পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ - উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 বেতসকটে আহুতি দিবার নিয়ম। তদনুসারে ঋত্বিকগণ বেতসকটে আহুতি দিতে লাগিলেন। ২৮-৩৯ অশ্বমেধ-যজ্ঞের যে তিন দিবস সবন-ক্রিয়া করিতে হয়, তাহা কল্পসূত্র ও ব্রাহ্মণের অনুমোদিত। পূৰ্ব্বোক্ত দিনত্রয়ের মধ্যে প্রথম দিন অগ্নিষ্টোম, দ্বিতীয় দিনে উক্থ ও তৃতীয় দিবসে অতিরাত্র অনুষ্ঠিত হইল, তৎপরে জ্যোতিন্টোম, তায়ন্টোম, অতিরাত্র, অভিজিৎ, বিশ্বজিৎ ও আপ্তোর্যাম, শাস্ত্রামুযায়ী এই সকল মহাযজ্ঞকাৰ্য চলিতে লাগিল। পূর্বকালে স্বয়ন্ত যেরূপ অশ্বমেধের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন, তাহার ন্যায় এই যজ্ঞে কুলবর্দ্ধন নৃপতি দশরথ হোতাকে পূর্বদিক, অধ্বধুর্যকে পশ্চিমদিক, ব্রহ্মাক দক্ষিণদিক, উদগীতাকে উত্তরদিক দক্ষিণস্বরূপে দান করিলেন । এইরূপে যজ্ঞকাৰ্য সমাধা করিয়া সেই পুরুষৰ্ষভ নৃপতি ঋত্বিকদিগকে পৃথিবী দান করিলেন। ইক্ষাকুনন্দন এইরূপে দানকার্য সমাপন করিয়া অতিশয় প্রসন্ন হইলেন ; তখন ঋত্বিকগণ সেই নিষ্পাপ নরপতিকে বলিতে লাগিলেন, হে রাজন! আপনি একাকী এই সমস্ত ভূমণ্ডল রক্ষা করিবার উপযুক্ত, আমাদের পৃথিবী গ্রহণের প্রয়োজন নাই ; কারণ, পৃথিবী আমাদের দ্বারা পালিত হইবার নহে। হে নৃপ ! আমরা বেদাধ্যয়নে সতত নিযুক্ত, অতএব আমাদিগকে কিঞ্চিৎ নিষ্ক্রয়-মূল্য প্রদান করুন । আপনি অভিপ্রায় করিলে আমাদিগকে মণিরতু, সুবর্ণ বা গোধনাদি যৎকিঞ্চিৎ প্রদান করিতে পারেন। জানিবেন, ভূমিতে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই । উাহারাষ্ট্ৰপতিকে এইরূপ কথা কহিলে তিনি তাহদিগকে দশ লক্ষ ধেনু, দশ কোটি সুবর্ণ ও উহার চতুগুণ রৌপ্য প্রদান করিলেন। ঋত্বিকগণ এই সমস্ত বস্ত ঋষি ঋষ্যশৃঙ্গ এবং ধীমান বশিষ্ঠের হস্তে সমর্পণ করিলেন । ৪০-৫১ তদনন্তর ঋষিদ্বয় বিভাগ করিয়া দিলে সেই দ্বিজোত্তমগণ স্বায়ানুসারে আপনাদের ভাগ গ্রহণ বাল্মীকি-রামায়ণ করিয়া হৃষ্টান্তঃকরণে নৃপতিকে কহিলেন, মহারাজ ! আমরা দক্ষিণালাভে পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি। তদনন্তর মহীপাল দশরথ উপস্থিত ব্রাহ্মণদিগকে অসংখ্য সুবর্ণ দান করিতে লাগিলেন। পরিশেষে এক জন দরিদ্র ব্রাহ্মণ আসিয়া অর্থ প্রার্থনা করিলে তিনি তাহাকে তাপনার হস্তালঙ্কার প্রদান করিলেন । দ্বিজগণ এইরূপ প্রার্থনাধিক অর্থলাভে পরিতুষ্ট হইলে দ্বিজবৎসল মহীপাল প্রফুল্লমনে তাহাদিগের চরণে অভিবাদন করিলেন । ব্রাহ্মণগণও প্রণামপরায়ণ নৃপতিকে বহুবিধ আশীৰ্বাদ করিলেন। রাজ দশরথ এইরূপে পাপহারী স্বগপ্রদ অশ্বমেধ-যজ্ঞ সমাপন করিয়া পরমপ্রীতমনে মুনিবর ঋষ্যশৃঙ্গকে কহিলেন, হে সুব্রত ! যাহাতে আমার বংশরক্ষণ হয়, আপনি সেইরূপ কাৰ্য্যানুষ্ঠান করুন। দ্বিজশ্রেষ্ঠ ঋষ্যশৃঙ্গও “তথাস্থ” বলিয়া বলিলেন, হে শজন! আপনার চারিটি বংশধর প্রাদুড়ত হইবে । নৃপেন্দ্র র্তাহার মুখে এরূপ মধুর আশ্বাসবাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাকে অভিবাদন পূর্বক অতিশয় প্রতি লাভ করিলেন ও সেই প্রসিদ্ধ পাৰি পাষ শুঙ্গকে পুনর্দার বলিয়াছিলেন, আমার বংশরক্ষা যেন হয়। ৫২-৬০ க) পঞ্চদশ সর্গ তদনন্তর মেধাবী বেদজ্ঞ মহর্ষি ঋষ্যশৃঙ্গ কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া ইতিকৰ্ত্তব্যতা নিশ্চয় করিলেন ও কহিলেন, ঃ হে রাজন্‌ ! আমি আপনার পুত্রপ্রাপ্তির জন্য অথৰ্ব্ববেদোক্ত মন্ত্রের সাহায্যে পুত্রেঃি যজ্ঞে ব্ৰতী হইব ।- এই বলিয়া তিনি পুত্রেষ্টি যজ্ঞারস্ত করিয়া অথৰ্ব্ববেদবিধানানুসারে হোম করিতে লাগিলেন । তদনন্তর যজ্ঞস্থলে দেবতা, গন্ধৰ্ব্ব, সিদ্ধ • অপরাপর গ্রন্থে "রাগ দশরথ পুনৰ্ব্বার কছিলেন,"চে यूरन ! যাহাতে আমার বংশরক্ষা হয়, আপনি তদুপায় নির্দেশ করুন", এই অম্বুবাদ ও তাহার মূল দেখিতে পাওয়া বাৰু, জামাদের अरुजविङ 4एइ ७एङ कबिउ ि७एकशोरङ्ग ब्रिड]ख इद्देब्राटह ।