পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪১

8ԳՀ দেখিয়া আৰ্ত্তস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন। তিনি হেমধাতু-বিভূষিত পৰ্ব্বতের অগ্রভাগে আসীন হইয়া, শারদীয় গগন দর্শনপূর্বক মনে মনে প্রিয়ার ধ্যানে নিরত হইলেন। যে সারসতুল্য নাদকারিণী বালা সারসগণের নাদ দ্বারা আশ্রমস্থানে আনন্দিত হইতেন, তিনি এখন কিরূপে মনোরঞ্জন করিবেন ? সেই প্রিয়তম কাঞ্চনপুষ্পসদৃশ পুষ্প-বিশিষ্ট অসন-তরু সকল দশন করিয়াও আমাকে না দেখিয়া কিরূপে মনোরঞ্জন করিবেন ? সেই কলভাষিণী বালা পূর্বে কলহংসগণের শব্দ দ্বারা জাগরিত হইতেন, সেই চারুসৰ্ব্বাঙ্গী কিরপে এক্ষণে আনন্দলাভে সমর্থ হইবেন ? সেই পদ্মের স্যায় বিশালাক্ষী বালা, সহচরী চক্রবাকগণের কলনিনাদ শ্রবণ করিয়া কিরূপে জীবন ধারণ করিতে সমর্থ হইবেন ? আমি সেই মুগাক্ষী ব্যতিরেকে সরোবর, সরিৎ, বাপী, কানন ও বনে বিচরণ করিয়া কিছুমাত্র সুখলাভ করিতে সমর্থ হইতেছি না। আমার বিরহ ও সুকুমারতাহেতু শরতের গুণসমূহ দ্বারা নিত্যপ্রবৃত্ত কাম তাহাকে অতিশয় পীড়া প্রদান করিবে । ১-১২ সারঙ্গ নামক চাতকপক্ষী ইন্দ্রের নিকট যেরূপ কাতরবাক্যে জল প্রার্থনা করে, নৃপনন্দন রামচন্দ্র সেইরূপ নানাবিধ বিলাপ করিতে লাগিলেন। অনন্তর লক্ষীযুক্ত লক্ষণ রম্য গিরিসামুতে ফলন্বেষণার্থ নানা স্থানে বিচরণ করিয়া, ফিরিয়া আসিয়া অগ্রজকে দর্শন করিলেন । মনস্বী লক্ষণ সত্বর হইয়া দুঃসহ চিন্তাযুক্ত, জ্ঞানহীন ও অতি দীন রামকে দেখিয়া, ভ্রাতার বিষাদ অপনয়নের নিমিত্ত অতি দীনভাবে বলিলেন,—হে আৰ্য । আপনি আত্ম-পৌরুষ পরাভব করিয়া এবং কামের বশবর্তী হইয়া কি কৰ্ম্ম করিতেছেন ? আপনি শোক দ্বারা ব্ৰহ্মামুসন্ধান নষ্ট করিতেছেন? এই অবস্থায় আপনি সমাধিযোগ দ্বারা সমস্ত দুঃখ বিনষ্ট বাল্মীকি-রামায়ণ করুন। প্রভো ! আপনি ধৈর্য্য ধারণ করিয়া শৌচ-স্নানাদি ক্রিয়াযোগ ও মনের নিৰ্ম্মলতা-সাধন এবং যথাকলে সমাধি-যোগের অনুগত কাৰ্য্য সকল সমাধান করুন। হে মানবনাথ ! জানকী আপনার দ্বারাই সনাথ হইতে পারেন, অন্তের দ্বারা কদাচই সনাথা হইতে পারেন না । প্রজ্বলিত অগ্নিচুড়া প্রাপ্ত হইয়া কোন ব্যক্তি দগ্ধ না হয় ? রামচন্দ্র লক্ষণযুক্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ লক্ষণকে তত্ত্বার্থ, নীতিসম্মত, পথ্য ও হিতকর ধৰ্ম্ম এবং অর্থ-সংযুক্ত বাক্য বলিলেন—লক্ষণ ! তুমি যাহা কহিয়াছ, সেই কৰ্ম্মযোগ ও জ্ঞানযোগের নিশ্চয়ই অনুষ্ঠান করা কর্তব্য । প্রকৃষ্টরূপে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দুৰ্দ্ধৰ্ম কৰ্ম্মের ফল অবশ্যই "চিন্তা কর কর্তব্য । ১৩-২০ {o অনন্তর পদ্মপলাশলোচনা মৈথিলীকে স্মরণ করিয়া রাম শুল্কমুখে লক্ষণকে কহিলেন,— ৩ ইন্দ্র সলিল দ্বারা বসুন্ধরার তৃপ্তিসাধন করিয়া শস্ত সম্পাদনপূর্বক কাৰ্য্য-সাধন করিয়া অবস্থিত রহিয়াছেন। হে নৃপত্মিজ! মেঘ সকল দীর্ঘ গম্ভীর শব্দ-বিশিষ্ট শৈল ও তরুর সমীপবৰ্ত্তী হইয়া সলিল বিসর্জন করিয়া পরিশ্রান্ত হইয়াছে । নীলোৎপলদলের স্যায় শ্যামবর্ণ মেঘসমূহ দিক সকল শ্যামবর্ণ করিয়া মদহীন মাতঙ্গের স্যায় শান্তবেগ হইয়াছে। কুটজ ও অৰ্জ্জুন পুষ্পের গন্ধযুক্ত জলগর্ভ মহামেঘ সকল বৃষ্টিবাতে সমুদ্ধত হইয়া, বিচরণ-পূর্বক এক্ষণে শাস্তভাব ধারণ করিয়াছে। হে অনঘ লক্ষণ ! মেঘ, মাতঙ্গ, ময়ুর ও প্রস্রবণ সকলের শব্দ একসঙ্গেই নিবৃত্ত হইয়াছে। মহামেঘ-সমূহ দ্বারা ধৌত, বিচিত্রসানু, গিরিসমূহ, ২। লক্ষ্মণ রামের পৌরুষবৃদ্ধি ও দুঃখশাস্তির নিমিত্ত কৰ্ম্মৰোপ ७ छांनtषां★ बबलचन कङ्गन, dहे कथां ब्रांमएक बब्र१ कब्राहेब्रां निष्ठपह्न । चार्वी, चांगनि काcभन्न बनवउँौं श्ब्र निप्जद्र गूक्षकांब्र जछिकूठ করিতেছেন। ইহাতে কোনই প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে না। স্বতৰাং কামৰগুত পরিত্যাগ করিয়া কৰ্ম্মযোগ করুন, এবং স্নানাদির পর नयांषि चरणचन-नूर्तिक छानcषाप्नब्र जकूठान कबैन । ৩। লক্ষ্মণের বাক্যে তৎকালে সুস্থচিত্ত হইলেও রাম পুনরায় মৈথিলীকে স্মরণ করির শরৎ ঋতুর বর্ণনা করিতেছেন।