পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪০ শারীরিক নিয়ম লঙ্গনের ফল। প্রতীকারে যত্ন করেন না ইহ যৎপরোনাস্তি আক্ষেপের বিষর । যে নির্দয় রাজা পুত্ৰতুল্য প্রজাদিগকে মৃত্যুগ্রসে পতিত হইতে দেখিয়া শক্তি সত্ত্বে তাহাদের প্রণ রক্ষা ন করেন,"bাহাকে কি রপে ভয় রাজা বলা যায় ! শক্তি সত্বে মুমূৰ্ষ ব্যক্তির প্রাণ রক্ষ না করাআর স্বহস্তে খঙ্গা প্রহারে কাহারও মুগুচ্ছেদ করা উভয়ই তুল্য। রাজপুষের এ বিষয়ের তত্ত্বাবধারণার্থ কতিপয় কমি- শনর নিয়োগ করিয়াছেন বটে, কিন্তু তাহাও বিফল হইল । কমিশনরেরা স্বকীয় পদ গ্রহণ করিয়া কেবল সর্বসাধারণের হ্যাম্পদ হইয়াছেন। গতানুশোচনা করা বৃথা। এক্ষণে রাজপুৰুষদিগের এ বিষয়ে সম্যক রূপ মনোযোগী হুইয়া প্রতিবর্ষে সহস্র সহজ লোকের মৃত্যু ও লক্ষ লক্ষ লোকের ক্লেশ ঘটনা নিবারণ করা সৰ্ব্বতোভাবে কৰ্ত্তব্য । কেবল আত্মশরীরবিষয়ক নিয়ম লঙন করাতে, ভূমণ্ডল যে প্রকার হুঃসহ দু:খানলে দগ্ধ হইতেছে, সংক্ষেপে তাহার বিবরণ করা গেন। । এক্ষণে তদনু রূপ অন্য প্রকার দুঃখ-রাশির কারণ অনুসন্ধান করিতে প্রত্নত হওয়া যাইতেছে। বিশ্ব-নিয়ন্তার নিয়ম লঙঘন হওয়াতে, পরম সুখে দেখ উদ্বাস্থক্রিয়াও অশেষ যাতনার মূল হইয়াছে। পরস্পর বিৰুদ্ধস্বভাব, অসমবুদ্ধি ও বিপরীতমতা- বলম্বী স্ত্ৰীপুকবের পাণিগ্রহণ হইলে, উভয়কেই যাব জীবন বিষম যন্ত্ৰণা ভোগ করিতে চয় । মানসিক ভাব ও বুৰি চালনা বিষয়ে কিঞ্চিৎ বৈলক্ষণ থাকাতে, ।