পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড 8Գծ মালা ও অম্বরধারী প্রিয়দর্শন দেব ও গন্ধৰ্ব্ব-পুত্র স্বগ্রীবের ভবনে রূপ-যৌবন-সম্পন্ন বিবিধাকৃতি বহুতর বানরগণে শোভিত । চন্দন, অগুরু ও পদ্মকাদির গন্ধ দ্বারা সুবাসিত । উহার পথসকল মৈরেয় ও মধুগন্ধ দ্বারা সুগন্ধিত ৷ লক্ষণ সেই স্থানে বিন্ধ্য ও মেরুগিরিতুল্য বহু ভূমি, প্রাসাদসমূহ ও বিমল জলবিশিষ্ট গিরিনদীসমূহ দৰ্শন করিলেন। লক্ষণ তথায় অঙ্গদ, মৈন্দ, দ্বিবিদ, গবয়, গবাক্ষ, গজ, শরভ, বিড়ান্মালী, সম্পাতি, সুৰ্য্যাক্ষ, হনুমান, বারবাহু, সুবাস্ত, মহাত্মা নল, কুমুদ, সুষেণ, তার, জাম্ববান, দধিবক্ত, নীল, সুপাটল, মুনেত্র, এই সকল মহাত্মা বানরগণের রাজমাগে অবস্থিত, নানাবিধ মহামূল্য বস্তুসমূহে পরিপূর্ণ গৃহ সকল অবলোকন করিলেন। ঐ গৃহ সকল পাণ্ডুবৰ্ণ মেঘসদৃশ, গন্ধমাল্যযুক্ত, প্রভূত ধনধান্তবিশিষ্ট এবং স্ত্রীরত্বসমূহ দ্বারা সুশোভিত । তথায় ইন্দ্রভবনতুল্য মনোহর, পাণ্ডুবৰ্ণ স্ফটিক শৈলসমূহে পরিবেষ্টিত, কৈলাস-শিখর সদৃশ শুভ্রবর্ণ প্রাসাদ এবং সৰ্ব্বদা ফলপ্রসবকারা পুষ্পিত তরুসমূহে পরিশোভিত এবং ইন্দ্রদত্ত, শ্রীমান, নীল মেঘতুল্য, দিব্য পুষ্পফলসমন্বিত, শীতল ছায়াবিশিষ্ট, মনোহর বৃক্ষসমূহ দ্বারা মনোরম, বানরেন্দ্রের রাজ ভবন পরম শোভা ধারণ করিয়াছে । উহার দ্বারদেশে বলশালী শস্ত্রপাণি বানরগণ অবস্থিত। উহার তোরণ দিব্যমালায় আবৃত, শুভ্রবর্ণ ও তপ্তকাঞ্চন দ্বারা খচিত । মহাবল লক্ষণ, ভাস্কর স্ত্রীরত্ব দর্শন করিলেন । উত্তমকুলোৎপন্ন, উত্তম মাল্য, বসনভূষণবিশিষ্ট মালা-গ্রন্থনে ব্যগ্র হইয় রহিয়াছে । "রামানুজ সুগ্ৰীবের ভোগমুখে পরিতৃপ্ত, অব্যগ্র ও অত্যুত্তম অলঙ্কারধারী অনুচরদিগকে দেখিতে পাইলেন। অনন্তর শ্রমান সৌমিত্রি নূপুরসমূহের কৃজিত ও কাঞ্চী সকলের নিঃস্বন শ্রবণ করিয়া লক্তিত হইলেন । তিনি আভরণ-শব্দ শ্রবণ করিয়া রোষবেগে অত্যন্ত কুপিত হইলেন এবং শব্দ দ্বারা দশদিক পূরিত করিয়া জ্যাশব্দ করিতে লাগিলেন। স্ত্রীগণের গোষ্ঠীতে প্রবেশ করা অনুচিত, কথা পর্ম্যালোচনা করিয়া লক্ষণ রামের কাৰ্য্যে অপ্রবৃত্তি-দর্শনজন্য কোপ-সমন্বিত হইয়া, আর তন্তঃপুরে প্রবেশ না করিয়া একাস্তে অবস্থিত রছিলেন । কপিরাজ সুগ্ৰীব সেই শরাসন-শব্দ শ্রবণে ত্রস্ত হইয়া তাহার আগমন জানিয়া স্বীয় উৎকৃষ্ট আসন হইতে উত্থিত হইলেন। অঙ্গদ আমাকে পূর্বে ই হার আগমনের বিষয় নিবেদন করিয়াছিল, এক্ষণে ভ্রাতৃবৎসল লক্ষণের আগমন স্থব্যক্তরূপে জানিতে পারিলাম। অঙ্গদ-কর্তৃক ও জ্যাশব্দ দ্বারা লক্ষণের আগমন বুঝিতে পারিয়াছিল ও তাহার মুখ শুষ্ক হইয়াছিল । অনন্তর হরিশ্ৰেষ্ঠ অব্যগ্র স্বগ্রীব ত্রসে চঞ্চলচিত্ত হইয়া প্রিয়দর্শনা তারাকে বলিতে লাগিল,—হে মুক্ৰ ! এই রাঘবামুঞ্জ লক্ষণ

যেমন মহামেঘে প্রবেশ করে, সেইরূপ সুগ্ৰীবের স্বভাবতঃই মৃদুচিত্ত, ইনি যেন ক্রোধাম্বিত হইয়া এখানে মনোহর গৃহে প্রবেশ করিলেন ; কোনও বানর তঁহাকে নিবারণ করিল না । সেই ধৰ্ম্মাত্মা উহার যান ও আসন-সমন্বিত সপ্তকক্ষ অতিক্রম করিয়া মুগুপ্ত অন্তঃপুর দেখিতে পাইলেন। অন্তঃপুরের নানাস্থান আগমন করিয়াছেন ; ইহার কারণ কি, বল । হে অনিন্দিতে ! কুমারের রোষের কারণ কি দেখিতেছ? নরশ্রেষ্ঠ লক্ষণ অকারণে কখনই কোপ করিবেন না । আমরা উহার যদি কোন অপরাধ করিয়াছি, বুঝিতে মহামূল্য আস্তরণ-বিশিষ্ট বহুতর উত্তম উত্তম আসন ও পার, তবে বুদ্ধি দ্বারা শীঘ্র অবধারণ করিয়া বল। অথবা হেম রজত-খচিত পর্যাঙ্ক দ্বারা পরিবৃত। ১-২০ লক্ষণ প্রবেশ করিয়া সমাক্ষর ও সমতালবিশিষ্ট ১। অযোধ্যা হইতে অধিক সম্পদ দর্শন করিয়া লজ্জিত হইলেন। cकइ cकइ दर्शन, शत्रुन्त्र १३ औजल्ल| 'ब्रट्नीभर्णन छछ । जषब। प्ले श्रल তন্ত্ৰীসমুখিত স্বমধুর স্বর শ্রবণ বরিলেন মহাবল লক্ষণ গ্ৰীগণের পুরুষপভোগকালীন বলিয়া লজ্জিত হইলেন।