পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড সকল ঘোরতর তীক্ষ, উগ্ৰবেগসম্পন্ন ও দুৰ্দ্ধৰ্ষ ; তুমি বিগ্ৰহ উপস্থিত করিলে, সেই শরসমূহ তোমাকে নিহত করিবে । তুমি আমাদের সঙ্গে বিনীত হইয়া উপস্থিত হইলে, স্বগ্রীব আনুপূর্বিক বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া তোমাকে রাজ্যে অভিষিক্ত করিবেন। তোমার পিতৃব্য ধৰ্ম্মনিষ্ঠ, প্রতিমান, দৃঢ়ত্রত, শুচি, সত্যপ্রতিজ্ঞ । তিনি কদাচ তোমকে বিনাশ করিবেন না। তিনি তোমার মাতার প্রিয়কামী, তাহারই নিমিত্ত উহীর জীবন, আর সুগ্ৰীবের অন্য অপত্য কেহই নাই ; অতএব অঙ্গদ, তুমি কিষ্কিন্ধ্যা গমন কর । ১-২২ Q ==ञ्जस्त পঞ্চপঞ্চাশ সগ অঙ্গদ হনুমানের ধৰ্ম্মসঙ্গত, স্বামিসৎকারযোগ্য, বিনয়ান্বিত বাক শ্রবণ করিয়া বলিল,—হনুমন্‌ ! আপনার স্যায় স্থৈৰ্মা, মনঃশৌচ, অনৃশংসতা সারল্য, বিক্রম ও ধৈৰ্য্য, সুগ্ৰীবে এই সকলের মধ্যে কোন গুণই দৃষ্ট হয় না । যে ব্যক্তি মাতৃ তুল্য ধৰ্ম্মে বর্ধমান জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার প্রিয়া মহিষী ভাৰ্য্যাকে ভ্রাতা বাচিয়া থাকিতে স্বীকার করে, সে অত্যন্ত ঘৃণিত, সে কিছুমাত্র ধৰ্ম্ম অবগত নহে ; প্রত্যুত সে অত্যন্ত অধাৰ্ম্মিক। যে হ্রাত্মা ভ্রাতা, যুদ্ধনিরত ভ্রাতার বিলদ্বার প্রস্তর দ্বারা অবরোধ করে, সে কি প্রকারে ধৰ্ম্মজ্ঞ হইতে পারে ? মহাযশা কৃতকার্য, রাঘবকে সত্য দ্বারা গ্রহণ করিয়া যিনি বিস্মৃত হইয়াছেন, তিনি কাহার সুকৃতি বা উপকার স্মরণ করিয়া থাকেন ? যিনি অধৰ্ম্মের ভয় করেন না, কেবল লক্ষণের ভয়েই সীতার অন্বেষণে আদেশ করিয়াছেন, তাহার ধৰ্ম্মভয় কিরূপে সম্ভব হয় ? সেই ১ । ‘দেবরাচ্চ স্বতোৎপত্তিঃ এই অনুসারে এবং কৌলিক প্রথায় জ্যেষ্ঠ আতার মৃত্যুর পর তৎপত্নীকে গ্রহণ করা যায়, কিন্তু সে জীবিত षोंकिरण उ९°ङ्गो बाडू ठूला, बांब्रांबौब्र नश्ङि बूककोप्ल श्रजीब बांनिग्री खांबां८क७ अंश्* कब्रिग्नांहिण । Cr e পাপস্বরূপ, কুতন্ত্র, স্মৃতিমার্গপরিভ্রষ্ট, চঞ্চলচিত্ত সুগ্ৰীবের প্রতি, বিশেষতঃ র্তাহারই কুলে জন্মিয়া, কোন উত্তম ব্যক্তি বিশ্বাস করিতে পারে ? সুগ্ৰীব সগুণই হউক, আর নিগুৰ্ণই হউক, শত্ৰুকুলপুত্ৰ আমাকে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়া, কিরূপে জীবিত রাখিতে পারে ? অামার বিল-প্রবেশরাপ মন্ত্রণ ভেদ হইয়াছে ; অতএব অপরাধী, হীন, দুর্বল ও অনাথের ন্যায় আমি কিষ্কিন্ধ্যা গমন করিয়া কিরূপে জীবিত থাকিতে পারিব ? শঠ, ত্রপুর, নিষ্ঠর মুগীব রাজ্যের নিমিত্ত আমার প্রতি গুপ্ত দণ্ডবিধান করিবে অথবা চিরকাল বন্ধন করিয়া রাখিবে । হে বানরগণ ! বন্ধন ও অপবাদ অপেক্ষা প্রায়োপবেশন তামার শ্রেয়স্কর : অতএব আমাকে অনুমতি করিয়া আপনার গুহে গমন করুন। আমি ভাপনাদিগের নিকট প্রতিজ্ঞা করিতেছি,আমি কিষ্কিন্ধ্যা গমন করিব না, এই স্থানেই প্রায়োত্রত অবলম্বন করিব ; যে হেতু আমার মরণই শ্রেয়স্কর হইতেছে । আমার খুল্লতাত বানরেশ্বর রাজা সুগ্ৰীব ও বলশালী রামলক্ষণকে অভিবাদনপূর্বক আরোগ্যসহিত প্রণাম জানাইয়া আমার কুশল বিজ্ঞাপন করিবেন, এবং মাতা রুমা ও জননী তারাকে আশ্বাসিত করিবেন । তিনি স্বভাবতঃই প্রিয়পুত্র, দয়াবতী ও অনুকম্পার্হ, তিনি এখানে আমার বিনাশ শ্রবণ করিয়া নিশ্চয়ই প্রাণ পরিত্যাগ করিবেন। অঙ্গদ বৃদ্ধদিগকে এই বলিয়া এবং অভিবাদন করিয়া রোদনপূর্বক ভূমিতে দৰ্তমধ্যে প্রবেশ করিল। অঙ্গদ তাহাতে প্রবেশ করিলে, বানরগণ দুঃখিত হইয়া রোদন করিতে করিতে নয়ন হইতে উষ্ণ বাষ্পবারি মোচন করিতে লাগিল । তাহারা সুগ্ৰীবের নিন্দ ও বালীর প্রশংসা করিয়া অঙ্গদের চারিধারে প্রায়োপবেশন পূর্বক প্রাণবিসর্জন করিতে কৃতনিশ্চয় হইল । বালীপুত্রের সেই বাক্য শুনিয়া, বানরগণ সকলে পূৰ্ব্বমুখ হইয়া, আচমনপূর্বক উপবেশন করিল। দক্ষিণাগ্ৰদর্ভে সমুদ্রের উত্তর তীর আশ্রয়