পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? У e রাবণ যাহাকে বধ করিয়াছে বলিলে, সেই আমার কনিষ্ঠ ভ্রাত জটায়ু বৃদ্ধভাব ও পক্ষহীনতা-হেতু তাহ শুনিয়াও এক্ষণে আমি তাহা সহ করিলাম ; যে হেতু আমার এক্ষণে ভ্রাতার বৈরশুদ্ধির সামর্থ্য নাই। পূর্বকালে বুত্রবধসময়ে জয়াভিলাষী হইয়া আমরা দুই ভ্রাতা জ্বলনশীল রশ্মিমালী আদিত্যের সন্নিধান দিয়া আকাশমার্গে বেগে গমন করিতেছিলাম। সুৰ্য্য আকাশের মধ্যস্থলে গমন করিলে জটায়ু আদিত্যকিরণ-দ্বারা অবসন্ন হইয়া পড়িল । আমি মুর্ঘ্যরশ্মি দ্বারা ভ্রাতাকে পরিপীড়িত দেখিয়া, স্নেহভরে অতিশয় কাতর ভ্রাতাকে পক্ষপুটদ্বয় দ্বারা আচ্ছাদন করিলাম। হে কপিবরগণ ! তখন সুৰ্য্যরশ্মি দ্বারা আমার পক্ষ দগ্ধ হইয়া গেল, তাহাতে আমি এই বিন্ধ্যাচলে পতিত হইয়া এই স্থানে বাস করায় ভ্রাতার বৃত্তান্ত কিছুই অবগত হইতে পারি নাই। জটায়ুর, ভ্রাতা সম্পাতি-কর্তৃক এইরূপে উক্ত হইয়া মহাপ্রাজ্ঞ যুবরাজ অঙ্গদ বলিতে লাগিল,—যদি আপনি জটায়ুর ভ্রাতা হয়েন, তবে আমার বাক্য শুনিয়াছেন, এক্ষণে যদি জানেন, তবে সেই রাক্ষসের আলয় বলিয়া দিউন। যদি আপনি সেই অদীর্ঘদশী রাক্ষসাধম রাবণকে জানেন, তবে দূরেই হউক আর নিকটেই হউক, আ দিগকে তাহার নিলয় বলুন । ১-১০ তদনন্তর জটায়ুর ভ্রাতা মহাতেজা সম্পাতি বানরদিগকে হৰ্ষিত করিয়া আপনার অনুরূপ বাক্য -লিতে আরম্ভ করিল। হে কপিবৃন্দ ! আমার পক্ষ দগ্ধ হইয়াছে, এখন বলবীৰ্য্য কিছুই নাই, তথাপি আমি বাক্যমাত্র দ্বারা রামের উত্তম সাহায্য করিব। অামি বরুণ-লোক এবং ত্রিবিক্রম বামনাবতারে আক্রান্ত ভূরাদিলোক, দেবাস্বরগণের যুদ্ধ ও অমৃতমন্থন ইত্যাদি সমস্তই অবগত আছি । * জরা দ্বারা আমার s । कँह बांब्र निएल्लग्न जक्रांब्र निद्रनग्न थषमक्र१ इहैrठ जांब्रड कब्रिग्नां अयांद९ कांण गर्दाख जर्सवृखांडखठी जांबांन हऐब्रांप्इ । আসিতে পরিবে । বাল্মীকি-রামায়ণ তেজ হৃত ও প্রাণ শিথিল হইয়াছে, তথাপি রামের কাৰ্য্য প্রথমেই আমার একান্ত কৰ্ত্তব্য। দুরাত্মা রাবণ সৰ্ব্ব-অভরণে ভূষিত রূপযৌবনসম্পন্ন সীতাকে হরণ করিয়া লইয়া যাইতেছে, আমি । দেখিয়াছি । তিনি ‘রাম রাম, লক্ষণ লক্ষণ’ শব্দে চীৎকার করিতেছেন, তাহাকে ভূষণ সকল গাত্র হইতে উন্মোচন করিয়া ভূমিতলে নিক্ষেপ করিতে ও হাত-পা অনবরত বিক্ষিপ্ত করিতে দেখিয়াছি। র্তাহার উত্তম কোঁষেয় বসন শৈলীগ্রে সুর্য্যপ্রভার স্যায় শোভা পাইতেছে এবং তিনি স্বয়ং কৃষ্ণবর্ণ রাক্ষসের অগ্রভাগে আকাশবৰ্ত্তিনী সৌদামিনীর স্যায় শোভা বিস্তার করিতেছেন। রামের নাম কীৰ্ত্তন-হেতু তাহাকে রামের সীতা বলিয়া জানিতে পারিলাম। এক্ষণে সেই রাক্ষসের নিবাসস্থান কহিতেছি, শ্রবণ কর ;–সেই বিশ্বশ্রবার পুত্র ও কুবেরের সাক্ষাং ভ্রাত রাবণ নামক রাক্ষস লঙ্কানগরীতে বাস করিয়া থাকে। সেই লঙ্কা এখান হইতে সম্পূর্ণ শত যোজন দূরবত্তী সমুদ্রদ্বীপে অধিষ্ঠিত আছে। সেই মনোহর লঙ্কাপুরী বিশ্বকৰ্ম্ম নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । তাহাতে স্বর্ণময় দ্বার, বিচিত্রকাঞ্চনবেদিকা, হেমবৰ্ণ স্ববৃহৎ প্রাসাদসমূহ নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে, তাহার চারিদিক সুৰ্য্যসদৃশ প্রভাবিশিষ্ট প্রাচীরসমূহে পরিবেষ্টিত। সেই লঙ্কা নগরীতে দীন, কোঁষেয়বসন, জনক-নন্দিনী সীতা অবস্থাপিত আছেন। তিনি রাবণের অন্তঃপুরে অবরুদ্ধা ও রাক্ষসীগণ কর্তৃক পরিরক্ষিত হইয়া আছেন ; তোমরা সেই নগরীতে জনকতনয়া সীতাকে দেখিতে পাইবে। দুর্গপ্রাচীরাদি দ্বারা পরিরক্ষিত লঙ্কাপুরীর চারিদিকে সাগর, সেই সাগরের শত যোজন পার হইয়া দক্ষিণকুলে গমন-পূর্বক তৎপরে রাবণকে দেখিতে পাইবে। তোমরা সত্বর সেই স্থানে গমন কর ; আমি জ্ঞান দ্বারা জানিতে পারিতেছি.যে, তোমরা ফিরিয়া কুলিঙ্গ প্রভৃতি ও ধান্যজীবী পারাবতাদি পক্ষিগণের আকাশপন্থ প্রথম, বলিভোজী