পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাও প্রদক্ষিণ করিয়াছি । যখন দেবতাগণের আদেশে আমরা যাহা মন্থন করিয়া অমৃত উত্থিত হয়, সেই ওষধি সকল সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম, তখন আমাদিগের মহৎ বল ছিল। এখন আমি অতিশয় বুদ্ধ ; সুতরাং অত্যন্ত হীনবল ও হীনবিক্রম হইয়াছি। এক্ষণে তুমি আমাদিগের মধ্যে সৰ্ব্বগুণান্বিত, বিক্রান্ত ও সর্বশ্রেষ্ঠ ; অতএব তুমি উদ্যুক্ত হও, এই বানরবাহিনী তোমার বলবীৰ্য্য দর্শন করিতে অভিলাষ করিতেছে ; অতএব বানরসত্তম ! উঠ, মহাসাগর লঙ্ঘন কর । হনুমন! তোমার লঙ্কাগমন সমস্ত জীবগণেরও হিতকর সন্দেহ নাই। হে হরিবর হনুমন ! বানরগণ সকলেই বিষন্ন হইয়াষ্টে, আর উপেক্ষ কেন ? বিষ্ণুর ত্রিবিক্রমণের ন্যায় তুমিও এক্ষণে মহাবেগে সমুদ্রলঙ্ঘন কর। তদনন্তর ভলুকপ্রবর জাম্ববান-কর্তৃক প্রেরিত হইয়া মহাবীর পবনপুত্র হনুমান বানরবাহিনীকে হর্মিত করিয়া উৎসাহ-সহকারে সমুদ্র-লঙ্ঘনের অনুরূপ দেহ ধারণ করিলেন।” ২১-৩৮ সপ্তষষ্টিতম সর্গ অনন্তর শত যোজন সমুদ্র লঙ্ঘনের নিমিত্ত বৰ্দ্ধমান এবং সহসা বেগে পরিপূর্ণ হনুমানকে দেখিয়া বানরগণ শোক পরিত্যাগ-পূর্বক হর্ষ-সমন্বিত হইয়া হনুমানকে স্তুতি করিতে লাগিল । ত্রিবিক্রমণের নিমিত্ত নারায়ণকে উৎসাহিত দেখিয়া প্রজাগণ যেমন হৃষ্ট ও বিস্মিত হইয়াছিল, বানরগণও হনুমানকে দেখিয়া সেইরূপ হৃষ্ট २ । इनूषान् প্রকৃতিকে ৰণীভূত করিয়াছিল, স্বতরাং ইচ্ছামুরূপ দেহু ধারণ করিতে পাৰ্বিত, জাম্ববান হনুমানের জন্ম বল বর্ণনা করায়, হনুমাণের পূর্ব বললাভের নিমিত্ত এইরূপ করিবার জন্ত দৈবাদেশ জাম্ববান পাইয়াছিল, অপর তিনদিকের সমুদ্র লঙ্ঘন করিবার জন্ত স্বগ্রীবের আদেশ ছিল, তাহারাও ঐ সকল সাগর লঙ্ঘন করিয়াছিল। তবে এন্ধানে এত বিশেষ বলিবার প্রয়োজন কি ? উত্তর-জন্তান্ত সমুদ্র ২০২৫ বোজন পরিমাণ এবং তাহার মধ্যে অবলম্বনাৰ্থ পৰ্ব্বত ছিল। थरै रक्रिन नमूजब *बिनब्र नउ cषांजन ७ ईशंद्र भएषाङ्ग अवलचन পর্বতগুলি রাক্ষসেরা ভাঙ্গিা দিয়ালি। . (t'సి ও বিস্ময়াবিষ্ট হইল। কপিগণ এইরূপে স্তব করিলে মহাবল হনুমান বৃদ্ধি পাইতে লাগিলেন এবং লাঙ্গুল আস্ফালন করিয়া হর্ষ-হেতু বলপ্রাপ্ত হইতে লাগিলেন। বৃদ্ধ বানরশ্রেষ্ঠগণ এইরূপে প্রশংসা করিলে হনুমানের তেজে পরিপূর্ণ এবং স্থমহং অপ্রমেয় রূপ হইয়াছিল। বিবৃত গিরিগহবরে মহাসিংহ যেমন স্ফীত হয়, বায়ুর ঔরসপুত্র হনুমান সেইরূপ স্ফীত ও বদ্ধিত হইতে লাগিলেন। সেই ধীমান হনুমান বদ্ধিত হইলে তাহার মুখ প্রদীপ্ত ভৃষ্টপাত্রের ন্যায় হইল ; হনুমান, বিধুম অগ্নির স্যায় শোভা পাইতে লাগিলেন।’ প্রফুল্লরোমা হইয়া হনুমান, কপিগণের মধ্যে উত্থিত হইলেন এবং কপিবৃদ্ধগণকে প্রণাম করিয়া বলিতে লাগিলেন,—১-৮ আকাশস্থিত, বলবান, অপ্রমেয়, হুতাশন-সখী অনিল পৰ্বতাগ্র ভেদ করিয়া থাকেন ; আমি সেই মহাত্মা শীঘ্ৰগামী মারুতের রসপুত্র এবং লঙ্ঘনবিষয়ে তাহার সমান। আমি বিস্তীর্ণ আকাশম্পর্শী মেরু-গিরিকে একবারও বিশ্রাম না করিয়া সহস্রবার প্রদক্ষিণ করিতে পারি। আর আমি বায়ুবেগে সঞ্চালিত সাগর দ্বারা পৰ্ব্বত, • হ্রদ ও নদী সহিত সমস্ত লোক আপ্লাবিত করিতে সমর্থ । আমার উরু ও জম্বার বেগ দ্বারা বরুণালয় সমুদ্র উদ্বেল হইবে এবং তত্রস্থিত গ্রাহাদি জন্তুগণ ভাসিয়া উঠিবে। পক্ষিকুলকর্তৃক পরিষেবিত ভুজঙ্গভোজী গরুড় যে সময়ে যত দূর গমনে সমর্থ, আমি সেই সময়ে সহস্র গুণ অধিক পথ গমন করিতে পারি। আর উদয়-পৰ্ববত হইতে প্রস্থিত, প্রজ্বলিত রশ্মিমালী সুৰ্য্যের নিকট গমন করিতে সমর্থ; তদনন্তর ভূমির উপর পর্য্যন্ত আসিয়া পৃথিবী স্পর্শ না করিয়া অত্যন্ত বেগ দ্বারা পুনর্বার আদিত্যের অভিমুখে গমন করিতেও পারি। আমি সমস্ত আকাশচারী গ্রহনক্ষত্রাদি অতিক্রম, সাগরশোষণ ও পৃথিবী বিদারণ করিতে সমর্থ। হে ১। অগ্নিতে কোন ধাতুপাত্র পোড়াইলে যেরূপ লাল হয়, সেইরূপ হনুমানে মুখ হইয়াছিল।