পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
উপক্রমণিকা

সুস্পষ্ট প্রকাশ পাইতেছে, যে পরমেশ্বর তাহাকে বিপুল সুখভোগী করিবার নিমিত্ত জগতে উতৃপযোগী। নিয়ম সকল সৃষ্টি করিয়াছেন। সেই সমুদায় সুচাৰু নিয়ম সম্যক প্রতিপালিত হইলে ঐহিক দুঃখের সম্যক নিরাকরণ হইতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন মুখ হউক। দুঃখ মাত্র না হউক, ইহা সকলেরই বাসনা, কিন্তু তদ্বিষয়ক কাৰ্য্য-কারণ-ভাবের তথ্য জ্ঞান প্রাপ্ত না হইলে অর্থাৎ আমাদিগের কি প্রকার স্ব ভাব, অ্য অ্য বস্তুর সহিত তাহার কি প্রকার সম্বন্ধ, ও সেই সম্বন্ধ অনুযায়ী কার্যানুষ্ঠানের কিপ্রকার উপায় কৰ্ত্তব্যএ সমস্ত জ্ঞাত না হইলে সে মনোরথ পূর্ণ হতে পারে ন। কোন দেশীয় লোকের দুৰ্ভাগ্য ও অনুন্নতির কারণ । জিজ্ঞাসা করিলে কেহ পূৰ্বাদৃষ্ট, কেহ বা কালধৰ্ম্ম তাহার কারণ বলিয়া নিশ্চয় করিবেন, কেহ বা প্রসঙ্গ ক্রমে তাহাদিগের আলস্যস্বভাবাদি লৌকিক কার নও উল্লেখ করিতে পারেন। বৈদ্যকে রোগ ক্ষয়ের উপায় জিজ্ঞাসিলে তিনি এই ঘথার্থ উপদেশ দিবেন, যে সমুচিত চিকিৎসা করা কৰ্ত্তব্য। দৈবজ্ঞকে জিজ্ঞা মিলে তিনি গ্রন্থ-শান্তির পরামর্শ দিবেন। ব্রাহ্মণ পতিকে কোন উপায় করিতে কহিলে তিনি তৎ ক্ষণং পূর্ব দ্রুয়স্ক ক্ষয়ের নিমিত স্বস্ত্যয়ন বিশেষের বিধি দিবেন। আর কোন কোন সর্ব-মীমাংসক বিজ্ঞ অধ্যাপক পূর্বোক্ত সমস্ত ক্ৰিয়াই অনুষ্ঠান করিতে অনু- মতি প্রদান করিবেন। কিন্তু বাস্তবিক ইহার মধ্যে কোন উপায় যার রোগীর রোগ শাস্তি হয়, তাহ।