পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Հ8 সকল বিদ্যমান আছে, তাহার কার্য্য সমস্তই সিদ্ধ হইয়া থাকে সন্দেহ নাই। রামচন্দ্র এইরূপ বলিলে, বাক্য-বিশারদ লক্ষণ সুগ্ৰীবের সচিব পবনপুত্ৰ হনুমানকে বলিতে লাগিলেন,–হে বুধবর। মহাত্মা সুগ্ৰীবের গুণ আমরা বিদিত হইয়াছি। সেই কপিবর সুগ্ৰীবকেই আমরা অন্বেষণ করিতেছি। হে বানরসত্তম! সুগ্ৰীব যাহা বলিবেন, আমরা তোমার বাক্যানুসারে তাহাই সম্পন্ন করিব সন্দেহ নাই । অনন্তর কপিবর পবনপুত্র হনুমান লক্ষণের সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত হৃষ্ট হইলেন এবং জয় ও প্রতিপত্তি বিষয়ে মনঃসমাধান করিয়া সুগ্ৰীব ও রামচন্দ্রের সখ্যতা স্থাপনের নিমিত্ত ইচ্ছুক হইলেন। ২৬-৩৯ oom চতুর্থ সর্গ অনন্তর হনুমান রামচন্দ্রের সেই মধুরভাবে বাক্য-বিষ্ঠাস শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত হৃষ্টচিত্ত হইলেন এবং সুগ্ৰীবের কার্য্য-সিদ্ধি অনুমান করিয়া মনে মনে র্তাহাকে স্মরণ করিলেন। তিনি মনে করিলেন যে, মহাত্মা সুগ্ৰীবের রাজ্যপ্রাপ্তির বিলক্ষণ সস্তাবনা ; যেহেতু, এই রাম প্রয়োজন-সক্ষেপ হইয়া দৈববশে এখানে উপস্থিত হইয়াছেন এবং ইহাদিগের সহিত সখ্যভাব সংঘটিত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনাও হইয়া উঠিল। অনন্তর বানরোত্তম হনুমান অত্যন্ত হৃষ্ট হইয়া বাক্য-বিশারদ রামচন্দ্রকে বলিতে লাগিলেন,—১ আপনি অনুজের সহিত পম্পার কাননভূষিত, দুৰ্গম, ব্যুনাস্ত্ৰিজস্থপরিপূর্ণ ঘোরতর বনমধ্যে কি নিমিত্ত আগমন করিয়াছেন ? তাহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া, লক্ষণ রামের আদেশ অনুসারে পবনপুত্রকে বলিতে আরম্ভ করিলেন। ১-৫ অযোধ্যা নগরে দশরথ নামে ধৰ্ম্মবৎসল দু্যতিমান ১। এই মোকে গায়ত্রীর দশমাক্ষর 'গ' আছে, ইহার পূর্ব পৰ্য্যন্ত ১ সহস্ৰ মোক গত হইয়াছে। বাল্মীকি-রামায়ণ এক রাজা ছিলেন । তিনি স্বীয় ধৰ্ম্ম অনুসারে নিত্যই চতুৰ্ব্বণ প্রজা পালন করিতেন । র্তাহার দ্বেষকারী কেহই নাই, তাহার প্রতি কেহই বিদ্বেষ প্রকাশ কয়ে না ; তিনি অপর পিতামহের ন্যায় সমস্ত জীবগণকে প্রতিপালন ও রক্ষা করিতেন। তিনি সদক্ষিণ অগ্নিষ্টোমাদি যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। এই রামচন্দ্র ৰ্তাহার লোকবিখ্যাত প্রথম পুত্র। ইনি সমস্ত জীবগণের শরণ্য এবং পিতার আদেশ প্রতিপালনে পারগামী। দশরথের এই পুত্র পুত্ৰগণের মধ্যে গুণবান, জ্যেষ্ঠ, সৰ্ব্ব রাজলক্ষণ-সংযুক্ত এবং সমস্ত রাজ্য-সম্পদ-বিশিষ্ট। ইনি রাজ্য-ভ্রষ্ট হইয়া আমার সহিত বনে বাস করিবার নিমিত্ত এখানে আগমন করিয়াছেন । যেমন মহাতেজ দিবাকর সায়াহ সময়ে প্রভা ভাৰ্য্যার সহিত অস্তাচলচূড়াবলম্বন করেন, সেইরূপ ইনি প্রিয়ভাৰ্য্যা সীতার সহিত এই স্থানে আগমন করিয়াছেন । আমি ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা। ইনি কৃতজ্ঞ ও বহুজ্ঞ ; ইহার গুণগ্রামে বশীভূত হইয়। আমি ইহার দাস্য স্বীকার করিয়াছি । আমার নাম লক্ষণ । এই সুখযোগ্য, রাজহ, সৰ্ব্বজীবের হিতকর, ঐশ্বৰ্য্যবিহীন, বনবাসনিরত রামচন্দ্রের ভার্ষ্যা, কামরূপী রাক্ষস-কর্তৃক অপহৃত হইয়াছেন। যে রাক্ষস সীতাকে হরণ করিয়াছে, তাহাকে এখনও জানিতে পারা যায় নাই। দনু নামক দিতির এক পুত্র শাপবশে কবন্ধ রাক্ষসত্ব লাভ করিয়াছিল, সেই রাক্ষসই বানর-পতি সুগ্ৰীব ও র্তাহার সামর্থ্যের বিষয় আমাদিগের নিকট কীৰ্ত্তন করিয়া কহিয়াছে যে, সেই বানরপতি মহাবীৰ্য্য সুগ্ৰীবই তোমার ভাৰ্য্যাপহারীকে জানিবে। সেই কবন্ধ রাক্ষস দমু আমাদিগকে এই রূপ কহিয়া, দিব্য রূপে দীপ্তিমান হইয়া স্বর্গে গমন করিয়াছেন। হনুমন। তুমি জিজ্ঞাসা করিলে, অতএব আমি তোমার - নিকট সমস্তই যথার্থরূপে বলিলাম ; আর আমি এবং রামচন্দ্র স্বগ্রীবের শরণ গ্রহণ করিলাম। এই রামচন্দ্র