পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 একাদশ সর্গ - রামচন্দ্রের হর্ষ ও পুরুষাৰ্থ-বৰ্দ্ধনকর সেই বাক্য শুনিয়া, সুগীব তাহার পূজা ও প্রশংসা করিয়াছিল। আপনি ক্রুদ্ধ হইয়া, নিশিত প্রজ্বলিত সুতীক্ষু মৰ্ম্মচ্ছেদ শর দ্বারা নিশ্চিতই প্রলয়কালের ভাস্করের স্যায় সমস্ত লোক দহন করিতে পারেন । আপনি বালীর পৌরুষ, ধৈর্য্য ও বীৰ্য্য আমার নিকট অবহিতচিত্তে শ্রবণ করিয়া, পরে কৰ্ত্তব্য-বিধান করুন। বালী সুৰ্য্যোদয়ের পূর্বে অর্থাৎ ব্রাহ্ম্য মুহূৰ্ত্তে উঠিয়া পশ্চিম-সমুদ্র হইতে পূর্ব এবং দক্ষিণ-সমুদ্র হইতে উত্তর-সমুদ্র ভ্রমণ করিয়া থাকেন ; কিন্তু তাহাতে কিছুমাত্র পরিশ্রান্ত হন না । সেই বীৰ্য্যবান বালী শৈল সকলের অগ্রভাগে তারোহণ করিয়া, শিখর সকল উৎপাটন-পুর্বর্বক উদ্ধে ংক্ষেপণ করিয়া পুনৰ্ব্বার করে গ্রহণ করিয়া থাকেন। বালী স্বীয় বল প্রকাশ করিয়া, বনস্থিত সারবান বহুতর বৃক্ষ বেগে ভগ্ন করিয়া ফেলেন । কৈলাসশিখর-সদৃশ দুন্দুভি নামক বীৰ্য্যবান মহিষ সহস্র হস্তীর বল ধারণ করিত। বীর্য্যমদে মত্ত এবং বরলাভে মোহিত হইয়া সেই মহাকায় দুন্দুভি সমুদ্রের নিকট গমন করিল। রত্নাকর সমুদ্রের উম্মিসমূহ অতিক্রম করিয়া সাগরকে কহিল, তুমি আমাকে যুদ্ধ দান কর। হে রাজন ! তদনন্তর মহাবল ধৰ্ম্মাত্মা সমুদ্র উত্থিত হইয়া সেই বলোন্মত্ত কাল-প্রেরিত অসুরকে কহিলেন । ১-১০ கற ১। একাদশ সর্গে—রাম বালীবধে সমর্থ কি না ? ইহা ৰুষিবার জড় বালীর অসীম বলের কথা স্বগ্রীব রামের নিকট বলিয়াছেন। ২। উত্তরকাণ্ডে তার বানরের উক্তিতে এই কথা বিস্পষ্ট আছে,— ‘চতুর্ভোৎপি সমুত্রেভাঃ সঙ্কণ মন্বতে রাবণ। ऐबः भूहूर्डभोग्नाठि बोलौ ठिछे भूक्लर्डकन् ।' फाब्रिाः नभूज ७ककांजौम मका कब्रांब्र कषांङ्ग प्रांम, जांकभत्र, অর্ধদান, জপ প্রভৃতি এক এক কার্ষা এক এক সমুজে করিত, সুর্বেn جمعیت माञ्चब्र शृरक्तं यश् कथा बांब्रां ऊँउब्रकांण दूक यांग्न-जांब्रखकांण जात्रा মুহূর্ত । বাল্মীকি-রামায়ণ হে যুদ্ধবিশারদ ! তোমার সহিত যুদ্ধ করিতে আমার সামর্থ্য নাই। যে ব্যক্তি তোমার সহিত যুদ্ধ করিবে, তাহা কহিতেছি, শ্রবণ কর । মহারণ্যে হিমবান নামে বিখ্যাত, তপস্বীদিগের আশ্রয়, মহেশ্বরের শ্বশুর, মহাবীর এক শৈলরাজ অবস্থিত আছে, তাহাতে বহুতর প্রস্রবণ, বহুতর কন্দর ও নিঝর বিদ্যমান রহিয়াছে ; সেই গিরিবরই যুদ্ধ করিয়া তোমার প্রীতি উৎপাদন করিতে সমর্থ হইবে । সেই অস্থর-সত্তম সমুদ্রকে ভীত জানিয়া ধমুনিৰ্ম্ম ক্ত বিশিখের স্যায় সত্বর হিমালয়ের বনে উপস্থিত হইল । তদনন্তর সেই গিরির ঐরাবত তুল্য শ্বেত শিলা সকল ভূমিতলে নিক্ষেপ করিয়া, দুন্দুভি সিংহনাদ করিতে লাগিল । অনন্তর শ্বেত জলধর-তুল্য, সৌম্য, প্রীতিপ্রদ আকৃতিবিশিষ্ট হিমবান স্বীয় শিখরে অবস্থিত হইয় তাহাকে কহিতে লাগিলেন,– হে ধৰ্ম্মবৎসল দুন্দুভে ! তুমি আমাকে ক্লেশ দিও না ; আমি রণকার্য্যে অকুশল, এবং তপস্বিগণের আশ্রয়স্থল। ধীমান গিরিরাজের সেই বাক্য শুনিয়া, দুন্দুভি ক্রোধ-লোহিত-লোচন হইয় তাহাকে কহিতে লাগিল,—যদি তুমি আমার সহিত যুদ্ধে অসমর্থ এবং আমার ভয়ে উদ্যমবিহীন, তবে আমি যুদ্ধ করিতে ইচ্ছা করিলে, তামার সহিত কোন ব্যক্তি যুদ্ধ করিতে পরিবে, তাহাকে তুমি বলিয়া দাও। বাক্য-বিশারদ ধৰ্ম্মাত্মা হিমাচল তাহার বাক্য শুনিয়া, যাহার কথা কেহ বলে নাই, তাহার কথা সেই ক্ৰোধোন্মত্ত অসুরকে বলিলেন;– ১১-২০ হে মহাপ্রাজ্ঞ । বালী নামে ইন্দ্রের পুত্র প্রতাপবান বানর অতুলপ্রভা কিষ্কিন্ধ্যা নগরীতে বাস করিয়া থাকেন। সেই মহাপ্রাজ্ঞ বালী তোমার সহিত যুদ্ধ করিতে সমর্থ। তিনি নমুচির সহিত বাসবের স্থায় তোমাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধ প্রদান করিবেন। তুমি যদি যুদ্ধ বাসনা কর, তবে শীঘ্রই তাহার নিকট গমন কর; তিনি সমর-কৰ্ম্মে শূর এবং অতিশয়