পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ o & পক্ষী প্রভৃতি জন্থগণকে দেখিয়া সেই তিমিরাবৃত বিলে প্রবেশ করিল ; কিন্তু তাছাদের দৃষ্টি সঞ্চালন বা পরাক্রম প্রকাশ করিতে পারিল না । তাহদের গতি বায়ুর স্যায় দৃষ্ট হইল না,দৃষ্টি অন্ধকারে নিমজ্জিত হইল । সেই কপিকুঞ্জরগণ বেগে সেই বিলে প্রবিষ্ট হইয়া মনোহর প্রকাশিত আলোকযুক্ত স্থান দর্শন করিল। তদনন্তর ভয়ঙ্কর নানাবিধ পাদপযুক্ত সেই বিলে পরস্পরকে অলিঙ্গন করিয়া পথ অতিক্রম করিল। অনন্তর তাহারা তৃষ্ণাতুর, সন্ত্রান্ত, তৃষিত, সলিলাৰ্থী ও জ্ঞানহীন হইয়৷ সেই বিলে কিয়ৎকাল পতিত হইয়া অতদিতভাবে অবস্থিত রছিল । সেই বানরগণ পরিশ্রান্ত, দীন-বদন ও কুশ হইয়া জীবনে নিরাশ হইল ; তখন তাহারা আলোক দেখিতে পাইল। - ১-২৩ তৎপরে তাহারা সেই তিমিরবিহীন বনদেশে আগমন করিয়া প্রদীপ্ত অগ্নিতুল্য কাঞ্চন-বৃক্ষ সকল দেখিতে পাইল । তন্মধ্যে হেমাভরণে ভূষিত, পুষ্পিত শাল, তাল, তমাল, পুল্পীগ, বঙ্গুল, ধব, চম্পক, নাগ, কিশলয়, স্তবক, শেখর ও লতাসমূহে সুশোভিত, তরুণ আদিত্যতুল্য, বৈদূৰ্য্যময় বেদিযুক্ত, দীপ্যমান হিরন্ময় নীল বৈদূৰ্য্যবর্ণ বৃক্ষ সকল এবং নানাবিধ পক্ষিগণে পরিরুত সরোবর সকল দেখিয়াছিল। সেই স্থান বালার্কতুল্য কাঞ্চনময় বৃক্ষসমূহে পরিবৃত। তথায় প্রসন্ন সলিল-বিশিষ্ট সরোবরে স্বর্ণময় পদ্মসমূহ শোভা পাইতেছে। সেই স্থানে কাঞ্চন-নিৰ্ম্মিত ও রজত-নিৰ্ম্মিত,মুক্তাজালাৰ্বত, স্বর্ণ-খচিত গবাক্ষ-বিশিষ্ট বিমান সকল এবং বৈদূৰ্য্যমণিমান, হেম রজতময় ভূমিবিশিষ্ট উত্তম উত্তম গৃহ সকল অবলোকন করিল। প্রসাল-মণি-সন্নিভ ফলপুষ্পবান বৃক্ষ, কাঞ্চন-ভ্রমর ও মধু এবং মণি-কাঞ্চনে চিত্রিত, বিবিধ বিশাল আসন কণিকার বৃক্ষ সকল বিচিত্র রক্তবর্ণ • । बानब्रभ१ बथन बीवन निद्रान इश्न, उषन उगवष्कृगोत्र उॉशबा बांध्णांक बर्नन कब्रिन । বাল্মীকি-রামায়ণ ও শয্যা এবং হেম, রজত ও কাংস্যনিৰ্ম্মিত রাশি রাশি পান-ভোজন-পাত্র, দিব্য অগুরুচন্দন-সমূহ এবং পরিশুদ্ধ, নানাবিধ ফল-মূল, মহামূল্য শিবিকাদি যান ও রসবান মধু দর্শন করিল। মহামূল্য যান ও রসবানমধু মহাৰ্ছ বস্ত্র-সমূহ,বিচিত্র কম্বল ও চৰ্ম্ম সকল দেখিতে পাইল । তৎপরে সেই বিলে অন্বেষণ করিতে করিতে মহাবীর বানরগণ অদূরে কোন এক রমণীকে দর্শন করিল। সেই নারী কৃষ্ণস্বরপরিধান নিয়তাহার। তাপসী, স্বীয় তেজে যেন প্রজ্বলিত হইতেছে । তখন বানরগণ বিস্মিত হইলে হনুমান র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে ? এই বিল কাহার ? তৎপরে পর্বততুল্য দেহধারী হনুমান কৃতাঞ্জলি হষ্টয়া সেই বৃদ্ধ তপস্বিনীকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে ? এই বিল, ভবন ও এই সমস্ত রত্ন কাহার ? বল ৷ ২৪-৪১ একপঞ্চাশ সগ হনুমান এই বলিয়া পুনর্বার সেই কৃষ্ণাজিনধারিণী ধৰ্ম্মচারিণী মহাভাগ৷ তাপসীকে বলিলেন,—আমরা সৰ্ব্বতোভাবে পরিশ্রান্ত, পিপাসিত ও পরিথিন্ন হইয়া সহসা এই তিমিরাচ্ছন্ন বিলমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছি। পিপাসিত হইয়। এই মহৎ ধরণীর বিবরে প্রবেশ করিয়া, এই সমস্ত অদ্ভূত ভাব দৰ্শন-পূর্বক আমরা ব্যথিত, সন্ত্রান্তচিত্ত ও হতবুদ্ধি হইয়াছি । এই আদিত্যপ্রভ কাঞ্চনবৃক্ষ, এই পবিত্র ব্যবহার-ড্রব্য, ফলমূল,কাঞ্চন-বিমান, রাজত গৃহ, স্বর্ণময় মণিজলাবৃত গবাক্ষ, পুষ্পিত, ফলবান, পুণ্য, স্বরভিগন্ধ স্বর্ণময় পাদপ এবং বিমল জলমধ্যে কাঞ্চন-পদ্ম কাহার তেজে উদ্ভূত হইয়াছে ? মৎস্য ও কচ্ছপগণ কাহার তেজে স্বর্ণময় হইল ? ইহা আপনার প্রভাবে বা অন্ত কাহারও তপস্তার বলে সম্পাদিত হইয়াছে ? আমরা ইহার কিছুই জানি না, আপনি অনুগ্রহ করিয়া, এই