলে, তামার জীবনে প্রয়োজন কি আছে ? লক্ষণ ! আমার প্রিয়ার এই প্রিয়তম কাল, এই প্রিয়তম বন এবং এই কোকিল-কুলপরিব্যাপ্ত সীমান্তপ্রদেশ, ইহা দর্শন করিয়া, আমার মানস একান্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিতেছে। সেই জানকীর বিরহ-জনিত শোকানল বসন্তের গুণ দ্বারা বদ্ধিত হইয়া, অচিরকালমধ্যেই আমাকে দগ্ধ করিবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি আছে ? এই মনোহর তরু সকল আমার অগ্রভাগে বিদ্যমান, উহাদিগকে দেখিয়া এবং প্রিয়তমা সীতাকে না দেখিয়া আমার মন্মথ একান্ত বন্ধিত হইয়া