পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাল্মীরিক নিয়ম লঙনের ফল । ১৬৫ করিতে হইত, এবং তাহা হইলে তাহাদের প্রকৃতি ক্ৰমে ক্ৰমে অপকৃষ্ট হইয়া আদিত । * কিন্তু মাংসাশী জস্তর সৃষ্টি হওয়াতে এ সমস্ত অমঙ্গল নিরাস হইয়াছে। তদ্বারা কেবল মাংসাশী জন্তু মাত্রের সুপ্ত সাধন হয়। না, অন্য অপেক্ষা করিয়া জীবের সংখ্যা অধিক না। হওয়াতে, তৃণাহারী প্রাণিদিগেরও দুঃখ নিবারিত হয়। পরন্তু মাংসাশী জক্টদিগের স্বকীয় নিষ্ঠর স্বভাব প্রচারের সীমা নিরূপিত আছে। তাহারা। বহু সংখ্যক হইরা নির্দিষ্ট নিয়ম লঙান-পূর্বক আপনা দের সংহার-শক্তি চালনায় প্রবৃত্ত হইলে, তদণ্ডেই তাহাদের অন্ন হ্রাস এবং তৎ ফল স্বরূপ তানাহার-মৃত্যু ঘটনা আরম্ভ হর, এবং তদ্দার। তাহাদিগের সংখ্যা । ক্ৰমে ক্রমে নূ্যন হইয়া ভূমণ্ডলের সর্ব-সামঞ্জস্য-ভাব । রক্ষা পায়। কোন জীবের অনশনে প্রণ বিরোগ হর, । ইছ কখনই জীবনদাতা জগদীশ্বরের অভিপ্রেত নয়, অতএব তিনি সংসারের সকল নিয়ম দ্বারাই তাহার প্রতিবিধান করিয়াছেন । । ইছাও সৰ্বতোভাৰে যুক্তি সিদ্ধ বলিতে হয়, যে মাংসাশী জন্তুদিগের নৃশংস-শক্তি সঞ্চারের পূর্কে বহু সংখ্যক তৃণাহারী জীব অবশ্যই বিষ্ঠ্যমান ছিল, কারণ শেষোক্ত জাতীয় বহু জীবের দেহুপাত না হইলে, প্রথমোক্তজাতীয় একটি জহুরe চির জীবন উদরপূর্তি হইতে পারে না। যদি প্রথমে • কারণ যথেষ্ট আর অভাবে পিষ্ঠ মাতার শরীর ক্ষীণ হইসে সত্বানেরাও তমসুরপ দুৰ্বল প্রকৃপ্তি প্রাপ্ত হয়।