পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড অবগত নহি। বৈদেহী ও রাবণের সন্ধানে উদয়পর্বত পৰ্যন্ত গমন করিয়া এক মাস পূর্ণ হইলে ফিরিয়া আসিবে। এক মাসের উৰ্দ্ধকাল তথায় থাকিবে না ; যদি কেহ থাকে, তবে সে আমার বধ্য হইবে । মৈথিলীকে অন্বেষণ করিয়া অন্বেষণ-কাৰ্য্যের শেষ করিয়া ফিরিয়া আসিবে। ইন্দ্রের কান্ত বনাদিমণ্ডিত পূর্বদিক উত্তমরূপে অন্বেষণ করিয়া রাঘবপ্রিয়া সীতাকে পাইয়া তদনন্তর সকলে সুখী হও । ৫৬-৭১ একচত্বারিংশ সগ বানররাজ বীরবর সুগ্ৰীব সেই বানরসেনাগণকে পূর্বদিকে প্রেরণ করিয়া কাৰ্য্য-সামর্থ্য-বিষয়ে নির্ণীত বানরগণকে দক্ষিণদিকে পাঠাইয়া দিল । ঐ দিকে অন্বেষণার্থ দেশ-বিশেষজ্ঞ সুগ্ৰীব অগ্নিপুত্র নীল,মহাবল হনুমান, ব্রহ্মার পুল্ল মহাবীৰ্য্য জাঙ্গবান, সুহোত্র, শরারি, শরগুল্ম, গজ, গবাক্ষ, গবয়, সুষেণ, বৃষভ, মৈন্দ, দ্বিবিদ, গন্ধমাদন, হুতাশনের পুত্রদ্বয় উস্কামুখ ও অনঙ্গ, অঙ্গদপ্রমুখ বেগলিক্রমসম্পন্ন বীরগণকে পাঠাইয়া দিল । অঙ্গদকে সেই সমস্ত বানরগণের অগ্রবর্তী করিয়া দক্ষিণদিকে প্রেরণ করিল। কপীশ্বর সুগ্ৰীব সেই দিকে যে কোন দেশ দুর্গম ছিল, তৎসমস্তই সেই কপিযুথপতিগণকে বলিতে লাগিল,— তোমরা সহস্ৰ শিখরযুক্ত, বিবিধ তরু-লতায় বিরাজিত বিন্ধ্যাচল, মহাভুজঙ্গগণ-নিষেবিত মনোরম নৰ্ম্মদা নদী, গোদাবরী, মনোরমা কৃষ্ণবেণী নদী এবং মেকল, উৎকল, দশার্ণ দেশীয় নগর সকল, আত্রবন্তী, অবন্তী, বিদৰ্ভ, ঋষ্টক, মাহিষক প্রভৃতি দেশ সকল অবলোকন করিবে। আর মৎস্য, কলিঙ্গ কৌশিকাদি দেশ, পৰ্ব্বত, নদী ও গুহা-সমন্বিত দণ্ডকারণ্য ও গোদাবরী নদী প্রভৃতি সমস্ত স্থান, এবং অন্ধ, পুণ্ড, চোল, পাণ্ড্য ও কেরলাদি দেশ দর্শন করিবে। অনন্তর ধাতু-মণ্ডিত, বিচিত্রশিখর, পুপিত-কানন-বিশিষ্ট, চন্দনবন-সমন্বিত, 8ごo> শ্ৰীমান মহাগিরি মলয়াচল নামক আয়োমুখ পৰ্ব্বতে অন্বেষণ করিবে। এই স্থানে প্রসন্নসলিলা, অপসরা সমূহ-কর্তৃক সেবিতা,দিব্য কাবেরী নদী দর্শন করিবে । অনন্তর সেই "মলয়-পর্বর্বতের অগ্রভাগে মহাতেজঃসম্পন্ন আদিত্যতুল্য ঋষিসত্তম অগস্ত্যকে দর্শন করিবে।’ তদনন্তর প্রণামাদি দ্বারা তাহাকে প্রসন্ন করিয়া র্তাহার আদেশানুসারে বিবিধ গ্রাহ যুক্ত তাম্রপণী মহানদী পার হইবে । চন্দনবন দ্বারা বিচিত্র, প্রচ্ছন্নদ্বীপ, বারিবিশিষ্ট সেই নদী যুবতী কান্তার ন্যায় কান্তরূপ সমুদ্রে অবগাহন করিতেছে । অনন্তর বানরগণ পাগুদিগের পুরীর দুর্গ-প্রাচীরঘটিত, মুক্ত ও মণি সমূহ দ্বারা বিভূষিত কপাট দর্শন করিবে । তৎপরে সমুদ্রতটে যাইয়া সমুদ্র-পার বিষয়ে সামর্থ্য ও অসামর্থ্য অবধারণ-পূর্বক সমুদ্র পার হইবে। তৎকার্য্যসাধনের উপায়ও শ্রবণ কর। মহর্ষি অগস্ত্য তত্রস্তিত সমুদ্রের অভ্যন্তরে চিত্রসামু-বিশিষ্ট শ্রীমান মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বত নিবেশিত করিয়াছেন। এই স্বর্ণময় মনোহর গিরির এক পার্শ্ব সমুদ্রে ডুবিয়া আছে। ইহা দেব, লক্ষ, অপসরা, সিদ্ধ ও চারণগণকর্তৃক নিষেবিত । দেবরাজ ইন্দ্র পর্বে পর্ণেল সেই পৰ্ব্বতে আগমন করিয়া থাকেন। সেই সমুদ্রের অপর পারে শত যোজন বিস্তৃত, মনুষ্য জাতির অগম্য এক দ্বীপ আছে, তাহার চারিদিকেই বিশেষ করিয়া সীতার অন্বেষণ করিবে । সেই স্থান ইন্দ্রতুল্য দু্যতিমান রাক্ষসাধিপতি রাত্মা বধযোগ্য রাবণের বাসভূমি। ১-২৫ দক্ষিণ-সমুদ্রের মধ্যস্থলে অঙ্গরক নামে বিখ্যাত, ছায়াযোগে জীবগণের আকর্ষণ-পূর্বক ভক্ষণকারিণী রাক্ষসী বাস করিয়া থাকে। এইরূপে সংশয়-বিশিষ্ট ১। যদিও পঞ্চবটীর উত্তরদিকে অগস্তোর আশ্রম পূৰ্ব্বে বল। হইয়াছে, তাহা হুইলেও বাল্মীকির স্থায় অগস্তোর বহু আশ্রম ছিল বুঝিতে হইবে, অথবা অপর কোন জগন্তোর আশ্ৰম । ই । সমুজের সহিত সম্বন্ধ বলিয়া সাগরকে সমুদ্র বলা হয়, এইরূপ সমুদ্রকেও সাগর বলা হয়, স্বতরাং ইহাতে কোন বিরোধ নাই। পূৰ্ব্বে সুগ্ৰীব বলিয়াছিল যে, সেই পাপিষ্ঠ রাক্ষসের আবাসস্থান আমি জানি না, এক্ষণে বলিতেছে, লঙ্কাই রাবণের বাসস্তান, এই কথ। দুইটি পরস্পর