[ দুই ] জনকতক লোক পথ বেয়ে চলেছে--সেট গায়ের মেঠো পথ নয়, তার আশে পাশে প্রকৃতি নিজের সৌন্দৰ্য্যরাশি ফুটিয়ে রাখে নি। সেটা একটা পাহাড়ে পথ, কোথাও উচু, কোথাও নীচু, আবার কোথাও একেরারে খাড়া হয়ে উঠেছে, সেখানে একটু অন্যমনস্ক হলেই বা পাফিস্কালেই—একেবারে ভূমিশয্যা নিতে হয়। তারা হচ্ছে। যাত্রী, লোক লস্কর নিয়ে ভারতের দিকে যাচ্ছে রাজার আদেশে। দূর থেকে তারা দেখতে পাচ্ছিল হিমালয়ের বিরাট নগ্ন সৌন্দৰ্য্য-মূৰ্ত্তি। সেই সৌন্দর্য্যের সামনে আপনা। থেকেই তাদের মাথা নত হয়ে আসছিল । যাত্রা করবার সময় তাদের মন বাড়ীর স্মৃতির ব্যাথায় ভরে উঠেছিল, সেই বেদনাকাতর স্মৃতি নিয়েই তারা যাত্ৰা করেছিল, আর বেরবার সময় তারা হয় ত গেয়েছিল “আমাদের যাত্ৰা হল সুরু, ওগো কৰ্ণধার।” সারাদিন পাহাড়ে পথ ভেঙ্গে, সন্ধ্যার সময় যাত্রীরা সব ক্লান্ত হয়ে পড়ল। পথে বিপদ যথেষ্ট, তাই তারা একটা নিৰ্জন স্থান খুঁজে নিলে নিরাপদ হবে ভেবে। সেইখানেই তাঁবু পড়ল। তখন সবাই খাবারের যোগাড় করতে লাগল। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে তাবুর মধ্যেই সবাই ঘুমুল। ঘুমবার আগে তারা ভঁাবুর চারিদিকে আগুন জ্বেলে দিলে যাতে বন্যপশু তাদের আক্রমণ (SNS a 9s
পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।