পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 (to প্রায়শ্চিত্ত করিয়া শুদ্ধিলাভ করিয়া থাকে । অতএব পরিতাপে প্রয়োজন নাই, আমি ধৰ্ম্মামুসারেই তোমাকে বধ করিয়াছি ; যেহেতু আমরা স্বাধীন নহি, ধৰ্ম্ম ও শাস্ত্রের বশবৰ্ত্তী। কপিবর ! এ বিষয়ে অন্য কারণ শ্রবণ কর, তাহা শুনিয়া, তুমি মনোগত ক্রোধ পরিত্যাগ কর । বানররাজ ! বহুবিধ মাংসাশী নরগণ গোপনে থাকিয়া জাল, পাশ ও তৃণাচ্ছন্ন গৰ্ত্তাদি দ্বারা বহুতর ধাবিত, ত্রস্ত, বিশ্ৰব্ধ, প্রমত্ত, অপ্ৰমত্ত, বিমূখ মুগণকে বিদ্ধ করিয়া থাকে, তাহাতে আমার মনোগত ক্রোধ বা মনস্তাপ নাই ; যে হেতু তাহাতে তাহাদের দোষ হয় না । বহুতর ধৰ্ম্মজ্ঞ রাজর্মিগণ মৃগয়ায় গমন করিয়া থাকেন, সেই হেতু আমি তোমাকে শর দ্বারা নিহত করিয়াছি । ২১-৪০ তুমি যুদ্ধই কর, আর নাই কর, তুমি আমার বধ্য । যেহেতু তুমি শাখাযুগ । হে বানরবর! রাজগণ ঢুলভ ও শুভকর ধৰ্ম্ম ও জীবন দান করিয়া থাকেন। তাহাতে সন্দেহ নাই অতএব রাজগণকে হিংসা করিবে না, ক্রোধে তৰ্জ্জনদি করিবে না এবং অপ্রিয় বাক্য বলিবে না ; যে হেতু ইহারা দেবতা, মানুষরূপে মহীতলে অবস্থিতি করিয়া থাকেন। - “ তুমি ধৰ্ম্মপথ না জানি, কেবল ক্রোধ বশতঃই পিতৃপিতামহ প্রবর্তিত ধৰ্ম্মে অবস্থিত আমাকে দূষিত صقعض ১৩। এই বাকী দ্বারা রাম প্রচ্ছন্ন থাকিয় বালীকে বধ করিয়৷ অধৰ্ম্ম করিয়াছেন, ইহার উত্তল বলা হইযাছে, দণ্ডবিধানের জন্ত যাহাকে বধ করিতে হয়, তাহাকে সন্মুখযুদ্ধে মারিবার কথা কোন ধৰ্ম্মশাস্ত্র নাই, খালী সদ্ধোপাসনা করিত, এই কথা রামায়ণে বর্ণিত থাকায় সে শান্ত্রজ্ঞ ছিল, সুতরাং সে জ্ঞানপূর্বক পাপ করিয়া সৰ্ব্বদণ্ডার্হ। গোবিন্দরাজ বলেন, পঞ্চ মহাপাতকের—মরণাস্তিক প্রায়শ্চিত্ত বিহিত থাকায়, উহ। এই ভাবেই সম্পাদ্য। ১৪ বালীর উভয় বাকোর উত্তর এই সকল মোকে বলা হইয়াছে। শাখামৃগছতা করিতে প্রচ্ছন্ন বা প্রকাগুভাবে থাকায় কোন অপরাধ হয় না, প্রাণিবধনিমিত্তোৎপন্ন অল্প পাপ যাহা হয়, উহ প্রাণায়াম-মাত্রেই অপমোদিত হয়। ১৫। তুমি তাদৃশ রাজী নও, সুতরাং রাজহত্যাপাপে আমাকে লিপ্ত হইতে হইবে না। রাজা দেবতা-স্বরূপ, ইহার প্রমাণ— “অষ্টাভিলোকপালানাং মাত্রাভিঃ কল্পিতে নৃপঃ।”

  • * ****E*E** = - mos

বাল্মাকি-রামায়ণ করিতেছ।’ - রামচন্দ্র এইরূপ বলিলে বালী পূর্ববপরুষোক্তি হেতু ব্যথিত হইল, এবং ধৰ্ম্মতত্ত্ব বিশেষরূপে অবগত হইয়া রামের প্রতি আর দোষবুদ্ধি করিল না । তখন কৃতাঞ্জলি হইয়া রামকে কহিল, হে নরশ্রেষ্ঠ ! আপনি আমাকে যাহা বলিলেন, তাহা সত্য, এ বিষয়ে সংশয় নাই। অপকৃষ্ট ব্যক্তি উৎকৃষ্ট ব্যক্তির প্রতি বাক্য কহিতে সমর্থ হয় না, আমি পূর্বে অজ্ঞানতা হেতু যে বাক্য কহিয়াছি, তাহাতে আপনি দোষ গ্রহণ করিবেন না। আপনি প্রমাণিত ধৰ্ম্মাদি তত্ত্বের যথার্থ ভবিজ্ঞ এবং প্রজাগণের হিতবিষয়ে নিরত সন্দেহ নাই । তাপনার অবিচলিত বুদ্ধি কাৰ্য্যকারণসিদ্ধি বিষয়ে অর্থাৎ কাৰ্য্য দণ্ডবিধান, কারণ মৎকৃত পাপ, এতন্নির্ণয়ে আপনার বুদ্ধি বৈষম্যাদি দোস-রহিত, ইহাতে সন্দেহ নাই । হে ধৰ্ম্মজ্ঞ ! আমি ধৰ্ম্মব্যতিক্রমকারী ব্যক্তিগণের অগ্রবর্তী, আপনি ধৰ্ম্মসংহিত বাক্যে আমাকে উত্তম লোকপ্রদান দ্বারা প্রতিপালন করুন। - ? লাল পঙ্কমগ্ন করীর ন্যায় কাতরস্বরে বাষ্প দ্বারা অবরুদ্ধকণ্ঠ হইয়া রামকে কহিতে লাগিল,--আমি আপনার নিমিত্ত, তারার নিমিত্ত, বানরগণের নিমিত্ত শোক করিতেছি না, কেবল বালক অঙ্গদের নিমিত্তই শোক করিতেছি। বাল্যকাল হইতে তাহাকে লালন-পালন করিয়াছি ; সে আমার আদর্শনে সুৰ্য্যাদিতাপে পরিশুদ্ধজল তড়াগের স্যায় দীনভাবে বিনট হইবে। রাম, তারাগর্ভে উৎপন্ন আমার একমাত্র অকৃত-বুদ্ধি মহাবল বালক পুত্রকে ১৬। যদিও রামের এই সকল উক্ত দ্বারা বালীর উক্তি খণ্ডিত হইয়াছে, তপাপি ইহা হিংসা, প্রচ্ছন্নবধরূপ লোকনিলা হইয়াছিল, তিনি প্রকাগু ভাবে বালীবধে সমর্থ হইয়াও কেন ঐ ভাবে তাহাকে হত্য করিলেন ? ইহার উত্তরে এই বলা যায় যে, রাম প্রকাগুভাবে বালীকে বধোদ্য গু হইলে, জ্ঞাতপ্রভাব বাণী রামের নিকট বিনীত হইত, তখন ठांशद्र वर्ष बूख श्ठ बl ७षर थठिछ उत्र हइंठ, यांन बांलौक विज রাবণও রামের শরণাগত হইত, তাহা হইলে দেবকীর্ধাও হইতে পারিত না । এই জন্ত রাম প্রচ্ছন্নভাবে বালীবধ করিয়াছেন । ১৭। অপরাধী আমাকে আপনি ক্ষমা করিলেন” এই কথা বলুন।