পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাও শূরবর বালী বীরবর ব্যক্তির সহিত যুদ্ধ করিতেই অভিলাষ করেন, তাহার বলবীৰ্য্য লোকে প্রসিদ্ধ আছে । তিনি অত্যন্ত বলবান এবং যুদ্ধে অপরাজিত । র্তাহার কার্য্য সকল দেবগণেরও দুক্ষর দৃষ্ট হয় । সেই সকল চিন্তা করিয়া, ঋষ্যমূকে অবস্থিতি করিয়াও অত্যন্ত ভীত ও চিন্তিত থাকি । সেই অজেয়, অধূন্য, বানরেন্দ্র বালীকে চিন্তা করিয়া, আমি ঋষ্যমূক পরিত্যাগ করিতে পারিতেছি না। আমি হনুমান প্রভৃতি অনুরক্ত অমাতাগণের সহিত উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হইয়া, এই মহাবনে বিচরণ করিতেছি। হে মিত্রবৎসল পুরুষবর। আপনি শ্লাঘনীয় উত্তম মিত্র, ইহা জানিয়া, হিমালয়ের স্যায় সারবিশিষ্ট আপনাকে আশ্রয় করিয়াছি। হে রাঘব ! আমি সেই বলশালী দুষ্ট ভ্রাতার বল অবগত আছি, কিন্তু সমরে যে আপনার বীর্য্য কিরূপ, তাহা অামি জানিতে পারি নাই । 7 আমি আপনাকে বালীর সহিত তুলনা করিতেছি না, অবমাননা করিতেছি না, ভয় দেখাইতেছি না ; কিন্তু তাহার ভয়ঙ্কর কৰ্ম্ম দ্বারা অামি অত্যন্ত কাতর হইয়াছি । রাঘব ! আপনার বালী-বধ-বিষয়ক বাক্য বিশ্বাস্ত ; ধৈর্য্য ও আকৃতিই আপনার বীর্য্যশালিতার প্রমাণ ; ঐ সকলই ভস্মাচ্ছন্ন অনলের স্যায় আপনার তেজ সুচনা করিতেছে। রামচন্দ্র মহাত্মা সুগ্ৰীবের সেই বাক্য শ্রবণ-পূর্বক ঈষৎ হাস্ত করিয়া প্রত্যুত্তর করিলেন, হে বানরেন্দ্র । যদি আমার বিক্রমে তোমার বিশ্বাস না হয়, তবে আমি সত্বর যুদ্ধ-বিষয়ক তোমার উত্তম প্রত্যয় উৎপাদন করিতেছি । ৭৪৮৩ লক্ষণাগ্রজ রাঘব এইরূপ বলিয়া, সুগ্ৰীবকে সাস্তুনা করিয়া, পদাঙ্গুষ্ঠ দ্বারা দুন্দুভির পরিশুদ্ধ মহৎকায় তুলিয়া, দশযোজন দূরে নিক্ষেপ করিলেন। ৭ । যদি আমার আশ্রয় গ্রহণ করিয়া থাক, তবে বালীর ভয় • পরিত্যাগ কর, ইহার উত্তরে সুগ্ৰীব বলিতেছে, বালীর বল জ্ঞাত আছি, cठांनांब्र रुण छांउ नहि, शठब्रां६ जांघि उँौडडांप्रुई जराष्ट्रांन कब्रिाउहि ! παψιμηum * ■ 龜 * * * - - - - _ - - --ബ 8©ጎ সুগ্ৰীব সেই অসুরদেহ ক্ষিপ্ত হইল দেখিয়া, বানরগণের এবং লক্ষণের অগ্রে দীপ্তিমান ভাস্করের স্যায় অবস্থিত রামকে পুনর্নবার এইরূপ অর্থযুক্ত বাক্য বলিল,—সখে । পূর্বে এই দেহ আর্দ্র, মাংসযুক্ত ছিল; পরিশ্রান্ত বালা সেই দেহ নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । হে রঘুনন্দন ! এই দেহ সম্প্রতি মাংসহীন, লঘু ও তৃণতুল্য, তাহ আপনি হর্ষযুক্ত হইয়া নিক্ষেপ করিয়াছেন। হে রাঘব ! ইহা দ্বারা কাহার বল অধিক, তাহ জানিতে পারিলাম না ; কারণ, আর্দি ও শুষ্ক বস্তুর ভারের মহৎ, অন্তর দুষ্ট হইয়া থাকে। র্তাহার এবং তাপনার বলপরিজ্ঞান বিষয়ে সংশয় রছিল যাহা হউক, এই এক শালবৃক্ষ ভগ্ন করিলে বলাবল ব্যক্ত হইতে পারিবে । তাপনি এই হস্তিহস্তের স্যায় শরাসনে গুণারোপণ করিয়া, আকর্ণ আকৰ্ষণ-পূর্বক মহাশর নিক্ষেপ করুন। আপনার . নিক্ষিপ্ত শর নিশ্চয়ই এই শালতর ভেদ করিবে সন্দেহ নাই । এ বিষয়ে বিচারে প্রয়োজন নাই ; ষে হেতু, আপনি শপথ-পূর্বক মিত্রতা বিষয়ে নিযুক্ত হইয়াছেন। যেমন তেজঃসমুহের মধ্যে দিবাকর, যেমন মহাচল-সমুহের মধ্যে হিমবান, যেমন চতুষ্পদগণের মধ্যে কেশরী, সেইরূপ আপনিও নরগণের মধ্যে বিক্রমবিষয়ে যে শ্রেষ্ঠ, তাহতে সন্দেহ নাই । ৮৪-৯৩ দ্বাদশ সর্গ সুগ্ৰীবের সেই বাক্য শুনিয়া, মহাতেজ রামচন্দ্র ধনুগ্রহণ করিলেন। মানপ্রদ রাম সেই ঘোরতর ধনু ও একটি শর গ্রহণ-পূর্বক শব্দ দ্বারা দিক পূরিত করিয়া, শালতরু উদ্দেশে সেই শর নিক্ষেপ করিলেন । স্বর্ণের স্যায় পরিষ্কৃত সেই শর বলবান রাম-কর্তৃক নিক্ষিপ্ত হইয়া, সপ্ততালতরু এবং গিরিপ্রস্থ ভেদ করিয়া