পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৬২ হইয়া কাৰ্য্য করা বিশেষরূপ গুণের বিষয় জানিবে। শিৰিকাৰহনে যোগ্য বানরগণ বলবান বালীকে বহন করিবার নিমিত্ত সঙ্গীভূত হউক । সুমিত্রার আনন্দ-বৰ্দ্ধন পরস্তুপ লক্ষণ স্বগীবকে এই বলিয়া, ভ্রাতৃ-নিকটে অবস্থিত হইয়া রছিলেন। লক্ষণের সেই বাক্য শুনিয়া, সচিববর তার শিবিকা আনয়ন করিবার মানসে সত্বর গুহাতে প্রবেশ করিল। সে বহনোচিত শুর-বানরগণ-কর্তৃক বাহিতা শিবিকা গ্রহণ পূর্বক পুনর্বার সেই স্থানে আসিল । দিব্য ও স্ত্যন্দন-তুল্য এবং ভদ্রাসন-বিশিষ্ট উত্তম চিত্রিত কারুকার্য্যযুক্ত ও পক্ষীর আকৃতি-বিশিষ্ট মুঘটিত, চিত্রিত পদাতিগণে ভূষিত, সিদ্ধগণের বিমানের স্থায় জাল-বাতায়নযুক্ত, বিশাল ও উত্তম কারু-কাৰ্য্যবিশিষ্ট, শিল্পি-কর্তৃক দারুনিৰ্ম্মিত, ক্রীড়াপর্বতযুক্ত, পরিষ্কৃত, বর-আভরণ-হারবিশিষ্ট ও চিত্রমালা দ্বারা শোভিত, এবং পঞ্জয়-বিশিষ্ট, রক্তচন্দন-ভূষিত, পুষ্পাদি দ্বার আচ্ছন্ন ও পদ্মমালা-বিশিষ্ট, তরুণ আদিত্য-বর্ণ দ্বারা দীপ্যমান, মহাৰ্হ বস্ত্রাদি দ্বারা আবৃত সেই শিবিকা অবলোকন করিয়া, রামচন্দ্র লক্ষণকে কহিলেন, সত্বর বালীকে লইয়া তাহার দাহ ও প্রেতকার্ষ্য নির্ববাহ কর । অঙ্গদের সহিত সুগ্ৰীব কঁদিতে কঁাদিতে শিবিক উত্তোলন-পূর্বক তাহাতে গত-জীবিত বালীকে আরোপিত করিয়া, বিবিধ মাল্য, যন্ত্র ও অলঙ্কার দ্বারা তাহাকে ভূষিত করিল। তখন বানররাজ মুগ্রীব বালীর ঔদ্ধদেহিক-ক্রিয়া করিতে অনুমতি প্রদান করিল।—১২-৩০ বিবিধ বহুতর রত্ব সকল নিক্ষেপ করিতে করিতে বানর সকল অগ্রে অগ্রে গমন করুক, তৎপরে শিবিকা গমন করিতে থাকুক। হে বানরগণ যাহাতে ভূতলে রাজাদিগের বিশেষ ঐশ্বৰ্য্য দৃশ্য হয়, সেইরূপে বালীর সংক্রিয়া বানরগণ নিৰ্বাহ করুক। সেইরূপে বালীর ঔদ্ধদেহিককাৰ্য্য সত্বর সম্পন্ন করিবার নিমিত্ত उमणानब्र श्रांजित्रप्नब्र श्रीब्र निशङबांकन कलौ cङ्कठि বাল্মীকি-রামায়ণ সকলেই রোদন করিতে করিতে গমন করিতে লাগিল । তদনন্তর বানরীগণ উহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিল । নিহত-বান্ধবা তারা প্রভৃতি বানরীগণ ‘বীর বীর’ শব্দে রোদন করিতে লাগিল। তাহার করুণস্বরে রোদন করিতে করিতে অনুগমন করিল । সেই বানরীগণের রোদনশব্দে বনান্তরে যেন বন ও গিরিগণ রোদন করিতে লাগিল । বনচারী বানরগণ নদীর পুলিন-দেশে জল-সংযুক্ত নির্জন স্থানে চিতা প্রস্তুত করিল। বানর-প্রবরগণ স্বন্ধ হইতে শিবিকা নামাইয়া, শোক-পরায়ণ হইয়া একান্তে অবস্থিত রহিল । অনন্তর তারা শিবিকাতলশায়ী পতিকে দেখিয়া, ক্রোড়দেশে তাহার মস্তক স্থাপন-পূর্বক দুঃখিত হইয় বিলাপ করিতে লাগিলেন। হা বানরমহারাজ ! হা নাথ ! হা মৎপ্রিয় ! হা মহাবাহো ! হা মহাহঁ ! তুমি আমাকে অবলোকন কর । হে মানদ ! এই সকল বানরবর্গ শোকে পীড়িত হইয়াছে, তুমি দেখিতেছ না কেন ? তোমার প্রাণ বিগত হইলেও ত্বদীয় মুখ যেন প্রহৃষ্টই রছিয়াছে এবং জীবিতের স্যায়—অস্তগত মুৰ্য্যের সদৃশ বোধ হইতেছে। হে বানররাজ ! এই রামরূপ কাল তোমাকে কর্ষণ করিতেছে ; ইনি রণস্থলে একটি শর দ্বারাই এই সমস্ত রমণীগণকে বিধবা করিয়াছেন। হে রাজেন্দ্র । এই সমস্ত বানরীগণ প্ল তিগতি দ্বারা গমন করিতে জানে না, ইহার পাদচারে এত দূরে আগমন করিয়াছে, তাহা কি তুমি বুঝিতে পারিতেছ না ? হে হরিবর! এই চন্দ্রীননা ভাৰ্য্যাসকল তোমার ইষ্টাকাঙিক্ষণী, তুমি ইহাদিগকে ও মুগ্রীবকে দর্শন করিতেছ না কেন? রাজন। এই তার প্রভৃতি মহিষীগণ, সচিববর্গ ও পুরবাসী জনগণ তোমাকে বেষ্টন করিয়া विष* इशा ब्रहिबारश्म। cश् श्रब्रिग्लभ ! छूमि এই সমস্ত সচিবকে রিদায় দেও। তদনন্তর আমরা