পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড বাহু সুবৃত্ত, আয়ত, পরিঘতুল্য এবং সমস্ত ভূষণের যোগ্য, তবে কি নিমিত্ত তাহ অলঙ্কার ও ভূষণশূন্ত রহিয়াছে ? আমি বিবেচনা করি যে, আপনার উভয়েই বিন্ধ্য ও মেরু-বিভূষিত সসাগর অখিলা পৃথিবী পালন ও রক্ষণ করিবার যোগ্য। এই বিচিত্র, মন্থণ, অনুলিপ্ত ধনুদ্বয় ইন্দ্রের স্বর্ণ-ভূষিত বজের ন্যায় শোভা পাইতেছে এবং শুভদৰ্শন প্রজ্বলিত ভুজঙ্গতুল্য এবং জীবন-নাশক সুতীক্ষ শরসমূহে পরিপূর্ণ তৃণ সকল শোভিত হইতেছে। মহাপ্রমাণ, প্রশস্ত, তপ্ত সুবর্ণবিভূষিত, নিৰ্ম্ম ক্ত-কঞ্চক-ভুজঙ্গ তুল্য খড়গদ্বয় প্রদীপ্ত হইতেছে। বীরদ্বয় ! আমি আপনাদিগকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, উত্তর প্রদান করিতেছেন না কেন ? এক্ষণে অমাদিগের পরিচয় শ্রবণ করুন । সুগীব নামে ধৰ্ব্বাত্মা এক বানরশ্রেষ্ঠ তাছেন, তিনি ভ্রাতা দ্বারা নিরাকৃত, ধর্মিত এবং দুঃখিত হইয়া জগতী-তলে ভ্রমণ করিতেছেন। আমি হনুমান নামে বানর, সেই বানররাজ মহাত্মা সুগ্ৰীব কর্তৃক প্রেরিত হইয়৷ আপনাদিগের নিকট আগমন করিয়াছি। সে ধৰ্ম্মীত্বা সুগ্ৰীব আপনাদিগের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন। আমি পবনের পুত্র এবং সেই সুগ্ৰীবের সচিব ও সহচর। কামচারী ও কামগামী সুগ্ৰীবের প্রিয়কামনায় ভিক্ষুকরপে প্রচ্ছন্ন বেশে ঋষ্যমূক হইতে আপনাদিগের নিকট আগমন করিয়াছি। বাক্যজ্ঞ ও বাক্য-কুশল হনুমান রাম লক্ষণ বীরদ্বয়কে এইরূপ বলিয়। আর কিছুই বলিলেন না। শ্ৰীমান রামচন্দ্র তাহার এই বাক্য শুনিয়া প্রফুল্লবদন হইলেন এবং পার্শ্বস্থিত ভ্রাতা লক্ষণকে কহিলেন,–১-২৫ এই হনুমান মহাত্মা কপিবর সুগ্ৰীবের সহচর । এই বানর সখ্য অভিলাষ করিয়া সুগ্ৰীবদর্শনেচ্ছ, আমার নিকটে আসিয়াছে। হে লক্ষণ ! সুগ্ৰীবের সচিব বাক্য-বিশারদ অরিন্দম এই কপিবরকে মধুর ওঁ স্নেহযুক্ত বাক্যে সস্তাষণ কর। তুমি জানিও, যে 8২৩ ব্যক্তি ঋগবেদ শিক্ষা করে নাই, যজুৰ্ব্বেদ অথবা সামবেদ অধ্যয়ন করে নাই, সেই ব্যক্তি এরূপ বলিতে কখনই সমর্থ হয় না। আমি বিবেচনা করি, এই বানরবর নিশ্চয়ই সমস্ত ব্যাকরণশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছে। এ ব্যক্তি আমার সহিত বহুতর বাক্য কহিয়াছে, কিন্তু তাহতে একটিও দূষিত শব্দ প্রয়োগ করে নাই । ইহার মুখে, নেত্ৰে, ললাটে তথবা ভ্রদেশে এবং অন্যান্য অবয়বসমূহে ও কোন দোষ লক্ষিত হয় নাই। ইহার ব:ক্য সকল বিস্তর এবং সন্দিগ্ধ নহে, এ ব্যক্তি মুক্তকণ্ঠে মধ্যমস্বরে, বিলম্ব না করিয়া, কণ্ঠগত বাক্য সকল প্রয়োগ করিয়াছে।” এই বানর সংস্কারযুক্ত অবিলম্বিত অদ্ভূত কল্যাণকর সদয়হারিণী মনোরম বাণী উচ্চারণ করিয়াছে। উরঃস্থল, কণ্ঠ, শিরঃস্থান এই তিন স্থল হইতে অভিব্যক্ত বিচিত্র এই বাক্য দ্বারা উদ্যতখড়গ শত্ররও চিত্ত শান্তিরসে আপ্লুত হয়। যাহার এইরূপ উৎকৃস্ট দূত, সেই রাজার কার্য্য সকল কেন না সিদ্ধ হইবে ? যাহার এইরূপ গুণযুক্ত কাৰ্য্যসাধক দূত ৩ । হনুমানের শিক্ষাস্বর-সমন্বিত বিস্পষ্ট বিশুদ্ধ উচ্চারণ গুলির রাম বুঝিয়াছিলেন, সবড়ঙ্গ বেদত্ৰয় না পড়িলে এরূপ বিশুদ্ধ বাকা বলিতে পারে না, তাছাই লক্ষ্মণকে বলিয়াছেন এবং লক্ষ্মণ যেন হনুমানকে অবজ্ঞ না করেন, এই জগুষ্ট বিশ্লেষণপূর্বক হনুমানের প্রশংসা করা হইয়াছে। ৪ । শিক্ষাশাস্ত্রে পাঠকের যে সব দোষ কথিত হয়, তাহা ইহার নাই । দোষ সকল এইরূপ— “গীতী শীঘ্ৰী শিবঃকম্পী তথা লিখিতপাঠক । অনর্ধাঙ্গোইল্পকণ্ঠশ্চ বাড়তে পাঠকাধমা: | ন শিরঃ কম্পয়েদগাত্ৰং ক্রকে চাপাক্ষিণী তথা । তৈলপূর্ণমিবাক্ষ্মানং তত্তস্বর্ণ প্রযোজয়েৎ ॥” অন্তএ পাঠের চতুর্দশ প্রকার দোষ উক্ত হইয়াছে, যথা— “শঙ্কিত ভীতমুদঘুঃমবাক্তমমুনাসিকম্। কাকুস্বরং শীর্ষগতং তথা স্থানবিবজিতম্ ॥ বিস্মরং বিরসঞ্চৈব বিশ্লিষ্টং বিষমস্থিতম্। ব্যাকুলং তালুমিশ্ৰঞ্চ পাঠদাৰাশ্চতুর্দশ ॥” ৫। শিক্ষাশাস্ত্রে পাঠকের গুণ এইরূপ কথিত হইয়াছে, যথা— भांधूर्वाभक्रब्रर दखि १नव्हमखथां९फ़्बl। ধৈৰাং লয়সমগ্ৰঞ্চ বড়েতে পাঠকে গুণাঃ।