পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ উপক্রমণিকা। অবগত হওয়া যাউক, কিছুতেই মনুষ্যের উন্নতি হস্ট যার আর সম্ভাবন খাকিত না। কিন্তু ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিৎ পণ্ডিতদিগের মধ্যে এই মত ক্রমশঃ অশ্র দ্বিত হইয়া আসিতেছে। ঙাহারা বিজ্ঞান শাস্ত্রের অনুশীলন করিয়া নিশ্চয় 'জানিতেছেন, যৎপরিমাণে জগতের নিয়ম নিরূপিত হইবে, ও লোকে তদনুযারী কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হইবে, তৎপরিমাণে তাহাদিগের সুখের বৃদ্ধি, এবং অবস্থা ও স্বরপের উন্নতি হইবে । ঊাহার অবিজ্ঞ লোকদিগের ন্যায় পরমেশ্বরকে লৌকিক ফলাফলের সাক্ষাৎ কারণ বলিয়া স্বীকার করেন না, অর্থাৎ পরমেশ্বর কাহারও প্রতি তু ব বই হইয়া সাক্ষাৎ ঐশী শক্তি প্রকাশপূর্বক কোন সাংসারিক ব্যাপার সম্পন্ন করেন, এবং ভাষাতে বিশেষ বিশেষ সঙ্কল্প করিয়া বিশেৰ বিশেষ ব্যক্তির সুধ ছঃখ নিরো জন করেন, ইছা অঙ্গীকার করেন না। তুত ৬াহারা এই প্রকার বিশ্বাস করেন, যে জগদীশ্বর নিরূপিত নিয়ন সংস্থাপন করিয়া বিশ্ব-রাজ্য পালন করিতেছেন— ফলাফল ৰিধান করিতেছেন—সুখ ছুঃখ বিতরণ করি তেছেন। তিনি কদাপি কাহারও স্তব বা প্রার্থনার । অনুরোখে কোন নিয়নের অতিক্রম করেন না। তিনি জগতের পদার্থ সকল কিয়? পরিমাণে জামাদিগের ইহার অায়ত্ত করিয়া রাখিয়াছেন, এবং যাহাতে জামরা সেই সমস্ত বস্তুর বিবয় যালোচনা করিয়া থাপনাদিগের জ্ঞান ও যুখের উন্নতি করিতে পারি, তাহাদিগের ওপ ব্যবস্থ৷ করিয়া দিয়াছেন। নিজ