পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰালকাও • Ᏹ☾ রাজা ধৰ্ম্মার্থসঙ্গত মধুর বাক্যে বলিতে লাগিলেন, আমি পুত্রের জন্য অতিশয় ব্যাকুল হইয়াছি। আমার অন্তঃকরণে সুখের লেশমাত্রও নাই, অতএব পুত্রকামনায় অশ্বমেধ-যজ্ঞ করিতে আমার বাসনা । আমি শাস্ত্রমত কাৰ্য্য সমাধা করিতে চাই, এক্ষণে কিরূপে আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইতে পারে, আপনারা তাহার উপায় অবধারণ করুন । ১-৯ অনন্তর বশিষ্ঠ প্রমুখ ব্রাহ্মণগণ রাজার মুখনিৰ্গত বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহার অনুমোদন পূর্বক সাধুবাদ দ্বারা অভিনন্দিত করিলেন । তাহারা পরম প্রীতমনে দশরথকে কহিলেন, এতদুপলক্ষে যজ্ঞের সামগ্ৰী সকল সমাহৃত হউক, যজ্ঞীয় অশ্ব ছাড়িয়া দিউন । সর্যর উত্তরতীর যজ্ঞভূমির জন্য কল্পিত হউক, হে পার্থিব ! নিশ্চয়ই আপনি মনোমত পুলগণকে লাভ করিবেন। যখন আপনার পুত্রপ্রাপ্তির জন্য ধৰ্ম্মবুদ্ধি হইয়াছে, তখন অবশ্যই শুভ ফল ঘটবে। রাগণগণের মুখে এরূপ কথা শ্রবণ করিয়া নৃপতি সন্তুষ্ট হইলেন। তদনন্তর তিনি হর্পোংফুল্লনয়নে অমাত্যদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, —তোমরা গুরুদেবের আদেশে প্রয়োজনীয় যজ্ঞসামগ্ৰী সংগ্ৰহ কর। সুযোগ রক্ষিবর্গ দ্বারা রক্ষিত, উপাধ্যায় কর্তৃক অনুমোদিত এক যজ্ঞীয় অশ্ব মোচন কর, সরতীরে যজ্ঞভূমি নির্দিষ্ট হউক। বিধি-বিধানানুসারে যজ্ঞবিল্প নিবারণের জন্য শান্তিকৰ্ম্ম সকল অনুষ্ঠিত হউক । এই অশ্বমেধ-যজ্ঞ সকল রাজাই করিতে সমর্থ হইতেন, যদি এই যজ্ঞে পদে পদে অপরাধ হইবার সস্তাবনা না থাকিত, বিশেষতঃ যজ্ঞতন্ত্রজ্ঞ ব্রহ্মরাক্ষসগণ সতত যজ্ঞের ছিদ্রান্বেষণ করিয়া থাকে (~বিধিবিহীন যজ্ঞ করিলে যজ্ঞকৰ্ত্তাকে বিনষ্ট হইতে হয়, অতএব ১ । বজ্ঞাদিতে মন্ত্র ও ক্রিয়ালোপ স্বারা যজ্ঞে বুত ব্ৰাহ্মণ श्रृं*झे बक्र६ांकन इहेशू ५t८क् ७२९ शांश्ॉब्र! उपशाखjयांछन ७ অপ্রতিগ্রাহের নিকট প্রতিগ্রগ করে অথচ প্রায়শ্চিত্ত করে না, উহাৱাই রাক্ষসত্ব প্রাপ্ত হইয়া ব্ৰহ্মাক্ষস নামে অভিহিত इश्व ! তোমরা যাহাতে বিধি অনুসারে এই যজ্ঞ সম্পন্ন হইতে পারে, সেইরূপ যত্ন কর, তোমরা এই যজ্ঞানুষ্ঠান সাধন করিতে সৰ্ব্বতোভাবে সমর্থ। "যে আজ্ঞা মহারাজ বলিয়া মন্ত্রিগণ রাজার আদেশ শিরোধার্য্য করিলেন । মহীপতির বাক, শ্রবণ করিয়া ধৰ্ম্মজ্ঞ দ্বিজগণ র্তাহীকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। তদনন্তর বিপ্রমণ্ডলী তাহার অনুজ্ঞাক্ৰমে স্বকীয় আশ্রমে প্রতিগমন করিলেন। নৃপতি তাহাদিগকে বিদায় দিয়া সচিবদিগকে সম্বোধন পূর্বক , কহিলেন, হে মন্ত্রিগণ ! পত্বিকগণ যেরূপ আদেশ করিয়াছেন, যজ্ঞের উদেশে তদনুরূপ আয়োজন কর, এই কথা বলিয়া তাহাদিগকে বিদায় দিয়া তিনি অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । তদনন্তর সেই নরেন্দ্র, হৃদয়ানন্দদায়িনী মহিণীদিগকে কহিলেন, আমি পুল্লকামনায় যজ্ঞে দীক্ষিত হইতেছি, অতএব তোমরাও এই দীক্ষণকার্মে স্থিরনিশ্চয় হও । বসন্তকালে পদ্মিনীর যেরূপ শোভা হয়, তখন মহীপতির মুখ হইতে নিঃস্থত মধুর বাক্যে সেই রাজপত্নীগণের বদনকমলও তদ্রুপ প্রফুল্ল হইয়া উঠিল । ১০-২৫ ৷ ümmmmmmmmmm নবম সর্গ রাজা দশরথকে যজ্ঞে কৃতনিশ্চয় জানিয়া মন্ত্রী ও সারথি সুমন্ত্র তাহাকে নির্জনে কহিলেন, মহারাজ ! আমি এ সম্বন্ধে পুরাণে যাহা শ্রবণ করিয়াছি, তাহ শ্রবণ করুন। ঋত্বিকগণ কর্তৃক উপদিষ্ট এই যজ্ঞ-সম্বন্ধীয় ইতিহাস আমি শুনিয়াছিলাম। পূর্বকালে সনৎকুমার ঋষিদিগের নিকটে আপনার পুত্রোৎপত্তিসম্বন্ধে এই কথা বলিয়াছিলেন। মহর্ষি কাগুপের বিভাণ্ডক নামে এক পুত্র আছেন। ঋষ্যশৃঙ্গ নামে তাহারই এক পুত্র জন্মগ্রহণ করিবেন। তিনি পিতৃ-প্রযত্নে বনে বদ্ধিত হইয়া বনচারিরপে কালাতিপাত