পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড রামচন্দ্র সুগ্ৰীবের বচনে প্রকৃতিস্থ হইয়া ধৈর্য্য অবলম্বন করিলেন এবং বানরবরকে আলিঙ্গন করিয়া কহিতে লাগিলেন । ১-১৬ হে সুগ্ৰীব মেহুযুক্ত হিতকর বয়স্তের যাহা অনুরূপ ও উপযুক্ত কৰ্ত্তব্য, তৎসমস্তই তুমি সম্পাদন করিয়াছ। তোমার অনুনয় দ্বারা আমি সুস্থ ও প্রকৃতিস্থ হইলাম, বিশেষতঃ এই সময়ে তোমার সদৃশ বন্ধু একান্তই ভুলভ। কিন্তু তুমি উগ্রতর দ্ভরাত্মা রাবণের লিনাশে ও জনকজার অন্বেষণে একান্ত যত্নশীল হও । আমি ও বিশ্বস্তচিত্তে যে কার্ম্যের অনুষ্ঠান করিব, তাহাও তুমি আমাকে বল । বৰ্মাকালে সুক্ষেত্রে রোপিত বীজের স্যায় তোমাতে সকলই সফল হইতে পারে। আমিও অভিমানে তোমাকে যে বালীবধের কথা কহিয়াছি, তাহাই তুমি যথার্থ বলিয়া অবধারণ করিও। আমি পূর্বে মিথ্যাবাক্য বলি নাই এবং কখনই বলিব না ; আমি সত্যবাক্য দ্বারা তোমার নিকট শপথ করিলাম। অনন্তর সুগ্ৰীব রামের বাক্য শুনিয়া প্রধান প্রধান বানরগণের সহিত বিশেষরূপে প্রতিজ্ঞা করিল। এইরূপে একান্তে মিলিত হইয়। নর ও বানর উভয়ে আপন সুখ-দুঃখ প্রকাশ করিয়া কহিতে লাগিলেন । নৃপগণের অধীশ্বর মহানুভব রামচন্দ্রের বাক্য শুনিয়া বানরপ্রধান সুগ্ৰীব তাহার কার্য্য সম্পাদিত হইল, মনে মনে এইরূপ বিবেচনা করিতে লাগিল ৷ ১৭-২৫ অষ্টম সর্গ রাম পরিতুষ্ট হইয়া এইরূপ বাক্য বলিলে, স্বগ্রীব হৃষ্ট হইয়া বীরবর লক্ষণাগ্রজ রাঘবকে বলিল, আমি সৰ্ব্বথা দেবতাদিগের অনুগৃহীত হইলাম ; যেহেতু, আপনার স্থায় গুণবান ব্যক্তি আমার সখা হইলেন। হে বিমলাত্মন! প্রভো | আপনি সহায় হইলে আমি মুররাজ্য গ্রহণেও সমর্থ, 8RS আমার স্বরাজ্য গ্রহণ ত অতি সামান্ত বলিয়া বিবেচনা করিতেছি। হে রাঘব ! আমি যখন রঘুবংশীয় ব্যক্তির সহিত অগ্নি-সাক্ষিক সখ্য লাভ করিলাম, তখন অবশ্যই আমি স্বীয় বন্ধুগণের ও স্বহৃদগণের প্রীতির পাত্র ও মাননীয় হইলাম, ইহাতে সন্দেহ নাই । অামাকেও আপনি অনুরূপ মিত্র বলিয়া ক্রমশঃ জানিবেন। আপনার নিকটে নিজের গুণ বর্ণনা করিতে আমি অসমর্থ। হে জিতেন্দ্রিয়গণের অগ্রগণ্য ! ভবৎসদৃশ কুতবিদ্য মহাত্মগণের প্রতি বয়স্তাগণের যে নিশ্চলা প্রীতি হইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? সাধু বয়স্যগণ সাধু বয়স্তদিগের সুবর্ণ, রজত ও অন্যান্য উত্তম উত্তম আভরণাদি পরস্পর অবিভক্ত বলিয়াই বিবেচনা করিয়া থাকেন । ধনাঢ্যই হউক বা দরিদ্রই হউক, দুঃখিতই হউক বা সুখিতই হউক, সদোষই হউক অথবা নির্দোষই হউক, বয়স্য বয়স্তোর পরম গতি হইয়া থাকে। হে অনঘ! পরপর একরূপ স্নেহ দেখিয়া বয়স্তের নিমিত্ত বয়স্য ধনত্যাগ, সুখত্যাগ ও দেশত্যাগ করিতে প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন । সুগ্ৰীবের সেই বাক্য শুনিয়া রামচন্দ্র উৎফুল্ল কান্তি ধারণ-পূর্বক বাসব সদৃশ ধীমান লক্ষণের সম্মথে প্রিয়দর্শন বানরকে কহিলেন । ১-১০ সখে! তুমি যাহা বলিলে, তাহা যে যথার্থ, তাহাতে সন্দেহ নাই। অনন্তর তৎপরদিনে সুগ্ৰীব রাম ও মহাবল লক্ষণকে বনে ভূমিতলে অবস্থিত দেখিয়া, চঞ্চলভাবে বনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিল। তখন বানরবর দেখিতে পাইল, উত্তম পুষ্প ও অল্প-পত্রযুক্ত, ভ্রমরগণে স্থশোভিত এক শালবৃক্ষ অদূরেই অবস্থিত রহিয়াছে। তাহার বহুপত্রবিশিষ্ট এক শাখা ভাঙ্গিয়া, রামের বসিবার ১। লক্ষ্মণের সম্মুখে এই কথা বলায় লক্ষ্মণের সহিত আমার যেরূপ মিত্রত, তোমার সতিও সেইরূপ মিত্রতা জানিবে, এইরূপ अर्थ भूउि ह३म्नोUइ !