( so ) অনেক রাত হয়েছে, সবাই ঘুমে মগ্ন, এমন সময় তঁাবুর মধ্যে কিসের যেন শব্দ শোনা গেল। মনে হল কে যেন পাথর ঠুকে আগুন জ্বালবার চেষ্টা করছে। সেই শব্দ শুনে একজন যাত্রীর ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে লোকটা আবার একটু ভীরু, তাই তার সাহস হল না যে উঠে দেখে-ব্যাপারটা কি। শেষে সে পাশের লোককে ডাকল—“ওহে ভাই ?” সে ঘুমের ঘোরে বল্ল—“কেন, কি হয়েছে ?” সে বল্লে-“ঐ শোন, কিসের শব্দ।” “কিসের আবার ? নিশ্চয়ই ভূতের বা প্রেতের।” যেই একথা বলা লোকটী কম্বলটা টেনে মুড়ি দেবার চেষ্টা করল। অন্য লোকটী ব্যাপার সুবিধাজনক নয় ভেবে, আস্তে আস্তে উঠে পড়ল। উঠে চুপি চুপি আর কজনকে ডাকল আর যারা ভাবুর মধ্যে ঢুকেছিল সেই লোকগুলোকে হঠাৎ আক্রমণ করল। তারা আর কেউ নয়-পাহাড়ী ডাকাতের দল, যাত্রীদের কাছে টাকা কড়ি আছে ভেবে তাবুর মধ্যে ঢুকেছিল। হঠাৎ আক্রান্ত হয়ে, ডাকাতরা শীঘ্রই ছত্ৰভঙ্গ হয়ে পালাল। এই রকমে সেদিনকার রাত্ৰি প্ৰভাত হল । পরদিন উষার আলোকের সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার যাত্রা করুল-এ যেন কোন নিরুদ্দেশ্যের খোজে যাত্ৰা । তাদের গতির বিরাম নেই, পাথরের পথ ভেঙ্গে চলেছেই, পথের হাজার রকম দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে করতে তারা চলেছে। এ দুঃখের ব্ৰতকে তারা যে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে।--দেশের মুখ উজ্জ্বল করবার
পাতা:বিক্রমশিলা.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।