পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড করিতে দেখিয়া, লজ্জিত হইয়া ভূমিতল অবলোকনপূর্বক দীনবচনে বলিল,--আপনি বিক্রম দেখাইয়৷ এবং ‘বালীকে যুদ্ধার্থ তাহবান কর এইরূপ বলিয়া কিছুই করিলেন না ; শত্রু আমাকে বিষম আঘাত করিল, ইহাতে আপনার কিরূপ কাৰ্য্য হইল ? রাঘব ! আপনি সেই সময়ে বলিলেই ত হইত যে, তামি বালীকে বধ করিব না ; তাহা হইলে আমি এখান হইতে গমন করিতাম না । মহাত্মা সুগ্ৰীব দীনবচনে এইরূপ বলিলে পর রামচন্দ্র তাহাকে বলিলেন,– ২১-২৮ সুগ্ৰীব ! তুমি ক্রোধ অপনয়ন কর ; যে কারণে আমি বাণ পরিত্যাগ করি নাই, তাহা শ্রবণ কর— অলঙ্কার, বেশ, শরীরের উন্নত্যাদি দ্বারা বালী ও তুমি পরস্পর এক ; স্বর, বাক্য, কান্তি ও বিক্রম দ্বারা তোমাদিগকে পৃথকরূপে জানিতে পারিলাম না। বানরশ্রেষ্ঠ ! সেই কারণে আমি রূপসাদৃশ্যে মোহিত হইয়া, শক্র-বিনাশন শর মোচন করিতে পারি নাই।” যদি এইরূপ সাদৃশ্ব-হেতু বালী বোধে তোমাকেই শরাঘাত করি, তবে মূল বিনষ্ট হইবে, ইহাই আমার বিশেষ আশঙ্কার কারণ। কে কপীশ্বর ! অজ্ঞান ও লঘুতা-প্রযুক্ত যদি তোমাতেই বিপদ পতিত হয়, তবে আমার মুর্থতা ও বালকতা সৰ্ব্বত্রই প্রচারিত হইবে সন্দেহ নাই। হে বানর। অভয়দান-পূর্বক যদি বধ করা যায়, তবে মহৎ পাতক হইবে এবং সকলেই আশ্চৰ্য্যান্বিত হইবে । তুমি জানিও যে, আমি, লক্ষণ ও বরবাণনী সীতা সকলেই তোমার অধীন ; এই বনমধ্যে তুমিই আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থান ; = - - -- ----- - - ৬ । রামের নিজোক্তিতে র্তাহার মোহ হইয়াছিল, এই কথায় ভগবানের মোহ, ইহা অসঙ্গত, মিথ্যা বলিয়। থাকিলে উহাও অসঙ্গত । উত্তর,—বালীর আয়ুস্কাল পূর্ণ না হওয়ায় রাম বালীকে বধ করেন নাই, এবং স্বগ্রীবের সন্তোষবিধানর্থ মামুষোচিত ভ্রম নিজের প্রতি আরোপ কgয়াছেন । কেহ কেহ বলেন, ঈদৃশ ব্যাপারে মিথ্যা দোষের নহে, ७ निकफैश् श्नूमान् यकृठिक बिछांनी कब्र छजिङ, अवर निtब७ শ্ৰেজা, ‘প্রেক্ষিতজ্ঞাশ্চ কোমলা" তথাপি নিজের অসাধারণ্য *ब्रिशंप्ब्रब्र निभिख अझेब्राश्रृं ब्रांज वलिः,ांtइन । 8లివ অতএব তুমি পুনর্বার যুদ্ধ কর, কিছুমাত্র শঙ্কা করিও না। তুমি এই মুহূৰ্ত্তেই দেখিতে পাইবে যে, বালী আমার বাণে আহত হইয়া মহীতলে পড়িয়া ছট্‌ফট্‌ করিতেছে। বানরবর! তুমি কোন চিহ্ন গ্রহণ কর ; যখন তোমরা দ্বন্দ্বযুদ্ধ করিবে, তখন আমি তদ,ারা তোমাকে চিনিতে পারিব। লক্ষণ । তুমি এই শুভলক্ষণ গজপুষ্প উৎপাটন করিয়া, মহাত্মা সুগ্ৰীবের কণ্ঠদেশে সমর্পণ কর। তদনন্তর লক্ষণ সেই গিরিতটে জাত গজপুষ্পলতা আনয়ন করিয়া সুগ্ৰীবের কণ্ঠদেশে বাধিয়া দিলেন । তখন সুগ্ৰাব সেই কণ্ঠলগ্নলতা দ্বারা বলাকার মালা দ্বারা সুশোভিত জলধরের গুণয় শোভা পাইতে লাগিল । সুগ্ৰাল রামবাক্যে মনোযোগী হইয়া, দেহ দ্বারা দীপ্তি পাইতে লাগিল এবং রামের সহিত পুনর্ববার কিষ্কিন্ধ্যাপুরাতে গমন করিল। ২৯-৪২ ত্রয়োদশ সর্গ অনন্তর সেই ধৰ্ম্মাত্মা লক্ষণাগ্রজ রাম সুগ্ৰীবের সহিত বালীর বিক্রমপালিত কিষ্কিন্ধাপুরীতে গমন করিলেন । রাম কাঞ্চন-ভূষিত মুমহৎ চাপ উদ্যত করিয়া, আদিত্যতুল্য দীপ্তিমান রণসাধক শর সকল গ্রহণ-পুর্বর্বক গমন করিতে লাগিলেন । সংহতগীব সুগ্ৰীব, মহাত্মা রাম-লক্ষণের অগ্রভাগে গমন করিতে লাগিল । বলবান বীর নল, বীৰ্য্যবান নীল, হনুমান, এবং মহাতেজা তার বানর, যুথপতিগণের অধিনায়কগণ, ইহারা সকলে পুষ্পভরে অবনত বৃক্ষ সকল এবং নিৰ্ম্মলসলিল-বাহিনী সাগর গামিনী নদী, কন্দর, শৈল, নিবিড় গুহ, গহবর, প্রধান প্রধান শিখর ও শুভদৰ্শন নদী সকল দর্শন করিতে করিতে চলিতে লাগিল ॥১ তাহার পথিমধ্যে বৈদূর্য্যের স্যায় বিমল-সলিল-বিশিষ্ট, ১ । কলার-মঙ্গেরাকার পর্বতবিবর, গুহ!—দেবখাত গিরিগর্ত, দরী—গঙ্কার। নিঝর,—শিলাবিবর,