পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৮৮

8Հ o এইরূপ পাতিব্ৰত্য-ধৰ্ম্মের অনুগত হইয়া সীতা এক্ষণে কোথায় রহিয়াছেন ? হায় লক্ষণ ! আমি রাজ্যভ্রষ্ট ও হতবুদ্ধি হইয়া বনগামী হইলে যে সীত আমার অনুগামিনী হইলেন, এক্ষণে "সেই প্রিয়া ব্যতিরেকে দীনভাবাপন্ন হইয়া আমি কিরূপে প্রাণধারণে সমর্থ হইব ? সেই সীতার পদ্মতুল্য মনোহর, ব্ৰণ-বিরহিত, সুগন্ধি মুখকমল দর্শন না করিয়া, আমার মন মোহবশে অবসন্ন হইয়া আসিতেছে। লক্ষণ । সেই সীতার ঈষৎ হাস্যসহিত গুণযুক্ত সুমধুর হিতকর অতুল বচনামৃত কখন আমি পুনর্বার শুনিতে পাইব ? সেই সৰ্বসুলক্ষণ শু্যামা সাধবী বনমধ্যে আমাকে পাইয়া দুঃখের কালেও সুখিনী হইয়া বাক্যামৃতবৰ্মণ দ্বারা আমাকে সুখী করিতেন। হে নৃপনন্দন লক্ষণ। যখন আমরা অযোধ্যায় প্রতিগমন করিব, তখন মনস্বিনী কৌশল্যাদেবী ‘সীতা কোথায় আছেন ইহা জিজ্ঞাসা করিলে, আমি তাহাকে কি বলিব ? লক্ষণ । এক্ষণে তুমি নিশ্চয় জানিও যে, আমি সীতা ব্যতিরেকে জীবনধারণে কখনই সমর্থ হইব না ; অতএব আমার মরণ নিশ্চয় জানিয়া, তুমি অযোধ্যায় ফিরিয়া গিয়া, ভরতের সহিত মিলিত হও । মহাত্মা রামচন্দ্র এইরূপে অনাথের স্যায় বিলাপ করিতে আরম্ভ করিলে, লক্ষণ ভাগকে উত্তম অর্থযুক্ত বচন বলিতে আরম্ভ করিলেন । • রামচন্দ্র । আপনি শোক-সম্বরণ করুন। আপনি পুরুষোত্তম, অতএব আপনার শোক করা উচিত হইতেছে না। আপনার স্যায় ধীর ও নিষ্পাপ ব্যক্তিগণের ঈদৃশ বুদ্ধি একান্তই অসম্ভব জানিবেন । বিরহজনিত দুঃখ এবং প্রিয় ব্যক্তির প্রতি স্নেহ পরিত্যাগ করুন। দেখুন, অতিশয় স্নেহযুক্ত থাকায়, দীপবৰ্ত্তিকাও দগ্ধ হইয় থাকে ॥৮ যদি রাবণ পাতালে বা তদপেক্ষা অধিকতর বাল্মীকি-রামায়ণ গুপ্তদেশেও পলায়ন করে, তথাপি কদাপি জীবিত থাকিতে পারিবে না। সেই পাপমতি রক্ষসের বাসস্থান কোথায়,তাহা আপনি অবগত হউন, তৎপরে সে সীতাকে পরিত্যাগ করিবে, অথবা নিধনপ্রাপ্ত হইবে। যদি রাবণ জানকীকে প্রদান না করে, তবে সীতার সহিত দৈত্যমাতা দিতির গর্ভে প্রবেশ করিলেও তাহীকে নিধন করিব সন্দেহ নাই । আৰ্য্য ! আপনি মনের দৈস্য পরিত্যাগ-পূর্বক সুস্থ হউন। আপনি ত জানেন, নষ্ট কার্য্য যত্ন ব্যতিরেকে কখনই সিদ্ধ হয় না। আর্য্য ! উৎসাহ বলবান, উৎসাহ অপেক্ষ উৎকৃষ্ট বল তার নাই। এই সংসারে সেই উৎসাহের ভুলভ কিছুই নাই ; অতএব ৎসাহ অবলম্বন করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য। উৎসাহফুক্ত পুরুষগণ কখনই অবসন্ন হয় না ; অতএব আমরা উৎসাহমাত্র অবলম্বন করিয়া জানকীকে পুনঃপ্রাপ্ত হইব সন্দেহ নাই। আপনি মহাত্ম ও কৃতবিদ্য, ইহা কি জানিতে পালিতেছেন না ? অতএব শোক পশ্চাতে করিয়া কামপরতন্ত্রতা পরিহার করুন | লক্ষণ এইরূপ বুঝাইয়া দিলে, শোকে উপহতচিত্ত রামচন্দ্র শোক ও মোহ পরিত্যাগ-পূর্বক ধৈৰ্য্য অবলম্বন করিলেন । তখন অচিন্ত্য-পরাক্রম রামচন্দ্র অব্যগ্রচিত্তে সেই তরুসমূহে পরিপূর্ণ মনোরম পম্পী প্রদেশ অতিক্রম করিতে লাগিলেন । ১০৪-১১৪ অনন্তর মহাত্মা রাম বনস্থলী, নিঝরি, কন্দর সমস্ত অবলোকন করিতে করিতে লক্ষণের সহিত উদ্বিগ্নচিত্তে তৎসমস্তের বিচার করিতে করিতে সীতার দুঃখে উপহতচিত্ত হইয়া গমন করিতে লাগিলেন । অব্যগ্রচিত্ত মহাত্মা, মত্তমাতঙ্গগামী লক্ষণ রামের ইষ্টচেষ্টা করিয়া ধৰ্ম্মবলে তাহীকে রক্ষা করিতে লাগিলেন। অদ্ভুতদৰ্শন রাম-লক্ষণ দুই জনে ঋষ্যমুক পৰ্ব্বতের সমীপদেশে বিচরণ করিতেছিলেন । সেই ৮ । সংযোগ বিপ্রয়োগান্ত ইত্যাদি বাক্য স্মরণ করিয়া লক্ষণ এই কথা বলিয়াছেন। দৃষ্টাত্ত—যেমন দীপের শলত স্নেহ তৈল সংযোগে मक इग्न, cनश्ञानं बांमव जठिलब्र cत्ररु कब्रिएल त्रिक वाखिन्ब्र दिब्रtश् তাহাকেও শোকানলে দগ্ধ হইতে হইবে।