পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՀԵ বাল্মীকি-রামায়ণ লক্ষণ কহিলেন, আমি কেয়ুরদ্বয় ও কুণ্ডলদ্বয় জানি না, তাহার পাদবন্দন-হেতু নুপুরদ্বয় অবগত আছি। অনন্তর রামচন্দ্র স্বগ্রীবকে কহিলেন, স্বগ্রীব ! কোন স্থানে উগ্ররূপী রাক্ষস আমার প্রাণপ্রিয়া সীতাকে হরণ করিয়াছিল এবং সেই রাক্ষস কোথায় বাস করে, তাহা তুমি আমাকে বল । সেই রাক্ষসের নিমিত্তই আমার এই মহৎ দুঃখ উপস্থিত হইয়াছে, আমি সেই সমস্ত রাক্ষসকেই বিনাশ করিব । সে জানকীকে হরণ করিয়া, আমার রোষ উদ্দীপিত করিয়া আপনার মৃত্যুদ্বার উদঘাটিত করিয়াছে। কপিপতে ! যে রাক্ষস আমার প্রিয়তমা ভাৰ্য্যার অবমাননা করিয়| বন হইতে অপহরণ করিয়াছে, তুমি সেই রাক্ষসের নাম কর, আমি সেই রিপুকে যমপুরী প্রেরণ করি । ১৩-২৭ সপ্তম সগ বানররাজ সুগ্ৰীব রামচন্দ্রের সেই কাতরোক্তি শ্রবণে কৃতাঞ্জলি হইয়া বাষ্প-গদগদম্বরে কহিতে লাগিল, রামচন্দ্ৰ ! আমি সেই পাপমতি ও তৃষ্ণুলজাত রাক্ষসের আলয় বা কুল, বিক্রম বা সামর্থ্য কিছুই জানি না । - কিন্তু হে অরিন্দম! আমি সত্য করিয়া প্রতিজ্ঞ করিতেছি যে,যাহাতে জানকীকে প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাতে আমি সৰ্ব্বথা যত্ন করিব। রাবণকে সবংশে সংহার করিয়া, আপনার পুরুষত্ব ১। হগ্রীব যখন হনুমান, অঙ্গদ প্রভৃতিকে সীতান্বেষণার্থ পাঠায়, তখন সে লঙ্ক যে রাবণের দেশ, তাহ স্পষ্ট বলিয়াছে—”স হি দেশন্তু বধাস্ত রাবণস্ত দুরাত্মনঃ* স্বতরাং রাবণের বাসস্থান জানিয়াও রামের নিকট না জানার কথা বলায় বুঝা যায়, রাবণ সীতাকে অপহরণ कब्रिग्न वर्डप्राप्न ८कांन् ७ख शtन जान्छ, उोश खांनि न । बालौब्र সহিত রাবণের সখ্যস্থাপন হইলে তাহীর সংবাদ স্বগ্রীব জানিত । पौर्षकल जाएविट्बांtष क्षबाबूष्क अवक्रक षांकांग्र बर्डयांप्नब बिषज्ञ शजीव छांटन मl, dवर बांह खां८वन, छांशं बजि८ल छांériविब्रश्कांङग्न ब्रांtअब्र चकूरब्रांप्५ उधन३ नौठोप्दवन जनडव। जांडूषिटबॉरषब्र बिनमांखि न হইলে তাছার সেই স্থান হইতে নিৰ্গত হওয়াও সম্ভবপর নছে— ३ङाांकि बिटषकन कब्रिग्रारे शबौद ७ई कषां बलिब्रांप्ङ् । বিস্তার পূর্বক আপনি বাহাতে সত্বর প্রীত ও সস্তুষ্ট হন, আমি তাহাই করিব। আপনি বিকল হইবেন না, আত্মগত ধৈৰ্য্য অবলম্বন করুন। আপনার তুল্য ব্যক্তিগণের এরূপ লঘুতা অবলম্বন করা উচিত হয় না। আমিও ভাৰ্য্যাহরণ-জনিত মহৎ দুঃখ প্রাপ্ত হইয়াছি ; তথাপি আমি ধৈর্য্য পরিত্যাগ-পূর্বক শোক অবলম্বন করি নাই । আমি অতি নীচ বানরজাতি হইয়াও শোক করি নাই । আপনি মহাত্মা, নীিত ও ধৈর্য্যবান মনুষ্য হইয়া যে ধৈর্য্য ত্যাগ ও শোক অবলম্বন করিবেন না, তাহাতে আর বক্তব্য কি আছে ? আপনি শোক-বিগলিত অশ্রািজল ধৈৰ্য্যবল দ্বারা অবরোধ করুন, অগাধ সত্ত্বযুক্ত ব্যক্তি হইয়া ধৈর্য্য পরিত্যাগ করিবেন না। ধৈর্য্যশালী ব্যক্তিগণ মহৎ কষ্টকালে—অর্থঙ্কচ্ছ, কিম্বা জীবনান্তকর ভয় উপস্থিত হইলে, স্বীয় বুদ্ধি দ্বারা বিবেচনা-পূর্বক কাৰ্য্য করিয়া থাকেন, কখনই অবসন্ন হয়েন না। যে মুঢ় মানব নিত্যই বিকলতা আশ্রয় করে, সে ব্যক্তি ভারাক্রান্ত নৌকার স্যায় অবশ্যই শোকজলে নিমগ্ন হইয়া যায় । এই আমি আপনার নিকট কৃতাঞ্জলি হইয়া বলিতেছি যে, আপনি প্রসন্ন হউন, পৌরুষ আশ্রয় করুন আর শোককে অন্তরে অবকাশ প্রদান না করিয়া তাহাকে দূরীভূত করুন। যে সকল ব্যক্তি শোকের অনুবৰ্ত্তন করে, তাহাদের মুখ হয় না, বরং তেজঃক্ষয় হয় ; অতএব আপনি শোক পরিত্যাগ করুন । রাজেন্দ্র ! অত্যন্ত শোকাবলম্বী মানবগণের জীবনই সংশয়াপন্ন হয় ; অতএব আপনি শোক পরিত্যাগপূর্বক ধৈর্য্য অবলম্বন করুন। আমি আপনাকে সখ্যভাবেই বলিতেছি ; উপদেশ প্রদান করিতেছি না। আপনি আমার সখ্যভাবের সন্মাননা করিয়া ধৈর্য্য অবলম্বন করুন। রামচন্দ্র সুগ্ৰীবের এইরূপ স্বমধুর সাত্বন-বাক্য শ্রবণ করিয়া বস্ত্রপ্রান্ত দ্বারা অশ্রুপরিপূর্ণ আনন মার্জিত করিলেন । লোকপ্রভু কাকুৎস্থ-কুলতিলক