পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড তেজস্বী। কুন্দুভি হিমালয়ের বাক্য শুনিয়া ক্রোধাম্বিত হইল এবং সত্বর বালীর নগরী কিষ্কিন্ধ্যাতে গমন করিল। সেই অসুর বর্ষাকালে নভস্তলে জলপূর্ণ মহামেঘের স্যায় তীরুশৃঙ্গ ভয়াবহ মহিষরূপ ধারণ করিল। অনন্তর মহাবল দুন্দুভি কিষ্কিন্ধ্যার দ্বারদেশে আগমন করিয়া দুন্দুভির স্যায় ভূমিতল কম্পিত করিয়া সিংহনাদ করিতে লাগিল । সে দর্পভরে মদমত্ত হস্তীর স্যায় সমীপস্থ বৃক্ষসমূহ ভগ্ন করিয়া এবং খুর দ্বারা ভূমি বিদীর্ণ করিয়া, দন্তাগ্র দ্বারা কিষ্কিন্ধ্যার দ্বার ভেদ করিতে লাগিল । তৎকালে বালী অন্তঃপুরে অবস্থিত ছিলেন, তিনি সেই শব্দ সহিতে না পারিয়া তারাগণের সহিত চন্দ্রমার স্যায় স্ত্রীগণের সহিত বহির্ণত হইলেন । সমস্ত বনচরিগণের এবং বানরগণের অধীশ্বর লালা সেই দ্বন্দুভিকে স্পন্টাক্ষরে বলিলেন, —২১-২৯ হে মহাবল দুন্দুম্ভে ! তুমি কি নিমিত্ত এই নগরদ্বার রুদ্ধ করিয়া গৰ্জ্জন করিতেছ ? তুমি আমার বল অবগত আছ ; অতএব এক্ষণে প্রাণ রক্ষা কর । বানরবরের সেই বাক্য শুনিয়া, দুন্দুভি ক্রোধরক্তলোচন হইয়া বালীকে বলিতে আরম্ভ কহিল,—হে বীর! তুমি আপনার স্ত্রীগণের নিকটেই এরূপ বাক্য বলিতেছ, অন্ত আমার সহিত যুদ্ধ কর; তৎপরে তোমার বল জানা যাইবে । অথবা আমি অদ্য রাত্রিকালে ক্রোধ সম্বরণ করি, তুমি উদয়কাল পর্যন্ত কামভোগে আসক্ত হইয়া রজনী যাপন কর এবং বানরদিগকে আলিঙ্গন করিয়া প্রতিদান এবং সুহৃদগণের আমন্ত্রণ কর । কিষ্কিন্ধ্যার চারিদিক দর্শন করিয়া লও, এবং কাহাকেও রাজা কর । স্ত্রীগণের সহিত বিহার করিয়া লও ; যে হেতু, আমি তোমার দৰ্প বিনাশ করিব। যে ব্যক্তি মত্ত, প্রমত্ত, ভগ্ন, ৩। খ্ৰীজন-মধ্যস্থিত ব্যক্তিকে যুদ্ধার্থ জাহান করা অন্যায়, এই कथt प्रब्र१ कब्रिग्न राशिग्नांधिल, अथवा जांभांब्र नहिङ बूकब्र *ब्र *ीचौब्रचजप्नब्र नश्ठि त्रिजन अनखद, इठब्रां९ ठांशरलग्न नश्ठि ८मथा করিয়া আগমন কর, ইহাই স্কুলুভির বলর তাৎপর্ব । 806. আয়ুধ-রহিত, কৃশ এব’ তোমার স্যায় মদ-মোহিত ব্যক্তিকে হনন করে, সে ভ্রণহত্যাপাপে পাপী হয়। সেই বালী হাস্ত করিয়া, ক্রোধাভরে সেই মন্দমতি অসুরবরকে বলিল, এই আমি তারা প্রভৃতি স্ত্রীগণকে পরিত্যাগ করিলাম। যদি তুমি সংগ্রামে নির্ভয় হও, তলে তামোকে মদমত্ত বিবেচনা করি ও না । এই সমরে বীরপনাকেই মদ বলিয়া সমর্থন কর। সেই অস্থরকে এইরূপ বলিয়া বালী নিজ পিতা ইন্দ্র-কর্তৃক প্রদত্ত জয় গ্রদ কাঞ্চনময় মালা গলে নিক্ষেপ করিয়া যুদ্ধের নিমিত্ত অবস্থিতি করিতে লাগিল। কপিবর বালী সেই পর্বত তুল্য সুন্দুভির শৃঙ্গদ্বয় ধারণপূর্বক ঘোরতর শব্দ করিয়া তাহাকে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । বালী দুন্দুভিকে পাতিত করিয়া সিংহনাদে গর্জন করিতে লাগিল । তাহার কর্ণযুগল হইতে রক্তস্রাব হইতে লাগিল। পরম্পর ব্রুয়াভিলাষী বালী ও দুন্দুভির ক্রোধভরে ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল । ইন্দ্র তুল্য পরীক্রমশালী বালী মুষ্টি, জানু, পাদ, শিলা ও পাদপাদি দ্বারা যুদ্ধ করিতে লাগিল। এইরূপে বানর ও অসুরের যুদ্ধ হইতে লাগিল। তাহাতে অস্থর হীনবল হইতে লাগিল এবং বালীর বল বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । বালী সুন্দুভিকে ধরিয়া ধরণীতলে পাতিত করিল ; সেই প্রাণবিনাশক যুদ্ধে সুন্দুভি বালী কর্তৃক নিপিন্ট হইল। ছন্দুভির চক্ষু-কর্ণাদি হইতে বহুতর রক্ত নিৰ্গত হইতে লাগিল । সেই মহাবাহু অস্থর ভূমিতলে পতিত হইয়া পঞ্চস্থ প্রাপ্ত श्ल । ७०-8७ বালী সেই গত প্রাণ ও বিগতচেতন অসুরকে বাহুর দ্বারা তুলিয়া, একবারে একযোজন অন্তরে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । সে যখন বেগে নিক্ষিপ্ত হইতেছিল, তখন তাহার মুখ হইতে রুধিরবিন্দু সকল পবন দ্বারা উৎক্ষিপ্ত হইয়া, মতঙ্গমুনির আশ্রমে পতিত হইল । হে মহাভাগ! মুনিবর মতঙ্গ তথায় রক্তবিন্দু সকল পতিত হইল দেখিয়া বিবেচনা করিলেন যে,