পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭৪

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড হে কপিগণ ! আমরা কপিরাজ সুগ্ৰীবের আদেশে নির্গত হইয়াছি, কিন্তু বিলে পড়িয়া যে এক মাস পূর্ণ হইয়াছে, তাহা কি বুঝিতে পারিতেছেন না ? আমরা আশ্বিন মাস পর্য্যন্ত কাল-সংখ্যা নিরূপণ করিয়াছি ; তাহা অতিক্রান্ত হইয়াছে, অতঃপর কৰ্ত্তব্য কি ?২ আপনার নীতিমাগ-বিশারদ, ভর্তার হিতে নিরত এবং সমস্ত কার্য্যে নিপুণ, কার্য্য-সাধনে অনুপম, সৰ্ব্বদিকে খ্যাত-পৌরুষ, সেই নিমিত্ত রাজনিয়োগ প্রাপ্ত হইয়া আমাকে অগ্ৰে করিয়া নির্গত হইয়াছেন ; কিন্তু এক্ষণে অকৃতকাৰ্য্য হইলেন ; অতএব সকলের মরণই শ্ৰেয়ঃকল্প ; যেহেতু হরিরাজ সুগ্ৰীবের কার্য্য না করিয়া কোন ব্যক্তি সুখী হইতে পারে ? স্বয়ং সুগ্ৰীব-কর্তৃক নির্দিষ্ট কাল অতীত হইল ; এক্ষণে আমাদিগের প্রায়োপবেশন করিয়া প্রাণপরিত্যাগ করা সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । সুগ্ৰীবের স্বভাব তীক্ষ, তাহাতে এক্ষণে তিনি সকলের ঈশ্বর ; তাহার নিকট অপরাধ করিলে তিনি কোনরূপেই ক্ষমা করিবেন না। সীতার অন্বেষণ না হইলে, তিনি অবশ্যই আমাদিগকে বধ করিবেন, তাহা অপেক্ষা এক্ষণে প্রায়োপবেশন করিয়া প্রাণ পরিত্যাগ করাই আমাদিগের পক্ষে শ্রেয়স্কর। আমরা এখান হইতে ২। আশ্বিনমাস অতীতপ্রায় হইলে এই অর্থ ; কারণ, ‘কাৰ্ত্তিকে সমস্বপ্রান্তে ত্বং রাবণবধে যত এই কথা উল্লেখ আছে। হনুমানের বাক্যে প্রবুদ্ধ হইয়া সুগ্ৰীব ১৫ দিনের মধ্যে আসিবার জষ্ঠ বানরগণকে SBS BBBS BD DBBBB DBBBBDH BBDDD DBBDS এবং রামের ও ঐ পক্ষেই ক্ৰোধ হয় ; কারণ, কাৰ্ত্তিক মাস উপস্থিত প্রাণ অথচ স্বগ্রীবের উদ্যোগ নাই, সুতরাং কাঞ্জিক মাস **ीखरें जप्चषtभंब जबषि । ईशष्टमब्र बड़े बांका जजशइtर्मज्ञ सङ्ग পক্ষে । সেই বৎসরে পৌষ মাস ক্ষয় মাস ছিল, অগ্রন্থায়ণেই আম্রাদির মুকুলোদগম হয়, উছ৷ ঔৎপাতিক। কতক প্রভৃতি মতে অন্বেষণের অবধি পৌষ মাস। জাম্বিন শৰে সন্নিহিত কাৰ্ত্তিক মাসের শেষ বুঝিতে হইবে। সময়ের সংখ্য। এইরূপ-বানরানয়নে ও প্রেরণে অগ্রহায়ণ শেষ হয়, পৌৰ প্রথমদিন হইতে আরঙ, মাঘের কিছু দিন অতীত হইলে অঙ্গদের এই বাক্য। এই মতে সীতাহরণ হইতে সীতানয়ন পৰ্যন্ত দ্বাদশ মাস স্পষ্ট বুঝা যায়। চৈত্রে পম্পাতীরে রামের আগমন স্পষ্ট বর্ণিত আছে। ফাত্তনে সূতারণ, মাঘ কৃষ্ণপক্ষে হনুমানের সীতান্বেষণে লঙ্কায় গমন। তথায় সীতার উক্তি ষে, আর মাত্র দুই মাস আছে, ইত্যাদি কখন স্বসঙ্গত এই মতে হয় না এবং প্রদোৎকালে পূর্ণচন্দ্র দর্শনও সতৰ श्ध्न जां । \p& Ο ο (Σ ফিরিয়া যাইলে, সুগ্ৰীব নিশ্চয়ই আমাদিগকে বধ করিবেন ; অতএব এই সময়েই পুত্র, দার, ধন ও গৃহাদি সমস্ত পরিত্যাগপূর্বক প্রাণ বিসর্জন করাই আমাদিগের পক্ষে উত্তমকল্প সন্দেহ নাই। সুগ্ৰীব আমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন নাই, সৰ্ব্বকার্য্যে সুনিপুণ রামচন্দ্র আমাকে অভিষেক করিয়াছেন, সুগ্ৰীব পূর্বাবধিই আমার প্রতি বদ্ধবৈর ; অতএব আমার কার্য্য-ব্যতিক্রম পাইয়া, অবশ্যই আমাকে নিধন করিবেন সন্দেহ নাই । সুগ্ৰীব বধবিষয়ে কতনিশ্চয় হইয়াছেন, তিনি তীক্ষদণ্ড দ্বারা আমাদিগকে বিনাশ করিবেন, আমার স্বহৃদগণের সন্নিধানে সেইরূপ কুৎসিত মৃতু্যলাভ অপেক্ষা এই পবিত্র সাগরতীরে প্রায়োপবেশন অবলম্বন করিয়া প্রাণত্যাগ যে আমার পক্ষে উত্তম কল্প, তাহাতে আর সংশয় কি ? ৮-১৯ যুবরাজ কুমার অঙ্গদের এই বাক্য শুনিয়া, প্রধান প্রধান বানরগণ করুণবাক্যে বলিতে লাগিল,--সুগ্ৰীব তীক্ষপ্রকৃতি, রামচন্দ্র প্রিয়ামুরক্ত ; নিদিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হইয়াছে, আমরা অকৃতকাৰ্য্য হইয়া সীতাকে না দেখিয়া কিষ্কিন্ধ্যায় প্রত্যাগত দেখিলে সুগ্ৰীব নিশ্চয়ই আমাদিগকে নিহত করিবেন সন্দেহ নাই । অপরাধী ব্যক্তিগণ স্বামিসমীপে গমন করিতে সমর্থ হয় না। আমরা সুগ্ৰীবের প্রধান পুরুষ হইয়া আসিয়াছি, আমরা সেই সীতাকে না দেখিয়া, অথবা তাহার বৃত্তান্ত না জানিয়া তাহার নিকট গমন করিলে যমালয়ে গমন করিতে হইবে । ভয়পীড়িত বানরগণের লাক্য শ্রবণ করিয়া, তার বলিল, তোমরা বিষাদ করিও না, যদি তোমাদিগের অভিরুচি হয়, তবে সকলে এই বিলমধ্যে প্রবেশ করিয়া বাস করিব। এই বিল মায়াকৃত ও অত্যন্ত দুৰ্গম, এখানে প্রভূত পুষ্প, ভোজ্য, পেয় ও জল রহিয়াছে ; এখানে পুরন্দর হইতেও আমাদের ভয় নাই, তবে বানররাজ ও রামচন্দ্র হইতে আমাদের কি ভয় হইতে পারে ? অঙ্গদের অমুকুলবাক্য শ্রবণ