পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড কিংশুক,রক্ত কুরুবক, কিনিশ, নক্তমাল, চন্দন, স্যন্দন, হিন্তাল তিলক, নাগবৃক্ষ সকল শোভা বিস্তার لابیا-لاوا یا آ۴f Rig সুমিত্রানন্দন ! মনোহর বৃক্ষ সকল পুষ্পিত এবং পুষ্পিতা গ্র লতাসমূহ দ্বারা পরিবেষ্টত হইয়া রহিয়াছে। এই বৃক্ষ-সমূহের শাখা সকল বায়ুভরে সঞ্চালিত হইতেছে । বরবর্ণিনীর স্যায় লতা সকল নিজ নিজ নিকটবৰ্ত্তী তরুবর সকলকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে । দেখ লক্ষণ ! এই সমীরণ পাদপ হইতে পাদপ, শৈল হইতে শৈল, বন হইতে অন্য বনে গমন-পূর্বক বহু রস আস্বাদন করিয়া, যেন আমোদ অনুভব করিতেছে । ইহার তীরস্থিত কোন কোন পাদপের শাখা সকল প্রভূত পুষ্প ভরে সুশোভিত, কেহ কেহ বা মধুগন্ধি, কেহ কেহ বা মকুল-সমূহে পরিবৃত হইয়৷ শ্যামবর্ণের ন্যায় শোভা প্রাপ্ত হইতেছে। এই ‘পুষ্প মিন্ট, ইহা স্বাঢ়, এই পুষ্প প্রফুল্ল', এইরূপে অনুরক্ত হইয়া মধুকরগণ পুষ্প সমূহে লীন হইতেছে । ঐ দেখ, পম্পীর তীরস্থিত তরু-সমূহে ঐ ভ্রমর সকল পুষ্প সমূহে লীন হইয়া, সহসা পুনর্বিার উড়িয়া অন্যত্র গমন করিতেছে। এই পম্পার তীর ভূমি সকল স্বয়ং নিপতিত কুসুমরাশিবিরচিত শয়নস্তরণ দ্বারা ব্যাপ্ত হইতেছে, এবং পৰ্ব্বতের সামুদেশ সকল পীতরক্তাদি বিবিধ পুষ্পসমূহ দ্বারা বিবিধ প্রকার আস্তরণ বিরচিত হইয়া রহিয়াছে । লক্ষণ ! বসন্তকালে বৃক্ষগণের পুষ্পোৎপত্তি অবলোকন কর । তরুসকল যেন পরস্পর স্পৰ্দ্ধা করিয়াই পুষ্প প্রসব করিতেছে। তরুসমূহের পুষ্প-পূরিত শাখা সকল ভ্রমরনিনাদ দ্বারা পরস্পর স্পৰ্দ্ধা করিয়াই যেন শোভা পাইতেছে। দেখ লক্ষণ! এই বিমল জলে অবগাহন-পূর্বক মনোভবের উদ্দীপন করিয়াই যেন ঐ কারগুব পক্ষী কান্তার সহিত রমণ করিতেছে । মন্দাকিনীর হ্যায় পম্পীর এইরূপ ও মনোরম গুণসমূহ জগতীতলে বিখ্যাত, তাহা ইহার পক্ষে উপযুক্তই হইয়াছে। 8')సె হে লক্ষণ ! আমি যদি এই স্থানে সেই সাধবী সীতার দর্শন পাই গম, তবে ইন্দ্রপুরী বা আয্যেধ্যাবাসে স্পৃহা না করিয়া, এই স্থানেই বাস করিতাম । লক্ষণ ! তামি তাহার সহিত রমণীয় হরিদ্বর্ণ ক্ষেত্রসকলে সুখে বাস করিলে, আমার আর অন্যত্র বাসে বসনা হয় না। বিবিধ পুষ্প সমূহে বিবিধবর্ণ এই তৰু সকল, এই কাননে কান্তাব্যতিরেকে আমার বিবিধ চিন্তা উৎপাদন করিতেছে । এই পম্পীর পদ্মসমন্বিত শীতল জলে চক্ৰবাক, কারণ্ডব, প্লব, ক্ৰৌঞ্চ প্রভৃতি পক্ষিকুল কলরব করিয়া বিচরণ করিতেছে । দেখ লক্ষণ ! তদার পম্পার অধিকতর শোভাবুদ্ধি হইতেছে। এই প্রমূদিত বিবিধ পক্ষী সকল সেই পঙ্কজনয়ন চন্দ্রমুখী শ্যামা জনকনন্দিনী প্রিয়াকে স্মরণ করাইয়া দিতেছে । তার ও দেখ, এই বিচিত্র সানুমধ্যে মৃগকুল মৃগীগণের সহিত ইতস্তত: বিহার করিতেছে ; কিন্তু সেই মুগশাবকাক্ষী বৈদেহীর বিরহে আমাকে ব্যথিত করিতেছে। যদি আমি মন্তপক্ষিপরিপূর্ণ এই মনোহর সানুমধ্যে সেই কান্তার দর্শন পাই, তবেই আমার শান্তি ও সুখলাভ হইতে পারে। যদি সেই সুমধ্যম। সাধবী জানকী আমার সহিত এই পম্পায় পবন-সেবন করেন, তবেই আমি জীবনধারণে সমর্থ হই । ৮২-১০৩ হে লক্ষণ ! পদ্মের সুগন্ধবাহী শোক-বিনাশন এই পবিত্র বায়ু পুণ্যবান ধন্য ব্যক্তিগণই সেবা করিয়া থাকেন । সেই শু)ণমা ? পদ্মপত্রাক্ষী জনকজণ সীতা আমার বিরহে বিবশী হইয়া প্রাণধারণে কখনই সমর্থ হইবেন না । হায় ! সেই ধৰ্ম্মশীল সত্যবাদী মহারাজ জনক যখন সভামধ্যে আমাকে সীতার কুশল জিজ্ঞাসা করিবেন, তখন তামি র্তাহাকে কি বলিব ? আমি অতিশয় মন্দ, পিতা আমাকে বনপ্রেরণ করিলে, সীতা দেবী তামার অনুগামিনী হইলেন । হায় ! ৭ । যে নারী শীতকালে উষ্ণা, ও উষ্ণকালে শীতলা হয় এবং যাহার বর্ণ তপ্ত কাকনের দ্যায়, তাহাকে স্বামী কহে ।