পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড লাগিলেন। অনন্তর সমস্ত প্রজা ও মন্ত্রিগণকে আনয়ন করিয়া, সুহৃদগণের মধ্যে আমাকে অত্যন্ত দুৰ্ব্বাক্য বলিতে লাগিলেন,—১-১২ তোমরা সকলেই অবগত আছ যে, পূৰ্ব্বে মায়াবী নামে মহাস্থর ক্রুদ্ধ ও যুদ্ধাকাঙক্ষী হইয়া, রাত্রিযোগে আমাকে আহবান করিয়াছিল। তাহার সেই বাক্য শুনিয়া আমি রাজ-গৃহ হইতে বহির্গত হইলাম ; তামার এই নিদারুণ ভ্ৰাতাও আমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিলেন । আমাদিগকে আগত দেখিয়া, সেই মহাবল অসুর ভয়ে সন্ত্রস্ত হইয়া পলায়ন করিল। সে বেগে ধাবমান হইয়া অতি বৃহৎ বিলমধ্যে প্রবেশ করিল। তাহাকে মহাবিলে প্রবিষ্ট দেখিয়া, আমি এই ক্রর ভ্রাতাকে বলিলাম, এই অসুরকে নিহত না করিয়া এই স্থান হইতে কিস্কিন্ধ্যায় যাইবার শক্তি আমার নাই । সুতরাং যাবৎ পৰ্য্যন্ত না ইহাকে আমি নিহত করি, তুমি তাবৎকাল এই বিল দ্বারে প্রতীক্ষা কর। এই সুগ্ৰীব বিল-দ্বারে অবস্থিত রহিল জানিয়া, আমি সেই দুৰ্গম বিলে প্রবিষ্ট হইলাম । আমি তাহাকে অন্বেষণ করিতে করিতে সম্বৎসর বিগত করিলাম । পরিশেষে আমি সেই ভয়াবহ শক্রকে দেখিতে পাইয়া সমস্ত বন্ধুগণের সহিত তাহাকে নিহত করিলাম। সে যখন ভূমিতলে পতিত হইয়। চীৎকার করিতেছিল, তখন তাহার মুখ হইতে নির্গত রুধির-প্রবাহে সেই বিবর পূর্ণ হইয়াছিল । সেই বিক্রান্ত শক্রকে বিনাশ করিয়া যখন সুখে বহির্গত হইতেছিলাম, তখন দেখিলাম যে, বিলের দ্বার রুদ্ধ রহিয়াছে । * আমি, ‘স্নগ্রীব ! সুগ্ৰীব ? বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলাম ; তখন কিছুই প্রত্যুত্তর না পাইয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইলাম । ১ । গোৰিঙ্গরাজ-সন্মত পাঠ এইরূপ— ‘স্বস্থিৰ তু তং শক্র বিক্ৰান্ত দুন্দুভেঃ স্বতন এইরূপ থাকিলে পূৰ্ব্বে ধে ময়পুত্ৰ মায়াৰী বলা হইয়াছে, উহার বিরোধ হয় ; সুতরাং এই পাঠ প্রমাণিক নয়, অথবা এই মায়াবী ময়-পুত্র নছে—দুন্দুভির জ্যেষ্ঠ পুত্র भङ्ग-'छ श्रेtख छिप्न । QQ: 8වව পরে আমি বহুতর পদাঘাত দ্বারা সেই শৈল অপসারিত করিয়া, তদ্বারা নিস্ক্রান্ত হইয়া নগরে আগমন করিলাম। সুগ্ৰীব ভ্রাতৃসৌহাৰ্দ্দ বিস্মৃত হইয়া আমার রাজ্য আকাঙ্ক্ষা করিতেছিল, তাহাতে আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়াছি। বানররাজ নির্ভয় বালী এইরূপ বলিয়া একমাত্র বস্ত্ৰ দিয়া আমাকে নির্নর্বাসিত করিয়া দিল । ১৩-২৬ হে রাঘব ! আমি বালী কর্তৃক হৃতদার ও তাড়িত হইয় তাহার ভয়ে বনার্ণব সমন্বিত এই পৃথিবীতলে ভ্রমণ করিতেছিলাম । আমি ভাৰ্য্যা-হরণদুঃখে একান্ত দুঃখিত হইয়া, মতঙ্গশাপে বালীর দুষ্প্রবেশ্য পৰ্য্যমূক পৰ্ব্বতে প্রবিষ্ট হইলাম। হে রাঘব ! এই আমি আপনার নিকট বালীর সহিত বৈরতার কারণ সমস্তই বর্ণনা করিলাম ; ত{হাতে আমি বিনা অপরাধেই এইরূপ মহৎ কষ্ট অনুভব করিতেছি । হে সৰ্ব্বলোকাভয়প্রদ ! বালীর নিগ্ৰহ করিয়া তাহার ভয়ে ভীত ও কাতর আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। সেই তেজস্ব ধৰ্ম্মাত্মা রামচন্দ্র, সেই ধৰ্ম্মসংযুক্ত বচন শ্রবণ-পূর্বক হাস্য করিয়াই যেন বলিতে আরম্ভ করিলেন,—সুগ্ৰীব ! আমার এই নিশিত স্বৰ্য-সদৃশ অমোঘ শর সকল বালীর উপর নিপাতিত হইবে । অামি যে পর্য্যন্ত তোমার ভার্য্যাপহারী সেই বালীর দর্শন না পাইতেছি, তাবৎ সেই চারিত্র-দূষক পাপাত্মা জীবিত থাকিবে । আমি আত্মামুমানে দেখিতেছি যে, তুমি শোক-সাগরে নিমগ্ন হইয়াছ । আমি তামাকে এই শোক-সাগর হইতে উদ্ধার করিব, তুমি পুনর্বার রাজ্যলাভ করতে পারিবে। রামের সেই হৰ্ষ ও পৌরুষ-বৰ্দ্ধক বাক্য শুনিয়া সুগ্ৰীব পরম প্রীত হইয়া, মহদৰ্থবিশিষ্ট বাক্য বলিতে আরম্ভ করিল । ২৭-৩৫ αιώuammaωμη Lim * = ഇ ഇ २ ] চরিত্র-দূষক—মর্ধ্যাদাবিঘাতক নিষিদ্ধ ও অনিষিদ্ধ জ্ঞান থাকিতে জীবিত ত্রাতার ভার্ধ্যাপহরণ করায় বালী চারিত্র-পূৰক।