পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ8 করিতেছে। এখন মহাত্রদের সলিলে একটি হংস সুপ্ত রহিয়াছে এবং বহুতর কুমুদ শোভা পাইতেছে ; তাহাতে বোধ হয়, যেন রাত্রিকালে তারাগণ-সমাকীর্ণ মেষযুক্ত নভস্থলে পূর্ণচন্দ্র শোভা পাইতেছেন। এই শরৎকালে হংসগণ দীর্ঘিকা সকলের চন্দ্রহারস্বরূপ, প্রফুল্ল পঙ্কজ ও উৎপল সকল মালার স্বরূপ, তাহাতে তাহারা বিভূষিত হইয়া উত্তম শোভা ধারণ করিয়াছে। বেণুস্বর দ্বারা অভিব্যঞ্জিত যে গীত-বাছ—তাহ দ্বারা সংযুক্ত, প্রত্যুষ কালীন বায়ু কর্তৃক সংবৰ্দ্ধিত সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত দধিমস্তনভাণ্ডের ও গোবৃষগণের শব্দ° পরস্পর পরস্পরকে যেন সংবৰ্দ্ধিত করিতেছে। ধৌত অমলক্ষেীমপটতুল্য প্রস্ফুটিতপুপ নবকাশসমূহ দ্বারা নদীর কূল সকল শোভিত হইতেছে। বনমধ্যে প্রচণ্ড মধুপান-মত্ত, প্রিয়ান্বিত ভ্রমর সকল পদ্মপুষ্প ও অসন-কুসুমের রেণুসমূহ দ্বারা গৌরবর্ণ হইয়া, গন্ধলোভে পবনের অনুগামী হইতেছে । নিৰ্ম্মল জল, প্রস্ফুটিত কুস্বমসমূহ, ক্রৌঞ্চরব, পক্ক শালিবন, মৃদু বায়ু ও বিমল চন্দ্র, ইহার বর্ষার অপগমন ও শরতের আগমন বলিয়া দিতেছে। এখন প্রভাতকালে কান্ত-কর্তৃক উপভুক্ত অলসগামিনী কামিনীগণের স্বায়, মীনরপে মেখলাধারিণী নদীবধূগণের গতি মন্দ হইয়াছে। চক্রবাক-বিশিষ্ট, শৈবালযুক্ত কাশবসনাবৃত নদীমুখ সমুদায় পত্ররেখা-সমন্বিত ও রোচনাযুক্ত 'বধুমুখ সমূহের ষ্ঠায় শোভা ধারণ করিয়াছে। প্রফুল্পবাণ, অসনপুষ্প দ্বারা চিত্রিত, প্রহৃষ্ট ভ্রমরগণের কৃজনযুক্ত বনসমূহে প্রচণ্ড ধনুধারা মদন বিরহিগণের দণ্ডবিধানের নিমিত্ত অত্যন্ত প্রচণ্ড হইয়া উঠিয়াছে ! মেঘ সকল মুবৃষ্টি দ্বারা লোক সকলকে পরিতুষ্ট করিয়া, নদী ও ভড়াগ সকল পূরিত ও বস্থধাকে শস্যপূর্ণ করিয়া --- ●। यांउ:कांलीन पश्भिइननंक, गाउँौ नर्णन श्रख्रइ ! বাল্মীকি-রামায়ণ এক্ষণে নভস্তল পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে। এক্ষণে নদী সকল নবসঙ্গমে লজ্জাশীলা বধূগণের নিজ নিজ জঘনের স্যায় পুলিন-সকল ক্রমে ক্রমে প্রদর্শন করিতেছে । হে সৌম্য ! নিৰ্ম্মলসলিল-বিশিষ্ট, কুররগণ কর্তৃক নিনাদিত, চক্ৰবাকগণে আকীর্ণ জলাশয় সকল স্থশোভিত হইতেছে। হে নৃপত্মিজ! পরম্পর বন্ধবৈর জিগীষু নৃপতিগণের এই উদ্যোগসময় উপস্থিত হইয়াছে । ৪১-৬০ রাজগণের যাত্রা করিবার এই প্রথম সময়, এখন সুগ্ৰীবের যাত্রার উপযুক্ত উদ্যোগাদিও ত কিছুই দেখিতে পাইতেছি না । এক্ষণে গিরিসামুতে অসন, সপ্তপণ, কোবিদার, বন্ধুজীব, শাম প্রভৃতি তরুগণ পুষ্পিত দৃষ্ট হইতেছে। দেখ লক্ষণ, এই সময়ে হংস, সারস, চক্ৰবাক ও কুররাদি পক্ষী দ্বারা পুলিনদেশ আকীর্ণ হইয়াছে । আমি সীতাকে দেখিতে না পাইয়া, তাহার শোকে একান্ত কাতর হইয়াছি ; অতএব আমার সম্বন্ধে এই বলা চারি শত বর্মের স্যায় বিগত হইয়াছে। আমার প্রিয়াঙ্গনা সীতা বিষম দণ্ডকারণ্যকে উষ্ঠানের স্যায় জ্ঞান করিয়া, চক্রবাকার স্যায় বনাগমনকালে আমার অমুগমন করিয়াছিলেন । আমি প্রিয়াবিহীন, হৃতরাজ্য, দুঃখাৰ্ত্ত ও বিবাসিত, তথাপি লক্ষণ, সুগ্ৰীব আমার প্রতি কৃপা প্রকাশ করিল না । এই সকল কথা. তুমি স্বগ্রীবকে বলিও । এই রাম অনাথ, হৃতরাজ্য, রাবঞ্চকর্তৃক ধৰ্ষিত, দীন, দূরগৃহ ও কামী, এ ব্যক্তি আমার শরণ গ্রহণ করিয়াছে, এই সকল ভাবিয়া দুরাত্মা সুগ্ৰীব আমাকে পরাভূত বোধ করিয়া অগ্রাহ করিতেছে। সীতার অন্বেষণসময় নির্ণয়-পূর্বক প্রতিজ্ঞা করিয়া, সেই দুৰ্ম্মতি কৃতাৰ্থ হইয়া এক্ষণে জাগরিত হইতেছে না। তুমি আমার বাক্যে - কিষ্কিন্ধাতে প্রবেশ করিয়া সেই মুখ, গ্রামমুখে আসক্ত, कांबांडून दूरणप्पब्र শৰ, গোপালগণের ধেনুশৰ, প্রাতাত্তিক বায়ু দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বানরশ্রেষ্ঠ সুগ্ৰীবকে বল,—বে ব্যক্তি কাৰ্য্যার্থী হইয়৷ আগত এবং প্রথমে উপকারী, তাহাকে আশা